পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী "לף কুকুরটাকে খাওয়াতে যাও, বড্ড চেঁচাচ্ছে— ও আমাকে মোতে নেবে না। আমি ভাবছি আমাকে এবারে ছুটির দরখাস্ত দিতে হবে।” 醫 সদ্ধ হেসে বললে, “তুমি ইনপেক্টরি ছেড়ে দিয়ে গাছতলায় বাবাজি সেজে বোলো, তোমার আয় বাবে বেড়ে, আমিও তার কিছু বখরা পাব।” “সব তাতেই তুমি যেমন নিশ্চিন্তু হয়ে থাক, আমার ভালো লাগে না।” "ও আমার স্বভাব, তোমার খুনী ডাকাতদের জন্তু আমি চিন্তা করতে পারব না। একা তোমার চিন্তাতেই আমার দিন চলে গেল। সমস্ত দেশের লোকের হাসিতে যোগ না দিয়ে আমি করব কী। তোমার এই পুলিসের থানায় স্বদেশীদের নিয়ে অনেক চোখের জল বয়ে গেছে, এত দিনে লোকেরা একটু হেসে বঁাচছে। এইজন্তই আনিলবাবুকে সবাই ছ হাত তুলে আশীৰ্বাদ করছে, তুমি ছাড়া। আমি ছশ্চিন্তার ভান করব কী করে বলে। দেখি ।” 嘯 छूडौग्न “দেখো, সদ্ধ, এবারে আমি তোমার শরণাপন্ন ।” সছ বললে, “কবে তুমি আমার শরণাপন্ন নও, শুনি। এইজন্ত তো তোমাকে সবাই স্ত্রৈণ বলে। ছ জাতের স্ত্রৈণ আছে। এক দল পুরুষ স্ত্রীর জোরের কাছে হার না মেনে থাকতে পারে না, তারা কাপুরুষ। আর এক দল আছে তারা সত্যিকার পুরুষ, তাই তারা স্ত্রীর কাছে অসংশয়ে হার মেনেই নেয়। তারা অবিশ্বাস “করতে জানেই না, কেননা তারা বড়ো। এই দেখো-না আমার কত বড়ো সুবিধে— তোমাকে যখন খুশি যেমন খুশি ঠকাতে পারি, তুমি চোখ বুজে সব নাও।”

  • সছ, কী পষ্ট পষ্ট তোমার কথাগুলি গো ।” “সে তোমারই গুণে কর্তা, সে তোমারই গুণে ।” *এবারে কাজের কথাটা শুনে নাও— ও-সব আলোচনা পরে হবে। এবারে একটা সরকারী কাজে তোমার সাহায্য চাই। নইলে আমার আর মান থাকে মা । পুলিসের লোকরা নিশ্চয়ই জেনেছে এই কাছাকাছি কোথায় এক জায়গায় একজন মেয়ে আছে । সেই এখানকার খবর কেমন করে পায় আর ওকে সাবধানে চালিয়ে নিয়ে বেড়ায়। সে আচ্ছা জাহাবাজ মেয়ে । ওরা বলছে সে এই পাড়ারই কোনো বিধবা মেয়ে। যেমন করে হোক তার সন্ধান নিয়ে তার সঙ্গে তোমাকে ভাব করতে হবে।” সদ্ধ বললে, “শেষকালে আমাকেও তোমাদের চরের কাজে লাগাৰে! আচ্ছ,