পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথ পুত্রপথ চাহি ; হেরি তারে বক্ষে টানি অাম্রাণ করিয়া শির কহিলেন বাণী কল্যাণকুশল । শুধাইলা সত্যকাম, ‘কহো গো জননী, মোর পিতার কী নাম, কী বংশে জনম । গিয়াছিকু দীক্ষণতরে গৌতমের কাছে, গুরু কহিলেন মোরে, বৎস, শুধু ব্রাহ্মণের আছে অধিকার ব্রহ্মবিদ্যালাভে । মাতঃ, কী গোত্র আমার }} শুনি কথা, মৃদুকণ্ঠে অবনতমুখে কহিলা জননী, যৌবনে দারিদ্র্যদুখে বহুপরিচর্যা করি পেয়েছিল্প তোরে, জন্মেছিস ভর্তৃহীন জবালার ক্রোড়ে, গোত্র তব নাহি জানি তাত ? পরদিন তপোবনতরুশিরে প্রসন্ন নবীন জাগিল প্রভাত । যত তাপস বালক শিশিরস্থস্কিন্ধ যেন তরুণ আলোক, ভক্তি-অশ্ৰু-ধৌত যেন নব পুণ্যচ্ছটা, প্রাতঃস্নাত স্নিগ্ধচ্ছবি আৰ্দ্ৰসিক্তজটা, শুচিশোভা সৌম্যমূর্তি সমুজ্জলকীয়ে বসেছে বেষ্টন করি বৃদ্ধ বটচ্ছায়ে গুরু গৌতমেরে । বিহঙ্গকণকলীগান, মধুপগুঞ্জনগীতি, জলকলতান, তারি সাথে উঠিতেছে গম্ভীর মধুর বিচিত্র তরুণ কণ্ঠে সম্মিলিত সুর শাস্ত সামগীতি । হেনকালে সত্যকাম কাছে আসি ঋষিপদে করিলা প্রণাম—- মেলিয়া উদ্বার তাখি রহিলা নীরবে । >>'