পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रात्राकोष्ट्रत বিনি পয়সার ভোজ আপিসের বেশে অক্ষয়বাবু (হাসিতে হাসিতে) আজ আচ্ছা জন্ম করেছি। বাবু রোজ আমাদের স্বন্ধে বিনামূল্যে বিনামাণ্ডলে ইয়ার্কি দিয়ে বেড়ান, আর লম্বাচওড়া কথা কন। মশায়, আজ বছর-খানেক ধরে রোজ বলে “আজ খাওয়াব’ ‘কাল খাওয়াব’, খাওয়াবার নাম নেই। যতখানি আশা দিয়েছে তার সিকি পরিমাণ যদি আহার দিত তা হলে এতদিনে তিনটে রাজস্থয় যজ্ঞ হতে পারত। যা হোক, আজ তো বহু কষ্টে একটা নিমন্ত্রণ আদায় করা গেছে। কিন্তু, দুটি ঘণ্টা বসে আছি এখনো তার দেখা নেই। ফাকি দিলে না তো ? ( নেপথ্যে চাহিয়া ) ওরে, কী তোর নাম, ভুতো না মোধো, না হরে ? চন্দ্রকান্ত ? আচ্ছা বাপু তাই সই। তা ভালো চন্দ্রকান্ত, তোমার বাৰু কখন আসবে বলো দেখি । কী বললি ? বাৰু হোটেল থেকে খাবার কিনে আনতে গেছেন ? বলিস কী রে! আজ তবে তে রীতিমতো খানা। খিদেটিও দিব্যি জমে এসেছে। মটন-চপের হাড়গুলি একেবারে পালিশ করে হাতির দাতের চুষিকাঠির মতো চকচকে করে রেখে দেব। একটা মুর্গির কারি অবিপ্তি থাকবে— কিন্তু, কতক্ষণই বা থাকবে । আর দু-রকমের দুটো পুডিং যদি দেয় তা হলে চেচেপুচে চীনের বাসনগুলোকে একেবারে কাচের আয়না বানিয়ে দেব। যদি মনে ক’রে ডজন-দুৰ্ত্তিন অয় স্টার প্যাটি আনে তা হলে ভোজনটি বেশ পরিপাটি রকমের হয় । আজ সকাল থেকে ডান চোখ নাচছে, বোধ হয় অয় স্টার প্যাটি আসবে । ওহে ও চন্দ্রকান্ত, তোমার বাৰু কখন গেছেন বলে দেখি । অনেক ক্ষণ গেছেন? তবে আর বিস্তর বিলম্ব নেই। ততক্ষণ এক ছিলিম তামাক দাও-না। অনেক ক্ষণ ধরে বলছি, কিন্তু তোমার কোনো গা দেখছি নে । ৩৩৭