পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ রবীন্দ্র-রচনাবলী মহেন্দ্রনিন্দিতকান্তি উন্নতদর্শন কারে বন্দী করে আনে চোরের মতন কঠিন শৃঙ্খলে ! শীঘ্র যা লো সহচরী, বল গে নগরপালে মোর নাম করি, শু্যামা ডাকিতেছে তারে ; বন্দী সাথে লয়ে এক বার আসে যেন এ ক্ষুদ্র অালয়ে দয়া করি ? শু্যামার নামের মন্ত্রগুণে উতলা নগররক্ষী আমন্ত্রণ শুনে রোমাঞ্চিত ; সত্বর পশিল গৃহমাঝে, পিছে বন্দী বজ্ৰসেন নতশির লাজে আরক্তকপোল । কহে রক্ষী হাস্যভরে, ‘অতিশয় অসময়ে অভাজন-’পরে অযাচিত অনুগ্রহ ! চলেছি সম্প্রতি রাজকার্যে । সুদর্শনে, দেহে অনুমতি । বজ্ৰসেন তুলি শির সহসা কহিলা, ‘একি লীলা, হে সুন্দরী, একি তব লীলা ! পথ হতে ঘরে আনি কিসের কৌতুকে নির্দোষ এ প্রবাসীর অবমানদুখে করিতেছে অবমান !’ শুনি শু্যাম কহে, ‘হায় গো বিদেশী পান্থ, কৌতুক এ নহে, অামার অঙ্গেতে যত স্বর্ণ অলংকার সমস্ত সঁপিয়া দিয়া শৃঙ্খল তোমার নিতে পারি নিজ দেহে ; তব অপমানে মোর অন্তরাত্মা আজি অপমান মানে ’ । এত বলি সিক্তপক্ষ্ম দুটি চক্ষু দিয়া সমস্ত লাঞ্ছনা যেন লইল মুছিয়া বিদেশীর অঙ্গ হতে । কহিল রক্ষীরে “আমার যা আছে লয়ে নির্দেশষ বন্দীরে মুক্ত করে দিয়ে যাও । কহিল প্রহরী, ‘তব অকুনয় আজি ঠেলিচু সুন্দরী,