পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শারদোৎসব 8X (t পলকের তরে সকরুণ করে বুলায়ো বুলায়ো মনে— সোনা হয়ে যাবে সকল ভাবনা, আঁধার হইবে অালা । সন্ন্যাসী । পৌচেছে, তোমাদের গান আজ একেবারে আকাশের পারে গিয়ে পৌচেছে! দ্বার খুলেছে তার ! দেখতে পাচ্ছ কি শারদা বেরিয়েছেন ? দেখতে পাচ্ছ না ? দূরে, দূরে, সে অনেক দূরে, বহু বহু দূরে ! সেখানে চোখ যে যায় না ! সেই জগতের সকল আরম্ভের প্রান্তে, সেই উদয়াচলের প্রথমতম শিখরটির কাছে ! যেখানে প্রতিদিন উষার প্রথম পদক্ষেপটি পড়লেও তবু তার অালো চোখে এসে পৌছয় না, অথচ ভোরের অন্ধকারের সর্বাঙ্গে কাটা দিয়ে ওঠে— সেই অনেক অনেক দূরে! সেইখানে হৃদয়টি মেলে দিয়ে স্তব্ধ হয়ে থাকে, ধীরে ধীরে একটু একটু করে দেখতে পাবে। আমি ততক্ষণ আগমনীর গানটি গাইতে থাকি । গান ভৈরবী । একতাল। লেগেছে অমল ধবল পালে মন্দ মধুর হাওয়া। দেখি নাই কভু দেখি নাই এমন তরণী বাওয়া । কোন সাগরের পার হতে আনে কোন সুদূরের ধন ! ভেসে যেতে চায় মন, ফেলে যেতে চায় এই কিনারায় সব চাওয়া সব পাওয়া ! পিছনে ঝরিছে ঝরে ঝরো জল, গুরু গুরু দেয়া ডাকে— মুখে এসে পড়ে অরুণকিরণ ছিন্ন মেঘের ফঁাকে । ওগো কাগুরী, কে গো তুমি, কার হাসিকান্নার ধন—