পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

の 3 a l রবীন্দ্র-রচনাবলী করে সে পাষণ্ড, হৃদয়হীন, বিকৃতমস্তিষ্ক এবং স্বদেশদ্রোহী ! অতএব, তাহার কথায় কোনো মূল্য থাকিতে পারে না ; সে যে-সকল প্রমাণ আহরণ করে কোনো প্রকৃত নিষ্ঠাবান ধর্মপ্রাণ হিন্দুসস্তান তাহাকে প্রমাণ বলিয়া গণ্য করিতেই পারেন না । এমন যুক্তি আমরা আরও অনেক দিতে পারি। কিন্তু আমরা হিন্দু, পৃথিবীতে আমাদের মতো উদার, আমাদের মতো সহিষ্ণু জাতি আর নাই। আমরা পরের মতের উপর কোনো হস্তক্ষেপ করিতে চাহি না । অতএব আমাদের সর্বপ্রধান যুক্তি বীপান্ত, অর্ধচন্দ্র এবং ধোপা-নাপিত-রোধ । 〉S Sv „sta লেখার নমুনা সম্পাদকমহাশয় সমীপেষু— ধৃষ্টত মার্জন করিবেন, কিন্তু না বলিয়া থাকিতে পারি না, আপনারা এখনে লিপিতে শিখেন নাই। অমন মৃদুসম্ভাষণে কাজ চলে না । গলায় গামছা দিয়া লোক টানিতে হইবে। কিন্তু উপদেশের অপেক্ষ দৃষ্টান্ত অধিক ফলপ্রদ বলিয়া আমাদের এজেন্সি আপিস হইতে একটা লেখার নমুনা পাঠাইতেছি। পছন্দ হইলে ছাপাইবেন, দাম দিতে ভুলিবেন না । যিনি লিখিয়াছেন তিনি সাহিত্যসংসারে এক জন সুপরিচিত ব্যক্তি। বাঙ্গালার ভূগোলে সাহিত্যসংসার কোথায় আছে ঠিক জানি না ; এই পর্যন্ত জানি, আমাদের বিখ্যাত লেখককে র্তাহার ঘরের লোক ছাড়া আর কেহই চেনেন না। অতএব অনুমান করা যাইতে পারে, সাহিত্যসংসার বলিতে তিনি, তাহার বিধবা পিসি, তাহার স্ত্রী এবং দুই বিবাহযোগ্য কন্যা বুঝায়। এই ক্ষুদ্র সাহিত্যসংসারটির জীবিকা আমাদের খ্যাতনামা লেখকটির উপরেই সম্পূর্ণ নির্ভর করিতেছে, সুতরাং সকল সময়ে রুচি রক্ষা করিয়া, সত্য রক্ষা করিয়া, ভদ্রত রক্ষা করিয়া লিখিলে ইহার কোনোমতে চলে না ; অতএব উপযুক্ত লেখক এমন আর পাইবেন না । তবু কেন বলি || · দেখিয়া বিস্মিত আশ্চর্য এবং চমৎকৃত হইতে হয়, কী বলিব, চক্ষে জল আসে, কান্না পায়, অশ্রুসলিলে বক্ষ ভাসিয়া যায়, যখন দেখিতে পাই, যখন প্রত্যহ এমনকি প্রতিদিন প্রত্যক্ষ দেখা যায়— কী দেখা যায়! পোড়। মুখে কেমন করিয়া বলিব কী