পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী দক্ষিণবায়ে কোন আহবান শূন্যে জাগায় বন্দনাগান, কী খেয়াতরীর পায় সন্ধান আসে পৃথীর পারে ? গন্ধের থালি বর্ণের ডালি আনে নির্জন অঙ্গনে, জীর্ণ হে তুমি দীর্ণ দেবতালয়, বকুল শিমুল আকন্দ ফুল কাঞ্চন জবা রঙ্গনে পূজাতরঙ্গ দুলে অম্বরময় । NR প্ৰতিমা নাহয় হয়েছে। চুৰ্ণ, বেদীতে নাহয় শূন্যতা, জীর্ণ হে তুমি দীর্ণ দেবতালয়, নাহয় ধুলায় হল লুষ্ঠিত আছিল যে চুড়া উন্নতা, সজা না থাকে কিসের লজা ভয় ? বাহিরে তোমার ওই দেখো ছবি, ভগ্নাভিত্তিলগ্ন মাধবী, নীলাম্বরের প্রাঙ্গণে রবি হেরিয়া হাসিছে স্নেহে । আন্দোলি উঠে মঞ্জরীগুলি, নবীন প্ৰাণের হিল্লোল তুলি প্ৰাচীন তোমার গেহে । সুন্দর এসে ওই হেসে হেসে জীর্ণ হে তুমি দীর্ণ দেবতালয় । ভিত্তিরস্ত্ৰে বাজে আনন্দে ঢাকি দিয়া তব ক্ষুন্নতা রূপের শঙ্খে অসংখ্য “জয় জয়” । w) সেবার প্রহরে নাই আসিল রে যত সন্ন্যাসী-সজনে, জীর্ণ হে তুমি দীর্ণ দেবতালয় । নাই মুখারিল পার্বণ-ক্ষণ ঘন জনতার গর্জনে, অতিথি-ভোগের না রহিল সঞ্চয় ।