পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সান ইসিড়ো ২৯ ডিসেম্বর ১৯২৪ পূরবী বিলুপ্তির ধূলি দিয়ে যাহা খুশি সৃষ্টি করে তাই, এই আছে এই তাহা নাই । ভিত্তিহীন ঘর বেঁধে আনন্দে কাটায়ে দেয় বেলা, মূল্য যার কিছু নাই তাই দিয়ে মূল্যহীন খেলা, ভাঙাগড়া দুই নিয়ে নৃত্য তার অখণ্ড উল্লাসে— মোরে ভালোবাসে । शिळान् জীবন-মরণের স্রোতের ধারা যেখানে এসে গেছে থামি সেখানে মিলেছিনু সময়হারা একদা তুমি আর আমি । চলেছি আজ এক ভেসে কোথা যে কত দূর দেশে, তরণী দুলিতেছে ঝড়ে— এখন কেন মনে পড়ে যেখানে ধরণীর সীমার শেষে স্বৰ্গ আসিয়াছে নামি সেখানে একদিন মিলেছি। এসে কেবল তুমি আর আমি | সেখানে বসেছিনু আপন-ভোলা আমরা দোহে পাশে পাশে । দুলিয়া উঠে ঘাসে ঘাসে । কিসের খুশি উঠে কেঁপে নিখিল চরাচর বোপে, আঁধারে হল তারাময়, প্ৰাণের নিশ্বাস কী মহাবেগে ছুটেছে দশদিকগামী— সেদিন বুঝেছিনু যেদিন জেগে চাহিনু তুমি আর আমি । তোমার হাত নিয়ে হাতে । দোহার কারো মুখে কথাটি নাহি, নিমেষ নাহি আঁখিপাতে । Տ ՏԳ