পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○)○ রবীন্দ্র-রচনাবলী লক্ষেশ্বর । তোমার উপরে ভক্তি হচ্ছে। তা হলে আর বিলম্ব কোরো না— এইখন থেকে একটুখানি শেখর । আমি তফাতেই যাচ্ছি- তফাতে যাব বলেই বেরিয়েছি । {थशन লক্ষেশ্বর । “তফাতে যাব বলেই বেরিয়েছি!” লোকটা যখন কথা কয় সব ঝাপসা ঠেকে। রাজার স্পষ্ট কথা সহ্য করতে পারে না, তাই বোধ হয় দায়ে পড়ে এইরকম অভ্যোস করেছে। { প্ৰস্থান পুঁথি প্রভৃতি লইয়া উপনন্দের প্রবেশ ও একটি কোণে লিখিতে বসা ঠাকুরদাদা ও বালকগণের প্রবেশ সাদা মেঘের ভেলা । একজন বালক । ঠাকুরদা, তুমি আমাদের দলে । দ্বিতীয় বালক । না ঠাকুরদা, সে হবে না, তুমি আমাদের দলে । ঠাকুরদাদা । না ভাই, আমি ভাগাভাগির খেলায় নেই ; সে সব হয়ে বয়ে গেছে । আমি সকল দলের মাঝখানে থাকিব, কাউকে বাদ দিতে পারব না। এবার গানটা ধর। 5R আজ ভ্রমর ভোলে মধু খেতে আজ কিসের তরে নদীর চরে। চখচখীর মেলা । অন্য দল আসিয়া । ঠাকুরদা, এই বুঝি ! আমাদের তুমি ডেকে আনলে না কেন । তোমার সঙ্গে আড়ি ; জন্মের মতো আড়ি । ঠাকুরদাদা। এত বড়ো দণ্ড ! নিজেরা দোষ করে আমাকে শান্তি ! আমি তোদের ডেকে বের করব, না তোরা আমাকে ডেকে বাইরে টেনে আনবি । না ভাই, আজ ঝগড়া না, গান ধর । 5R ওরে যাব না, আজ ঘরে রে ভাই যাব না। আজ ঘরে { ওরে আকাশ ভেঙে বাহিরকে আজ ; নেব রে লুঠ করে । যেন জোয়ার জলে ফেনার রাশি বাতাসে আজ ছুটছে হাসি, আজ বিনা কাজে বাজিয়ে বাশি কাটবে সকল বেলা । প্রথম বালক । ঠাকুরদা, ঐ দেখো কে আসছে, ওকে তো কখনো দেখি নি। ঠাকুরদাদা। পাগড়ি দেখে মনে হচ্ছে লোকটা পরদেশী ।