{०*४|| \S S G দুখের দোলে হঠাৎ মোরে দোলায় কাজের মাঝে লুকিয়ে থেকে আমারে কাজ ভোলায় । সে মোর চিরদিনের বলে তারি পুলকে মোর পলকগুলি ভরে ক্ষণে ক্ষণে । প্রথম বালক । কিন্তু আর লিখতে ভালো লাগছে না । দ্বিতীয় বালক | না, আর নয় । সকলে ; আজ এই পর্যন্ত থাক । উপনন্দ । আমাকে বাচালে । এখন পুঁথিগুলি ফিরে দাও । প্রথম বালক । আচ্ছা পরদেশী, তুমি এত গান গাও কেন ? শেখর । আর কোনো গুণ যদি থাকত তা হলে গাইতোম না । ঐ দেখো-না কেন, তোমাদের সেই লক্ষ্মী পেচা তো গান গায় না | সকলে ! না, সে চেচায় । শেখর । তার মানে, সারা বস্তুর দ্বারা ভরতি হয়ে ও একেবারে নিরেট । দ্বিতীয় বালক ৷ পরদেশী, তোমার দেশের গল্প তুমি আমাদের শোনাবে ? শেখর । আমার দেশের গল্প ভারি অদ্ভুত । সকলে । আমরা অদ্ভূত গল্প শুনব । শেখর । আচ্ছা, তা হলে চলো, কোপাই নদীর ধার দিয়ে একবার পারুলডাঙায় তোমাদের ঘুরিয়ে নিয়ে; আসি গে । চলতে চলতে গল্প হবে । সন্ন্যাসী ! এই দেখো, ওর সঙ্গে আমরা পারব না- আমাদের সব চেলা ভাঙিয়ে নিলে । শেখর । ভাঙিযে নেওয়া সহজ, কিন্তু টিকিয়ে রাখা শক্ত | এখনই ফিরে আসবে ! { বালীকদলের সঙ্গে শেখরের প্রস্থান সন্ন্যাসী । বাবা উপনন্দ, তোমার প্রভুর কী নাম ছিল । উপনন্দ । সুরসেন ।
- াসী ! সূরসেন ! বীণাচাৰ্য ।
উপনন্দ । ই ঠাকুর, তুমি তাকে জানতে ? সন্ন্যাসী ; আমি তার বীণা শুনব আশা করেই এখানে এসেছিলেম । উপনন্দ । তার কি এত খ্যাতি ছিল ! ঠাকুরদাদা । তিনি কি এত বড়ো গুণী ! তুমি তার বাজনা শোনবার জন্যেই এদেশে এসেছ % তবে তা আমরা তাকে চিনি নি । সংগ্রাসী ; এখানকার রাজা ? 2কুরদাদা । এখানকার রাজা তো কোনোদিন তাকে জানেন নি, চক্ষেও দেখেন নি । তুমি তার বীণা * কেয় শুনলে ।
- গ্লাসী | তোমরা হয়তো জান না বিজয়াদিত্য বলে একজন রাজা— 2কুরদাদা । বল কী ঠাকুর । আমরা অত্যন্ত মুখ, গ্রাম্য, তাই বলে বিজয়াদিত্যের নাম জািনব না * 6 ক হয় ? তিনি যে আমাদের চক্রবর্তী সম্রাট ।
- াসী । তা হবে । তা সেই লোকটির সভায় একদিন সুরসেন বীণা বাজিয়েছিলেন তখন * "ইলেম । রাজা তাকে রাজধানীতে রাখবার জন্যে অনেক চেষ্টা করেও কিছুতেই পারেন নি ।
’কুরদাদা । হায় হায়, এত বড়ো লোকের আমরা কোনো আদর করতে পারি নি । সন্ন্যাসী । বাবা উপনন্দ, তোমার সঙ্গে তার কিরকমে সম্বন্ধ হল ? ?
