পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SL N રે রবীন্দ্র-রচনাবলী পারে । এনে দিলুম আমার কাপড়ের তোরঙ্গ তোমার চরণতলে । হাততালি দিয়ে উঠলে খুশিতে " “ সে কী কথা ! আমি কি জানি আমন নিঃশেষ করে দেবে ?” “আশ্চর্য হও কেন ? দুঃসাধ্য ক্ষতিসাধনের শক্তি এই দেহে দুৰ্জয় বেগে সঞ্চার করলে কে y সংগ্রহের ভর যদি থাকত আমাদের গণেশ মজুমদারের পরে তা হলে তার পৌরুষ আমার কাপড়ের दाड़ कटि तद्भर्ड याडि नाभाना ।" HS z DDS SBDB DBDBB BB DDD S “দুঃখ কোরো না । একান্ত শোচনীয় নয়, দুটাে জামা রাঙিয়ে রেখে দিলুম নিত্য আবশ্যকের গরজে, পালা করে কোচে পরা চলছে । আরো দুটো আছে৷ আপদ্ধর্মের জন্যে ভাজ করা । যদি কোনোদিন সন্দিগ্ধ সংসারে ভদ্রবংশীয় বলে প্রমাণ দেবার প্রয়োজন ঘটে সেই জামা দুটােতে ধোবা-দরজির সাটিফিকেট রইল ।” “সৃষ্টিকর্তার সাটিফিকেট রয়েছে ঐ চেহারাতেই— সাক্ষী ডাকতে হবে না তোমার !" “স্তুতি ! নারীর দরবারে স্তবের অত্যুক্তি চিরদিন পুরুষদেরই অধিকারভুক্ত, তুমি উলটিয়ে দি৩ে Sic "y" “হাঁ চাই | প্রচার করতে চাই, আধুনিক কালে মেয়েদের অধিকার বেড়ে চলেছে । পুরুষের সম্বন্ধে ও সত্য বলতে তাদের বাধা নেই । নব্য সাহিত্যে দেখি বাঙালি মেয়েরা নিজেদেরই প্রশংসায় মুখর, দেবীপ্রতিমা বানাবার কুমোরের কাজটা নিজেরাই নিয়েছে । স্বজাতির গুণগরিমার উপরে সাহিত্যিক রঙ চড়াচ্ছে । সেটা তাদের অঙ্গরাগেরই শামিল, স্বহস্তের বাটা, বিধাতার হাতের নয় । আমার এতে লেজা করে | এখন চলে বসবার ঘরে ।” ”এ ঘরেও বসবার জায়গা আছে । আমি তো একাই একটা বিরাট সভা নাই ।” “আচ্ছ। তবে বলে জরুরি কথাটা কী ?” “হঠাৎ কবিতার একটা পদ মনে পড়ে গেছে। অথচ কোথায় পড়েছি, কিছুতেই মনে আসছে না। সকাল থেকে হাওয়া হাতাড়িয়ে বেড়াচ্ছি । তোমাকে জিজ্ঞাসা করতে এলুম ?” “অত্যন্ত জরুরি দেখছি । আচ্ছা বলে ।” “একটু ভেবে বলে। কার রচনা তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ ।” “ কোনো নামজাদা কবির তো নয়ই ।” “পূর্বশ্রত বলে মনে হচ্ছে না তোমার ?” * চেনা গলার আভাস পাচ্ছি একটুখানি । অন্য লাইনটা গেছে কোথায় ?” “আমার বিশ্বাস ছিল, অন্য লাইনটা আপনি তোমার মনে আসবে ।” “তোমার মুখে যদি একবার শুনি তা হলে নিশ্চয় মনে আসবে ।” - -{t^6וז*) >)&י প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস, তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ ।” অতীনের মাথায় করাঘাত করে এলা বললে, “আজকাল কী পাগলামি শুরু করেছ তুমি ?” “সেই চৈত্রমাসের বারবেলা থেকেই আমার পাগলামি শুরু । যে-সব দিন চরমে না পৌছোতেই ফুরিয়ে যায় তারা ছায়ামূর্তি নিয়ে ঘুরে বেড়ায় কল্পলোকের দিগন্তে । তোমার সঙ্গে আমার মিলন সেই মরীচিকার বাসরঘরে । আজ সেইখানে তোমাকে ডাক দিতে এলুম— কাজের ক্ষতি করব ।”