পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q)の রবীন্দ্র-রচনাবলী অশেষের মধ্যে আমিসুদ্ধ ভাসিয়া গেলে নষ্ট হইতে হইবে। অন্তরের মধ্যে একটা সমাধার পন্থা আছে। বাহিরে উপকরণের অন্ত নাই, কিন্তু অন্তরে সন্তোষ আছে ; বাহিরে দুঃখবেদনার অন্ত নাই, কিন্তু অন্তরে ধৈৰ্য আছে; বাহিরে প্রতিকূলতার অন্ত নাই, কিন্তু অন্তরে ক্ষমা আছে; বাহিরে লোকের সহিত সম্বন্ধভাবের অস্ত নাই, কিন্তু অন্তরে প্রেম আছে ; বাহিরে সংসারের অন্ত নাই, কিন্তু আত্মাতে আত্মা সম্পূর্ণ। এক দিকের অশেষের দ্বারাতেই আর-এক দিকের অখণ্ডতার উপলব্ধি পরিপূর্ণ হইয়া থাকে। গতির দ্বারাতেই স্থিতিকে মাপিয়া লইতে হয়। এইজন্য ভারতবর্ষ মানুষের জীবনকে যেরূপ বিভক্ত করিয়াছিলেন, কর্ম তাহার মাঝখানে ও মুক্তি তাহার শেষে । দিন যেমন চার স্বাভাবিক অংশে বিভক্ত- পূর্বাহু, মধ্যাহ্ন, অপরাহু এবং সায়াহ্ন, ভারতবর্ষ জীবনকে সেইরূপ চারি আশ্রমে ভাগ করিয়াছিল। এই বিভাগ স্বভাবকে অনুসরণ করিয়াই হইয়াছিল। আলোক ও উত্তাপের ক্রমশ বৃদ্ধি এবং ক্রমশ হ্রাস যেমন দিনের আছে, তেমনি মানুষেরও ইন্দ্ৰিয়াশক্তির ক্রমশ উন্নতি এবং ক্রমশ অবনতি আছে | সেই স্বাভাবিক ক্রমকে অবলম্বন করিয়া ভারতবর্ষ জীবনের আরম্ভ হইতে জীবনান্ত পর্যন্ত একটি অখণ্ড তাৎপর্যকে বহন করিয়া লইয়া গেছে। প্রথমে শিক্ষা, তাহার পরে সংসার, তাহার পরে বন্ধনগুলিকে শিথিল করা, তাহার পরে মুক্তি ও মৃত্যুর মধ্যে প্রবেশব্ৰহ্মচৰ্য, গাৰ্হস্থ্য, বানপ্ৰস্থ ও প্ৰব্ৰজা । আধুনিককালে আমরা জীবনের সঙ্গে মৃত্যুর একটা বিরোধ অনুভব করি। মৃত্যু যে জীবনের পরিণাম, তাহা নহে, মৃত্যু যেন জীবনের শত্ৰু । জীবনের পর্বে পর্বে আমরা অক্ষমভাবে মৃত্যুর সঙ্গে ঝগড়া করিয়া চলিতে থাকি। যৌবন চলিয়া গেলেও আমরা যৌবনকে টানাটানি করিয়া রাখিতে চাই। ভোগের আগুন নিবিয়া আসিতে থাকিলেও আমরা নানাপ্রকার কাঠখড় জোগাইয়া তাহাকে জাগাইয়া রাখিতে চাই। ইন্দ্ৰিয়াশক্তির হ্রাস হইয়া আসিলেও আমরা প্ৰাণপণে কাজ করিতে চেষ্টা করি। মুষ্টি যখন স্বভাবতই শিথিল হইয়া আসে, তখনাে আমরা কোনােমতেই কোনাে-কিছুর দখল ছাড়িতে চাই না। প্রভাত ও মধ্যাহ্ন ছাড়া আমাদের জীবনের আর-কোনাে অংশকে আমরা কিছুতেই স্বীকার করিতে ইচ্ছা করি না । অবশেষে যখন আমাদের চেয়ে প্রবলতর শক্তি কনে ধরিয়া স্বীকার করিতে বাধা করায়, তখন হয় বিদ্রোহ, নয় বিষাদ উপস্থিত হয়- তখন আমাদের সেই পরাভব কেবল রণে-ভঙ্গরূপেই পরিণত হয়, তাহাকে কোনো কাজে লাগাইতেই পারি না । যে পরিণামগুলি নিশ্চয় পরিণাম, তাহাদিগকে সহজে গ্রহণ করিবার শিক্ষা হয় নাই বলিয়া কিছুই নিজে ছাড়িয়া দিই না, সমস্ত নিজের কােছ হইতে কড়িয়া লইতে দিই। সত্যকে অস্বীকার করি বলিয়া পদেপদেই সত্যের নিকট १द्धालु श्ठ शकि | কঁচা আমি শক্ত বেঁটা লইয়া ডালকে খুব জোরে আকর্ষণ করিয়া আছে, তাহার অপরিণত আঁটির গায়ে তাহার অপরিণত শাস আঁটিয়া লাগিয়া আছে। কিন্তু প্রত্যহ সে যতটুকু পাকিতেছে, ততটুকু পরিমাণে তাহার বেঁটা চিলা হইতেছে, তাহার, আঁটি শািস হইতে আলগা, সমস্ত ফলটা গাছ হইতে পৃথক হইয়া আসিতেছে। ফল যে একদিন গাছের বাঁধন হইতে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র হইয়া যাইবে, ইহাঁই তাহার সফলতা--- গাছকে চিরকাল আঁটিয়া ধরিয়া থাকিলেই সে ব্যৰ্থ । ফলের মতো আমাদের ইন্দ্ৰিয়াশক্তিও একদিন সংসারের ডাল হইতে সমস্ত রস আকর্ষণ করিয়া লইয়া শেষকালে এই ড়ালকেঁ ত্যাগ করিয়া ধূলিসাৎ হয় । ইহা জগতের নিয়মেই হয়, ইহার উপরে আমাদের হাত নাই। কিন্তু ভিত্তি: যেখানে আমাদের স্বাধীন মনুষ্যত্ব, যেখানে আমাদের ইচ্ছাশক্তিত্ন লীলা, সেখানকার পরিণতিয় প? ইচ্ছাশক্তিই একটা প্রধান শক্তি । এঞ্জিনের বয়লারের গায়ে যে তাপমান যন্ত্রটা আছে, তথার : uBBBSO0tBB LG DS OOS gg DBB00 K0S gTT0 BD BSBDB OOO SuSS S સમર્ડ્સિ, ૭ાંશ િિમડ્રિડ ફેલિ છે(sફે મિર્ઝા પોત , મિણિ સિહિત શાંતિ '; }.” আমাদের প্রবৃত্তির উত্তেজনা ও কর্মে উৎসাহকে ধাড়াইব কি কমাইব, তাহা আমাদের গৃষ্ঠাত { /** যথাসময়ে বাড়ানৌ-কমানের দ্বারাতেই আমরা সফলতাগোড় করি ।