পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় দৃশু রম। :) তখন ত জানি নি মা, বাষ্টরে থেকে ছুটে এসে ভাল করতে যাওয়ার বিড়ম্বন এত । সে কাজ এত কঠিন । রম । কেন জ্যাঠাইমা ? বিশ্বেশ্বরী। আগে যে দশের সঙ্গে এক ইযে মিলতে হয়, সে কথা ত তখন মনেও ভাবি নি। প্রথম থেকেই সে তার মস্ত জোর, মস্ত প্রাণ নিযে এতই উচুতে এসে দাড়াল যে কেউ তার নাগালষ্ট পেলে না। কিন্তু এখন ভাবি তাকে নাবিয়ে এনে ভগবান মঙ্গল করেছেন । রম ! ভগবান নয় জ্যাঠাইমা —আমরা । কিন্তু আমাদের অধৰ্ম্ম র্তাকে কেন নাবিয়ে আনবে ? বিশ্বেশ্বরী। আনবে বই কি মা, নইলে পাপ আর এত ভয়ঙ্কর, কেন ? উপকারের প্রত্যুপকার কেউ যদি না-ই করে, এমন কি উল্টে অপকার করে তাতেই বা কি আসে যায় মা, মানুষের কৃতঘ্নতায় যদি ম দাতাকে নাবিয়ে আনে। তুই বলুচিস্ রম, কিন্তু তোদের গ্রাম কি আর রমেশকে ঠিক তেমৃনিটি ফিরে পাবে ? তোর স্পষ্ট দেখতে পাবি সে যে হাত দিয়ে দশের কল্যাণ করে বেড়াত, তার সেই হাতটাই ভৈরব আচাযিা—আর এক ভৈরব কেন, তোদের সবাই মিলে মুচড়ে ভেঙ্গে দিযেছে । কে জানে, হয় ত, ভালই হয়েছে । তাঁর বলিষ্ঠ সমগ্র হাতের অপৰ্যাপ্ত দান গ্রহণ করবার শক্তি যখন লোকের ছিল না, তখন এই ভাঙা হাতটাই তাদের সত্যিকার কাজে লাগবে । এই বলিয়া তিনি গভীর নিশ্বাস ত্যাগ করিলেন । র্তাহার হাতখানি রমা নীরবে কিছুক্ষণ নাড়া চাড়া করিয়া নিজের দীর্ঘশ্বাস মোচন করিল রম। জ্যাঠাইমা ? বিশ্বেশ্বরী । কেন মা ?