* ३१ রম চতুর্থ অঙ্ক রম । লাঞ্ছনা-গঞ্জন আর আমার গাযে লাগে না, মা । মিথ্যে সাক্ষী দিয়ে যেদিন তঁকে জেলে দিয়েছি, সেদিন থেকে জগতের সমস্ত ব্যথা কেবল পরিহাঁস হয়ে গেছে । বিশ্বেশ্বরী । এমনিই হয় মা । রমা। সকলে বলতে লাগলেন শক্রকে যেমন কোরে হোকু নিপাত করতে দোষ নেই। র্তারা তাই করেছেন । কিন্তু, আমার ত সে কৈফিয়ৎ নেই জ্যাঠাইমা ! বিশ্বেশ্বরী । তোমারই বা নেই কেন ? রম । না মা, নেই –একটা কথা আজ তোমার কাছে স্বীকার কোরব জ্যাঠাইমা । মোড়লদের বাড়ীতে ছেলেরা জড় হয়ে রমে জার কথা মত সৎ আলোচনাই কোরত । বদমাইসের দল বলে তাদের পুলিসে ধরিয়ে দেবার একটা মংগ৪ চলছিল। আমি লোক পাঠিরে তাদের সাবধান করে দিই। কারণ, পুলিস ত এই চায়। একবার তাদের হাতে পেলে ত আর রক্ষে রাখত না । বিশ্বেশ্বৰী । ( শিহরিয়া ) বলিল কিরে? নিজের গ্রামের মধ্যে পুলিসের উৎপাত বেণী মিথ্যে কোরে ডেকে আনতে চেয়েছিল ? রম । মনে হয় বড়বার এই শাস্তি তারই ফল । আমাকে মাপ করতে পারবে জাiঠাষ্টমা ? বিশ্বেশ্বরা । তার মা হযে এ যদি না ক্ষমা করতে পারি, কে পরিবে বম ? আমি আশীৰ্ব্বাদ করি এর পুরস্কার ভগবান তোমাকে যেন দেন । ব্লমা । ( হাত দিয়া অভ্র মুছিয়া ফেলিল ) আমার এই একটা সান্থন, তিনি ফিরে এসে দেখবেন তার আনন্দের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়ে আছে। যা তিনি চেখেছিলেন, তার সেই দেশের দীন-দুঃখীরা এবার ঘুম ভেঙে উঠে বসেছে। তাকে চিনেছে, তাকে ভালবেসেছে। এই ভালবাসার
পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।