& রমা প্রথম অঙ্ক ভুলতে পারি নি বড়দা । মা যখন মারা গেলেন তখন ত ও ছোট ; কিন্তু তখনি আমার চোখ মুছিয়ে দিয়ে বলেছিল, তুমি কেঁদে না রমেশদ, আমার মাকে আমরা দুজনে ভাগ ক’রে নেব । তোমার বোধ হয় মনে পড়ে না ? না ? আমার মাকে মনে পড়ে ত ? রম নিরক্তর। লজ্জায় যেন তাহার মাথ আরও হেঁট হইয়া গেল রমেশ । কিন্তু আর ত সময় নেই ভাই। যা’ করবার করে দাও,— যাকে বলে একান্ত নিরাশ্রয় আমি তাই হয়েই আবার তোমাদের দোর গোড়ায় ফিরে এসে দাড়িয়েছি । তোমরা না গেলে এতটুকু ব্যবস্থা পৰ্য্যস্ত श्*उ श्ं न1 ।। মাসি। ( কাছে আসিয়া রমেশের মুখের দিকে চাহিয়া ) তুমি বাপু, তারিণী ঘোষালের ছেলে না ? রমেশ নিঃশব্দে বিস্ময়ে চাহিয়া রহিল মাসি। আগে ত দেখ নি, চিনতে পারবে না বাছ,—আমি রমার আপনার মাসি। কিন্তু এমন বেহায় পুরুষ মানুষ তোমার মত আর ত দেখি নি। যেমন বাপ তেমূনিই কি ব্যাট ? বলা নেই, কছা নেই, একটা গেরস্তর বাড়ীর খিড়কীতে ঢুকে উৎপাত করতে সরম হয় না তোমার ? রমা। কি বোকৃচ মালি, নাইতে যাও না । বেণীর নিঃশব্দে প্রস্থান মালি। নে রম, বকিস্নে। যে কাজ করতেই হবে তাতে তোদের মত আসার চক্ষু-লজ্জা হয় না। বলি, বেণীর অমন কোরে পালানোর কি দরকার ছিল ? বলে গেলেই ত হোত আমরা বাপু তোমার গোমস্তাও মই, খাল-তালুকের প্রজাও নই যে তোমার কৰ্ম্মবাড়ীতে জল তুলতে ময়দ স্বাখন্তে মাবো। তারিণী মরেছে লোকের হাড় জুড়িয়েছে। এ কথাটা
পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।