পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बक्रर्गबरजप्रका হইবেন না;—ইত্যাদি নানারপে প্রলোভন ও ভয় প্রদর্শন করিয়া, সতীশচন্দ্র অনেক জমীদারকে সম্রাটপক্ষাবলম্বী করিয়াছেন। সেই জমীদারগণ এক্ষণে শত্রুসৈন্যদিগকে খাদ্যদ্রব্য পাঠাইবেন না স্বীকার করিয়াছিলেন। সতরাং আর পাঁচ সাতদিনের মধ্যে শত্রগণ আহার ཨཊྛཱནཝ ཝས ཝཧ ཏིཊྛཱ། ཝཱཏཔཱནཀཐཱ ཨཀཏྭཱ ཨཏིཀྐམ། ། ་མ་དལ་ ཙ་ཀ་ ག་ཐོན། ཨཐ ཝཱ ཨཨ༤ i. রাজা সতীশচন্দ্রকে বহন সম্মানপবেক বিদায় দিলেন, ইন্দ্রনাথের প্রতি চাহিয়া বলিলেন,— ইন্দ্রনাথ, আমার কথা সত্য কি না ? ইন্দ্র। মহাশয়! আপনি যুদ্ধে ষেরপ অজেয়, কৌশলে সেরাপ অতুল্য । কিন্তু— ब्राछा। किडू कि ? ইন্দ্র। আমি কাহারও বিপক্ষে কিছু বলিতে ইচ্ছা করি না, কিন্তু সতীশচন্দ্রের সমস্ত কথা আপনি কি বিশ্বাস করেন ? রাজা। তরণে সেনাপতি কি টোডরমল্লকে রাজনীতি শিক্ষা দিতে চাহেন ? কাহাকে বিশ্বাস করিতে হইবে, কাহাকে অবিশ্বাস করিতে হইবে, তাহা ইন্দ্রনাথ কি আমা অপেক্ষা ভাল জানেন ? ইন্দ্র। মহারাজ ! আমার অপরাধ লইবেন না, কিন্তু হইতে পারে এই সতীশচন্দ্রের সম্বন্ধে আপনি যাহা জানেন, আমি তাহা অপেক্ষা অধিক জানি। রাজা। হইতে পারে ইন্দ্রনাথ যতদরে জানেন, আমিও ততদরে জানি; হইতে পারে ইন্দ্রনাথের মনে এইক্ষণে কি চিন্তা হইতেছে তাহাও আমি জানি। ইন্দ্রনাথ বিস্ময়ে অবাক হইয়া রাজার দিকে চাহিয়া রহিলেন; রাজা পাবের ন্যায় পনরায় ঈষৎ হাসিতে হাসিতে বলিলেন,—এই সতীশচন্দ্র রাজা সমরসিংহকে হত্যা করিয়াছে, ইন্দ্রনাথ তাহাই চিন্তা করিতেছেন। ইন্দ্রনাথ বিস্ময়ে সংজ্ঞাশন্যের ন্যায় হইলেন, বলিলেন,—মহারাজ ! ক্ষমা করন। আপনি অস্তষামী । রাজা গম্ভীরস্বরে উত্তর করিলেন,—ইন্দ্রনাথ ! কেবল ভগবানই অন্তৰ্য্যামী; কিন্তু দিল্লীশ্বরের সেনাপতি চারিদিকের সন্ধান না রাখিয়া কোন কায্যে প্রবত্ত হয় না। যুদ্ধকাষে আমার কেশ শক্লে হইয়াছে, ভগবানের ইচ্ছায় যুদ্ধকৌশল কিছু শিখিয়াছি। ইন্দ্রনাথ ক্ষণেক মৌনভাবে থাকিয়া পরে জিজ্ঞাসা করিলেন—মহারাজ। তবে রাজা সমরসিংহের হত্যাকথা আপনি অবগত আছেন। - রাজা গম্ভীরস্বরে উত্তর করিলেন,—সে হত্যাকথা আমি জানি, এবং যথাকালে সে হত্যার বিচার করিব। আমার পত্রকে হত্যা করিলে হত্যাকারীকে ক্ষমা করিতে পারি, কিন্তু রাজা সমরসিংহের হত্যাকারীকে ক্ষমা করিতে পারি না। সেইদিন রাত্রি একপ্রহরের সময়ে সতীশচন্দ্র গঙ্গাতীরে পদচারণ করিতেছেন। আজি তিনি রাজার নিকট সন্মান প্রাপ্ত হইয়াছেন, তাঁহার হৃদয় উল্লাসে পরিপরিত হইয়াছে, মায়াবিনী আশা তাঁহার কাণে কাণে বলিতেছে, “তুমি একদিন পাপের দণ্ডের ভয় করিয়াছিলে, সে পাপ কে জানিতে পারিয়াছে ? দণ্ড কোথায় ? এখন দিন দিন তোমার সমানবদ্ধি হউক, পদবদ্ধি হউক।” সন্য অস্তে যাইবার সময় অবধি কুহকিনী আশা তাঁহার কাণে কাণে এই প্রকারে বলিতেছিল, সেই সয্যে পনরায় উদয় হইবার আগ্নে সতীশচন্দ্র বুঝিলেন, আশা মায়াবিনী, कूशक्नौ, शिथावामिनौ । সহসা চন্দ্রালোকে সতীশচন্দ্র একজন দস্যকে দেখিতে পাইলেন। দেখিতে দেখিতে সেই দস্য ছরিকাহন্তে সতীশচন্দ্রের দিকে দৌড়াইয়া আসিল । সতীশচন্দ্র পলাইবার চেষ্টা করিলেন, কিন্তু সে চেস্টা ব্যথা, সেই হত্যাকারী ছুরিকাহন্তে সতীশচন্দ্রকে আঘাত করিল। সতীশচন্দ্রের ভৃত্যগণ তখন দৌড়াইয়া আসিয়া খঙ্গ দ্বারা দস্যকে ভূতলশায়ী করিল। মতপ্রায় দস্য বলিল,—সতীশচন্দ্র আপনার মৃত্যু সন্নিকট। । নরাধম! ভগবান আমাকে রক্ষা করিয়াছেন, তোর আঘাতে সামান্য মাত্র রক্ত ! দস্য। সেই সার্মান্য আঘাতে আপনার প্রাণনাশ হইবে, আমার ছরিকা বিষাক্ত। প্রভু! আপনি আমাকে কি জানেন না ? Գ Տ