পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्टभश्च ब्रङञाबल" 6 * শকুনি নিস্তন্ধ হইল। তাহার কথা শুনিয়া রাজা চিন্তাশীল হইয়া মস্তক অবনত করিলেন। সমস্ত সভা নিবাক, নিস্তব্ধ! r সাদাঁকখাঁ বলিলেন,—মহারাজ ! আপনি সেনাপতি, সেনাপতির ধৰ্ম্ম ভুলিবেন না। আপনি শাসনকৰ্ত্তা, শাসনকত্তার ধাম ভুলিবেন না। দোষীকে দণ্ডবিধান করন। রাজা উত্তর দিলেন না। সমরেন্দ্রনাথ বলিলেন,—এই বিধবা ও অনাথার আপনি ভিন্ন আর কেহ নাই, ইহাদের বিচার করন, দোষীকে দণ্ড দিন। দেওয়ান সতীশচন্দ্র মৃত্যুকালে আপনার নিকট বিচার প্রাথনা করিয়াছিলেন, আপনি তাঁহার হত্যার বিচার করন। রাজা উত্তর দিলেন না। সভাসদগণ বলিল,—মহারাজ ! আপনি শিটের পালন করিবেন, দন্টের দমন করিবেন, আপনি শান্তি না দিলে এই মহাপাপীকে কে দণ্ড দিবে ? রাজা উত্তর দিলেন না। ইতিমধ্যে সেই সভার কিছদরে একটা অতিশয় গোলমাল হইয়া উঠিল । দেখিতে দেখিতে একজন দীঘকায়, শীণকলেবর, কৃষ্ণবণ, মলিনবেশ সত্রীলোক সেই সভার নিকট দৌড়াইয়া আসিল। চীৎকার শব্দ করিয়া ভূমিতে পতিত হইল। সে বিশ্বেশ্বরী পাগলিনী। শকুনি এতক্ষণে স্থিরভাবে ছিল, কিন্তু পাগলিনীকে দেখিয়া একেবারে কম্পিত কলেবর হইল। পাগলিনী দণ্ডায়মান হইয়া বলিতে লাগিল,— মহারাজ ! আমাকে রক্ষা করন। পামর আমার মাতাকে বধ করিয়াছে, আমি তাহা বচক্ষে శా శా శా ఇe fళా గా, ఇళా శా బాగ | মনােন্ত স্থিত হল। জিজ্ঞাসা করায় পাগলিনী রহিয়া রহিয়া আত্মবিবরণ গল । পাগলিনী গোপকন্যা, তাহার মাতা গ্রামের মধ্যে সন্দেরী ছিল, সন্দেরী গোপ বিধবাকে দেখিয়া একজন ব্রাহ্মণ মোহিত হয়েন। তাহার ঔরসে সেই গোপসল্লীর গভে শকুনির জন্ম হয়। শকুনির পিতা যতদিন জীবিত ছিলেন, ততদিন সে গোপবনিতা ও তাহার পর্বেস্বামীর ঔরসজাত কন্যা বিশ্বেশ্বরীকে লালন পালন করিয়াছিলেন। পরে তাহার মৃত্যুর পর শকুনি অলপ বিষয়ের উত্তরাধিকারী হয়। সকলে তাহাকে জারজ বলাতে শকুনি অলপ বয়সে অতিশয় ক্ষম হইল। মাতার প্রতি নিঠর আচরণ করিত ও প্রহার করিত, সে বিধবা অচিরে শরীরের ও মনের ক্লেশে পীড়িত হইল, সেই পীড়ায় প্রাণ হারাইল। বিশ্বেশ্বরী পলাইল, মাতার মৃত্যু হইতে পাগলিনী হইল। শকুনি এই মহাপাতকের পর দেশত্যাগ করিয়া সতীশচন্দ্রের গহে ব্ৰাহ্মণপত্র বলিয়া আপনার পরিচয় দিল । বিশ্বেশ্বরী প্রাণভয়ে অনেকদিন অবধি দেশদেশাস্তরে লুকাইয়া বেড়াইত। অবশেষে যে দিন বনগ্রাম হইতে মহাশ্বেতা ও সরলা চতুবেটিত দাগে বন্দীরপে নীত হয়েন, সেই দিন বিশ্বেশ্বরীও বন্দীরপে চতুবেষ্টিত দাগে নীত হয়। পাছে বিশ্বেশ্বরী শকুনির জন্মের কলঙ্কের কথা কাহারও নিকট প্রকাশ করে, সেই জন্য তাহাকে চতুবোটিত দাগের মধ্যে এতদিন বদ্ধ করিয়া রাখা হইয়াছিল। এক্ষণে শকুনি বন্দী হইলে পর বিশ্বেশ্বরী সেই কারাগার হইতে মুক্তি পাইয়া আসিয়াছে, কিন্তু কারাবাসে তাহাকে ষে কটে রাখা হইয়াছিল, তাহাতে তাহার শরীরে কেবল অস্থিচৰ্ম্ম অবশিষ্ট ছিল। তাহাকে দেখিয়া ও তাহার সমস্ত কথা শুনিয়া সভাসদগণ ক্রোধে গঙ্গজন করিয়া উঠিলেন। শকুনি দেখিল আর পরিত্রাণ নাই। স্থিরপ্রতিজ্ঞ, প্রস্তুতমতি শকুনি তখন নিভয়ে শেষ উপায় অবলম্ববন করিল। ধীরে ধীরে বস্ত্রে লক্কোইত ছরিকা বাহির করিয়া সমস্ত সভার সমক্ষে আপনাকে আঘাত করিল। ছিন্ন তরর ন্যায় শকুনির মতদেহ ভূমিতে পতিত হইল।

  1. {》