পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سعسطعسعسحسد الصد چ-- -g۔ পঞ্চৱিংশ •ब्रिटझन ६ अक्रुङ्गौम्न अर्घाङमान WHY let the stricken deer go weep, The hart ungalled play, While some must watch, while some must sleep, Thus runs the world away. 曹 —Shakespeare. উপরি উক্ত ঘটনার কিছুদিন পরেই রাজা টোডরমল্ল ইচ্ছাপত্র পরিত্যাগ করিয়া প্রতিগমন করিলেন। নগেন্দ্রনাথ পত্রদিগকে জমীদারীর ভার দিতে ইচ্ছা করিলেন, পিতার অনুরোধে উপেন্দ্রনাথ ইচ্ছাপুরের জমীদারীর ভার লইলেন, সমরেন্দ্রনাথ চতুবেষ্টিত জমীদারীর ভার লইলেন। সরেন্দ্রনাথ সরলাকে বিবাহ করিলেন। তাঁহার প্রবের মত প্রজাবাৎসল্য, প্রবের মত অমায়িকতা এখনও রহিল। এখনও ছদ্মবেশে গ্রামে গ্রামে ভ্রমণ করিয়া প্রজাদিগের অবস্থা জানিতেন, সাধ্যমতে সে অবস্থার উন্নতিসাধন করিতে যত্নবান হইতেন। সরেন্দ্রনাথ পরাতন বন্ধ নবীন দাসকে আপনার দেওয়ান করিলেন; রুদ্রপরে বিশ্বেশ্বরী পাগলিনী আমলার হাত দেখিয়া যাহা বলিয়া দিয়াছিল, তাহা যথাথ হইল, অমলা দেওয়ানের গৃহিণী হইলেন। অমলা সরলাকে সেইরুপ ভগিনীর ন্যায় ভালবাসিতে লাগিলেন, তাঁহার পরাতন বন্ধ “ইন্দ্রনাথের" সহিত সেইরপে আমোদ-রহস্য করিতেন। আমাদের ইচ্ছা এই স্থানে আখ্যায়িকা শেষ করি, কিন্তু জগতে সকলের কপালে সখি ঘটে না, কাহারও কপালে সখে থাকে, কাহারও কপালে দুঃখ থাকে, দই একটী দুঃখের কথা না বলিয়া শেষ করিতে পারি না। পাঠক মহাশয় জানেন, শত্রমজিঘাংসাই মহাশ্বেতার জীবনের গ্রন্থিস্বরপে হইয়াছিল। বাদ্ধাবস্থায় যে চিন্তায় ছয় বৎসর কাল অভিভূত ছিলেন, সে চিন্তা তাঁহার জীবনের প্রতিকৃতিস্বরুপ, জীবনের অবলম্ববনস্বরুপ হইয়া গিয়াছিল। এক্ষণে সে চিন্তা শেষ হইল, জীবনের গ্রন্থি শিথিল হইল, সরলার বিবাহের কয়েকদিন পর কোন রোগ কি পীড়া বিনা মহাশ্বেতা কালগ্রাসে পতিত হইলেন। আর বিমলা ! উন্নতচরিত্রা, ধৰ্ম্মপরায়ণা, রপেলাবণ্যসম্পন্না বিমলার কি হইল ? যে দিন বিমলার পিতার মৃত্যু হইয়াছিল, সেই দিন তাঁহার হৃদয় শান্য হইয়াছিল, সেই দিন অবধি বিমলার পক্ষে জগৎসংসার অন্ধকারময় হইয়াছিল। সেই দিন অবধি বিমলার কোন আশা ছিল না, কোন ভরসা ছিল না, কোন সখের অভিলাষ ছিল না, কোন দুঃখের ভয় ছিল না। মানবসুতুল্লাল দত ই তে ণ ৰ ল ৱ কাল মালজি য়াছল ! প্রিয় সখী সরলার বিবাহের পর বিমলা বনগ্রামের মহেশ্বর-মন্দিরে চলিয়া গেলেন । সমরেন্দ্রনাথ তাঁহাকে চতুবোটিত দগে অধিষ্ঠাত্রী হইয়া থাকিতে অনেক অনুরোধ করিলেন, সরলা প্রিয় সখীর হাত ধরিয়া অনেক সাধ্য সাধনা করিল, কিন্তু বিমলা সহাস্য বদনে কহিলেন, –সংসারে আমার লীলা খেলা সাঙ্গ হইয়াছে, আমুকে ছাড়িয়া দাও। অগত্যা সরেন্দ্রনাথ ও সরলা বিমলাকে বিদায় দিলেন। বিমলা বনগ্রামে মহেশ্বর মন্দিরে চলিয়া গেলেন। শরীরে হরিদ্রাবাস ধারণ করিলেন, কঠে রদ্রোক্ষের মালা ধারণ করিলেন, দিবারাত্ৰি মহেশ্বরের স্তব করিতেন, এবং গ্রামের দরিদ্র দুঃখিনীদিগকে প্রাণপণে সাহায্য করিয়া পণ্যেজীবন যাপন করিতে লাগিলেন। চন্দ্রশেখর এই পণ্যবতী তাপসীকে মা বলিয়, ডাকিতেন, আশ্রমের সকলে তাঁহার মায়া, বাৎসল্য ও পরোপকারিতা দেখিয়া তাঁহাকে ভক্তি ও পাজা করিতে লাগিল। আশ্রমবাসিনী বিমলার পণ্যজীবন পবিত্র সুখে অতিবাহিত হইতে লাগিল। কয়েক মাস এইরপে অতিবাহিত হইল। তৎপর সরলা একদিন বিমলার সহিত もf> ○