পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्राथबौकष्कष আমাকে শীঘ্ৰ জানিবে, আমার নিকট ভিক্ষাগ্রহণ করিতে কোনও অপমান নাই। তিন দিবসের মধ্যে আমাদের আবার সাক্ষাৎ হইবে, সে দিন আমিও তোমার নিকট একটী ভিক্ষা প্রাথনা করিব। আমার নাম শৈলেশ্বর! jo, এই বলিয়া গোস্বামী সহসা অন্ধকারে অদশ্য হইলেন। নরেন্দ্র বিস্মিত হইয়া রহিলেন। छार्गब९ष्ण श्रृंब्रिट्झन : ७कर्गलट्क्रङ्ग अर्गन्झङ्ग FOR thee young warrior welcome 2 thou hast yet. Some tasks to learn, some frailties to forget. —Moore. রাজস্থানে নতেন নতেন দেশ ও নতন নতেন আচার ব্যবহার দেখিয়া নরেন্দ্রনাথের হৃদয় কিছুদিন শাস্ত হইয়াছিল, কিন্তু প্রস্তরে যে অঙ্ক খোদিত হয়, তাহা একেবারে বিলুপ্ত হয় না। নরেন্দ্রনাথ ভারতবষের প্রান্ত হইতে প্রান্ত পৰ্য্যন্ত আসিয়াছেন। তথাপি প্রাতঃকালে যখন নরেন্দ্রনাথের হৃদয়ে জাগরিত হইত। রজনীতে যখন নরেন্দ্রনাথ একাকী ছাদের উপর অন্ধকারে বিচরণ করতেন, বোধ হইত যেন সেই প্রণয়প্রতিমা তারার জ্যোতিঃতে নরেন্দ্রনাথের উপর প্রেমদটি করিতেছে! কোথায় বীরনগরের বাটী, কোথায় কলনাদিনী ভাগীরথী, আর কোথায় নরেন্দ্রনাথ ? কিন্তু স্বদেশ হইতে পলায়ন করিলে কি চিন্তা হইতে পলায়ন করা যায় ? মৃত্যুর আগে আর একবার সেই হেমলতাকে দেখিবেন, প্রাতঃকালে, সায়ংকালে, নিশীথে তিনি ষে চিন্তা করেন, হেমলতাকে একবার সেই সমস্ত কথা বলিবেন, নরেন্দ্রনাথের কেবল এই ইচ্ছা। মৃত্যুর আগে কি আর একবার দেখা হইবে না ? নরেন্দ্রনাথ দেওয়ানার নিকটে শুনিলেন, ভগবান একলিঙ্গের মন্দিরের কোন এক গোস্বামী ভবিষ্যৎ বলিতে পারেন ; নরেন্দ্রনাথ একদিন সেই মন্দিরে যাত্রা করিলেন । রজনী এক প্রহরের পর নরেন্দ্র মন্দিরের নিকটে উপস্থিত হইলেন ও মন্দিরের যে শোভা দেখিলেন, তাহাতে বিস্মিত হইলেন। মন্দির একটী উপত্যকায় নিৰ্ম্মিমত, তাহার চারিদিকে যতদর দেখা যায়, কেবল অন্ধকারময় পর্বতরাশি অন্ধকার আকাশের সহিত মিশ্রিত হইয়াছে, চারিদিকে যেন প্রকৃতি অলঙ্ঘনীয় প্রাচীর দিয়া রুদ্রের উপযুক্ত গাহনিমাণ করিয়াছেন। রজনী দ্বিপ্রহরের সময় নরেন্দ্র সেই প্রকান্ড মন্দিরে প্রবেশ করিলেন। সারি সারি শ্বেতপ্রস্তর-বিনিমিত সন্দের স্তম্ভের মধ্য দিয়া সেই বিস্তীর্ণ প্রস্তরালয়ে প্রবেশ করিলেন। সম্মুখে মহাদেবের ষণ্ড ও নন্দীর পিত্তল প্রতিমাত্তি রহিয়াছে, ভিতরে শত্র প্রকোঠ ও স্তম্ভসার উজ্জল সুগন্ধ দীপাবলিতে ঝলমল করিতেছে, মধ্যে ভোলানাথের প্রস্তর-বিনিমিত প্রতিমাত্তি’ প্রতিঠিত রহিয়াছে। মন্দিরের একজন দীঘকায় তেজস্বী জটাধারী গোস্বামী এক প্রান্তে উপবেশন করিয়া আছেন, প্রশস্ত ললাটে অদ্ধশশাঙ্কের ন্যায় চন্দনরেখা, বিশাল স্কন্ধে যজ্ঞোপবীত লম্বিত রহিয়াছে। অন্য দুই চারি জন গোস্বামী এদিক ওদিক বিচরণ করিতেছেন। ঐ মন্দিরের প্রধান গোস্বামী চিরকাল অবিবাহিত থাকেন, তাঁহার মৃত্যুর পর শিষ্যের মধ্যে একজন ঐ পদে নিযুক্ত হন। মন্দিরের সাহায্যাথে অনেক সংখ্যক গ্রাম নিদিষ্ট ছিল, তাহা ভিন্ন যাত্রীদিগের দানও অলপ ছিল না। দ্বিপ্রহরের ঘন্টারব সেই সন্দের শিলামন্দিরে প্রতিধ্বনিত হইল, বম বম হর হর শব্দে মন্দির পরিপরিত হইল, ও তৎপরে যন্ত্র-সম্মিলিত উচ্চ গীতধর্মনিতে ভোলানাথের স্তব আরম্ভ হইল। প্রৌঢ়যৌবনসম্পন্না নত্তকীগণ তালে তালে নত্য করিতে লাগিল, গায়কগণ সপ্তস্বরে মহাদেবের অনন্ত গীত গাইতে আরম্ভ করিল। ক্ষণেক পর গীত সাঙ্গ হইল, সেই জটাধারণী গোস্বামী ইঙ্গিত করায় নৰ্ত্তকীগণ চলিয়া গেল, গায়কগণ নিস্তব্ধ হইল, মন্দিরের দীপাবলী > ネ○