পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खट्धश्व ब्रफ़नावली দু: লো হল। নরেন্দ্রনাথ সে অন্ধকারে ইতিকৰ্ত্তব্যবিমুঢ় হইয়া দণ্ডায়মান স্না রহিলেন। - ক্ষণেক পর বোধ হইল, যেন অন্ধকারে সেই দীঘকায় জটাধারী গোস্বামী তাঁহাকে ইঙ্গিত করিতেছেন। নরেন্দ্রনাথ সেই দিকে যাইলেন । জিজ্ঞাসা করিলেন,—মহাশয় কি এ মন্দিরের একজন গোস্বামী ? গোস্বামী কিছুমাত্র না বলিয়া ওঠের উপর অঙ্গলি নিন্দেশ করিলেন। তৎপরে গোস্বামী অঙ্গুলি দ্বারা দরে এক দিক নিন্দেশ করিলেন, নরেন্দ্র সেই দিকে চাহিলেন, নিবিড় দাভেদ্য অন্ধকার ভিন্ন আর কিছুই দেখিতে পাইলেন না। আবার চাহিলেন, বোধ হইল যেন অন্ধকারে একটী দীপশিখা দেখা যাইতেছে। গোস্বামী নরেন্দ্রনাথকে ইঙ্গিত করিয়া অগ্রে অগ্ৰে চলিলেন, নরেন্দ্রনাথ কিছুই বুঝিতে না পারিয়া পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন। দুইজনে অনেক পথ সেই অন্ধকারে অতিবাহিত করিলেন। এ অন্ধকারে এই মৌনাবলম্ববী যোগী পর্ষ কে ? ইহার উদ্দেশ্য কি ? শৈবগণ কখন কখন নরহত্যা দ্বারা পজাসাধন করে, এ দীঘকায় বলিষ্ঠ বিকট যোগীর কি তাহাই উদ্দেশ্য ? একবার নরেন্দ্রনাথ দাঁড়াইলেন, আবার খড়ো হাত দিয়া ভাবিলেন,—আমি কি কাপুরুষ ? এই প্রশান্তমত্তি যোগীর. সহিত যাইতে క్లాస్ట్ల్లో আবার গোস্বামীর সঙ্গে সঙ্গে সেই দভেদ্য অন্ধকারে পথ অতিবাহন করিতে গলেন । অনেকক্ষণ পর শৈব গোস্বামী এক পর্বতগহবরে প্রবেশ করিলেন, নরেন্দ্রও প্রবেশ করিলেন । তাহার ভিতর যাহা দেখিলেন তাহাতে নরেন্দ্রনাথ আরও বিসিমত হইলেন। সম্মুখে করালবদনা কালীর ভীষণ প্রতিমাত্তি, তাহার নিকটে কয়েকখানি কাঠ জনলিতেছে, তাহার আলোক সেই গহবরের শিলার চারিদিকে প্রতিহত হইতেছে। অগ্নির পাশ্বে কয়েকখানি হস্তলিপি, একখানি শোণিতাক্ত খড়া, ও স্থানে স্থানে প্রস্তরখণ্ড শোণিতে রঞ্জিত হইয়াছে। দর জলস্রোতের ন্যায় একটী শব্দ সেই গহবরে শ্রত হইতেছিল। গোস্বামীর আকৃতি অপাব। ঈষৎ শ্বেতশমশ্র বক্ষঃস্থল পৰ্য্যন্ত লম্বিত রহিয়াছে, কেশের জটাভার পঠে দলিতেছে, শরীর অতিশয় দীঘী, অতিশয় বলিষ্ঠ, অতিশয় তেজোময় বলিয়া অনুভব হয়। নয়নদ্বয় সেই অগ্নির আলোকে ধক ধক করিয়া জলিতেছে, উন্নত ললাটে অদ্ধ চন্দ্রাকৃতি চন্দনরেখা শোভা পাইতেছে। গোস্বামী জলস্তকাঠ নিব্বাণ করিলেন, পরে তাহার অপর পাশ্বে যাইয়া সেই রক্তাক্ত খড়া হন্তে তুলিয়া লইলেন। বিকীর্ণ অগ্নিকণাতে তাঁহার মুখমণ্ডল ও দীঘ অবয়ব আরও বিকট বোধ হইল, নরেন্দ্রনাথের হৃদয় স্তম্ভিত হইল । তিনি অগত্যা একপদ পশ্চাতে যাইয়া শিলারাশিতে পাঠ দিয়া দাঁড়াইলেন, অগত্যা তিনি কোষ হইতে আসি বাহির করিলেন। সাহসে ভর করিয়া তিনি স্থির হইয়া দাঁড়াইলেন, কিন্তু তাঁহার হৃৎকক্ষপ একেবারে অবসান হইল না। অতি গম্ভীরস্বরে গোস্বামী ডাকিলেন,—নরেন্দ্রনাথ ! নরেন্দ্রনাথ এতক্ষণে বুঝিলেন, শৈধ সেই উদয়পুরের যোদ্ধা,—শৈলেশ্বর! রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ ঃ পৰ্বত-গহবর THY fatal flame Is nursed in silence, sorrow, shame, A passion without hope or pleasure, In thy soul's darkness buried deep It lies like some ill gotten treasure Some idol without shine or name, O'er which its pale-eyed votaries keep Unholy watch while others sleep. s—Moore. শৈলেশ্বর। নরেন্দ্রনাথ ! ভগবান একলিঙ্গের মন্দিরে গোস্বামগণ যোগবলে মানব-হৃদয় ১২৪