পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्टभश ब्रफ़नाबलौ নিৰ্বাপিত হয়, এক একটী সফলিঙ্গ দেখা যায় আবার অঙ্গার হইয়া ধায়। দেখিতে দেখিতে জলন্ত অঙ্গারগুলি প্রায় সমস্ত নির্বাপিত হইল, হীনতেজ আলোকে সেই শিলাগাহের শিলাভিত্তি আরও অপরুপ দেখাইতে লাগিল। নরেন্দ্রনাথ সেই ভিত্তির উপর আলোক ও ছায়ার জম্বলিতে লাগিল, কালীর হস্তের খড়া যেন নরেন্দ্রের দিকে প্রসারিত হইতে লাগিল। নরেন্দ্র উঠিবার চেষ্টা করিলেন, উঠিবার শক্তি নাই। নরেন্দ্র জাগ্রত না সপ্ত ? অচিরাং শেষ অগ্নিকণা নিববর্ণণ হইল। নরেন্দ্র তাহা দেখিতেছিলেন না, তিনি স্বপ্ন দেখিতেছিলেন। এতক্ষণ দরস্থ জলের শব্দ যাহা শুনা যাইতেছিল, নরেন্দ্রের বোধ হইল যেন, DDD DB BBBBB BBB BBB BuD DDSDu Du D u আলোকচ্ছটা বিকীর্ণ হইতে লাগিল। যে স্থানে গহবরের ভিত্তি ছিল তথায় যেন একটী প্রস্তর সহসা সরিয়া যাইল, তাহার ভিতর হইতে অপব্ব সঙ্গীতধৰনি, অপব্ব চান্দ্র-আলোকের ন্যায় আলোক বাহির হইতে লাগিল। ক্রমে যেন চলেদুর উপর হইতে মেঘ সরিয়া গেল, সে আলোকস্থান সম্পণে মুক্ত হইল। একি স্বপ্ন না যথাৰ্থ ? স্বগীয় রপেরাশি-বিভূষিতা একজন ষোড়শী বীণাহন্তে উপবেশন করিয়া অপব্ব বাদ্য করিতেছে। নরেন্দ্র বিসময়ে স্তম্ভিত হইয়া সেই অপব্বী স্বপ্ন দেখিতে লাগিলেন। কি অপরাপ সৌন্দৰ্য্য, কি উজ্জল নয়ন, কি কৃষ্ণ কেশপাশ, কি ক্ষীণ অঙ্গ, এ কি মানবী ? নরেন্দ্রনাথ ভাল করিয়া দেখ, এ বদনমণ্ডল, এ চারনয়ন, ও ওঠে কি তুমি কখনও দেখ নাই ? সদরশ্ৰত সঙ্গীতের ন্যায় সম্তিশক্তি নরেন্দ্রের মনে ক্রমে ক্রমে জাগরিত হইতে লাগিল। কাশীর যুদ্ধ, দিল্লী, দিল্লীতে একজন মুসলমান নারী,—উঃ! এ সেই জেলেখা ! নরেন্দ্রের চিন্তা করিবার অবসর ছিল না, সহসা সপ্তস্বরসমন্বিত অপসরাকন্ঠনিঃসত আপবে: গীত সেই পব্বতকন্দর আমোদিত করিল। নরেন্দ্রের হৃদয় আলোড়িত করিল। জেলেখা সেই বীণার সঙ্গে সঙ্গে গান সংযোজনা করিয়াছে, আহা! কি মধর, কি হৃদয়গ্রাহী, কি ভাবপরিপািণ ! নরেন্দ্র এক দটিতে জেলেখার দিকে চাহিয়া রহিলেন, গাইতে গাইতে জেলেখার কন্ঠ এক একবার রুদ্ধ হইল, নয়ন দিয়া দই এক বিন্দ জল গণ্ডস্থল বহিয়া পড়িতে লাগিল। গীত নারীর ধৰ্ম্মম কি ? সতী কি সাধিতে পারে ? আজীবন প্রেমবারিদানে পতির প্রেমতুষ্ণা নিবারণ করিতে পারে। সম্পদকালে, প্রেমালোক জালিয়া লক্ষীরপিণী পতির আনন্দবদ্ধন করিতে পারে। রণের মাঝে বলীযর্ণবতী প্রদীপ্ত আশারপিণী হইয়া পতির হৃদয় বীররসে পরিপণ করিতে পারে। দুঃখ-অন্ধকারে জীবনের আশাপ্রদীপ একে একে নিব্বাণ হইয়া ে সমদঃখে দুঃখিনী হইয়া স্বামীর ক্লেশবিমোচন করিতে পারে। জীব-আকাশ হইতে জীবতারা যখন খসিয়া যায়, পতিব্ৰতা নারী উল্লাসে প্রিয়ের পাশ্বে সহমতা হইতে পারে। এই মন্মের সন্দের গান সমাপ্ত হইল, কিন্তু নরেন্দ্রের কণমিলে তখনও সে সঙ্গীত শেষ হইল না। এক একবার সমধরে ধীরশব্দে, এক একবার বজ্রনাদে তাহার কণে সে গান এখনও শদিত হইতে লাগিল। জেলেখা মানবী কি পরী কন্যা ? যেই হউক, নরেন্দ্র তাহার মুখমণ্ডল বার বার নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। বোধ হইল, যেন পাবে যেরপে দেখিয়াছিলেন এখন জেলেখা তাহা অপেক্ষা উজ্জলতর সৌন্দৰ্য্য ধারণ করিয়াছে! তথাপি শোকের পাডুবণ ললাটে ন্যস্ত রহিয়াছে, বাহ ও অঙ্গলি অপেক্ষাকৃত ক্ষীণ, নয়নদ্বয়ে যেন দুঃখ নিবাস করিতেছে! নরেন্দ্র আর দেখিবার সময় পাইলেন না, আবার অপব্ব সঙ্গীতধর্মনি পৰ্বতকদের কাঁপাইতে লাগিল, আবার দুঃখের গানে নরেন্দ্রের হৃদয় আলোড়িত ও দ্রবীভূত হইল। গীত পতির নিকট পতিব্ৰতা নারী কি ভিক্ষা চাহে ? প্রেমভিক্ষা ভিন্ন এ জগতে দাসীর আর কি ভিক্ষা আছে ? প্রেমলতিকার বেশে তোমার পদযুগল ধরিয়াছে, স্নেহকণা দিয়া সজীব করিও, যেন ধরণী না লটায়। জ্ঞাতি বন্ধ দেশ দরে রাখিয়া তোমার নিরুট-আসিয়াছে, যেন তোমার সুখে সখিনী হয়, তোমার দঃখে দুঃখিনী হয়, তোমার পদচ্ছায়া যেন পায়। যতদিন প্রাণ

  • ミピ