পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজনীতি : কংগ্রেসের সভাপতি : সাহিত্যের মাধ্যমেই ভারত-কথা প্রচার করিয়া রমেশচন্দ্র ক্ষান্ত ছিলেন না। তিনি ভারতের শাসন ও বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ, সরকারী ভূমি-কর-নীতি, শাসন-সংস্কার প্রভূতি নানা বিষয়েও আন্দোলন সরে করিয়া দেন বক্তৃতায় ও বিভিন্ন রচনার মাধ্যমে। বন্ধবের বিহারীলাল গুপ্তকে তিনি এই সময়ে একখানি পত্রে লিখিয়াছিলেন : "In the first place, my criticisms after I have retired from the service do not in the least degree injure the prospects of other Bengalies in the service; on the contrary, I believe they improve their chances. A little provocation does more good than eternal attempts at conciliation. . . Secondly, I know the India office. Considerations of race are paramount there; they want to shut us out, not because we are critics, but because we are natives, and their policy is rule by Englishmen. They have matured this policy in twenty years—they have a vast mass of secret minutes in their archives on the subject. Licking the dust off their feet will not move them from this policy; unsparing criticism and persistent fighting can, and will do it. Englishmen understand fighting, and they will yield to persistent fighting —not to begging. Thirdly, it is admitted perhaps that my Land Revenue agitation has done some good. It has forced government to correct past mistakes, to revise assessments in Bombay, Madras, and the Central Provinces, and to frame rules of remissions and suspensions when crops fail. And our personal interests sink into insignificance compared with these results.” বিলাতে অবস্থানকালে প্রায় তিন বৎসর যাবৎ রমেশচন্দ্র সবদেশের সেবায় নিয়ত তৎপর ছিলেন । তাঁহার এই কায্যে প্রীত হইয়া কংগ্রেস কর্তৃপক্ষ ১৮৯৯ সনে তাঁহাকে কংগ্রেসের সভাপতি পদে বরণ করেন। রমেশচন্দ্র যথাসময়ে সবদেশে প্রত্যাবৃত্ত হন এবং ঐ সনের শেষভাগে লক্ষেী-এ অনুষ্ঠিত জাতীয় কংগ্রেসে সভাপতির আসন গ্রহণ করেন। তাঁহার সভাপতি পদের নির্বাচনের কথা জানিয়া নগেন্দ্রনাথ ঘোষ তদীয় ইন্ডিয়ান নেশন’ পত্রিকায় লেখেন : "A better selection could not be made. By his learning, experience, position, sobriety and soundness of judgement, he seems to be specially marked out for the honour which it has been decided to confer on him. (2 October, 1899)” ২৭শে ডিসেম্বর যথারীতি অধিবেশন হইল। সভাপতির দীঘ বক্তৃতায় অন্যান্য গুরুত্বপণ কথার মধ্যে একটি বিষয়ের উপর রমেশচন্দ্র বিশেষ জোর দেন। তিনি বলেন যে, ভারতের সিাঁ সাবিস তথা পদস্থ কমিমন্ডলী এদেশের ও বিলাতের সরকারকে ভারতবৰ্ষ সম্পকে একরপ বুঝাইয়া থাকেন, কিন্তু বিবিধ বিষয়ে ভারতবাসীদের নিজস্ব মতামত ইহাদের দ্বারা জানা সম্ভব নয়। ইহা জানা যায়, ভারতবাসীদের একমাত্র মুখপাত্ৰ ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস' দ্বারা। এদিক হইতে কংগ্রেসের গরত্বে মানিয়া না লইলে শাসনে অনাচার ও ব্যভিচার রোধ করার উপায়ান্তর নাই। রমেশচন্দ্র কংগ্রেসের অধিবেশন-শেষে জন্মভূমি বাংলায় ফিরিয়া আসিলেন। তখন বাঙ্গালীরা তাঁহাকে বিশেষভাবে সবদ্ধিত করেন। এই উদ্দেশ্যে একটি সভার অনুষ্ঠান হয় শোভাবাজারের রাজা বিনয়কৃষ্ণ দেবের বাটীতে ৬ই জানুয়ারী ১৯oo সনে। দ্বিতীয় সভা বিরাটাকারে হয় টাউনহলে পরবত্তী ২৩শে ফেব্রুয়ারী তারিখে। এখানে পৌরোহিত্য করেন জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি ব্যারিসটার উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। ইহার পর রমেশচন্দ্র বিলাতে চলিয়া যান। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ ঃ বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে রমেশচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কথা এখনও বলা হয় নাই। কমব্যপদেশে তাঁহাকে কলিকাতা হইতে দরে বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় গমন করিতে হইয়াছে। ১৮৯৪ সন নাগাদ তিনি কলিকাতার সন্নিকটে স্থিত হইলেন। আমরা পবেই জানিয়াছি রমেশচন্দ্র ১৮৯৪–৯৫ সনে বদ্ধমান বিভাগের অস্থায়ী কমিশনর এবং হগেলীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাঁহার বাংলা সাহিত্যের অনুশীলনের বিষয় সকলেরই জানা। সবদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি তাঁহার অনুরাগ ইতিমধ্যেই নানাভাবে