পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रक्षाब्राष्प्ले छौवन-टाछाङ রঘুনাথজীকে সেগুলি বাচনিক বলা যাইতে পারে কিনা, অথবলে বা কোন উপায়ে শত্রর বশবত্তী হইয়া গাঢ় মন্ত্রণা শত্রর নিকট প্রকাশ করা রঘুনাথের পক্ষে সম্ভব কি না, কিল্লাদার তাহাই পরীক্ষা করিতেছিলেন। রঘুনাথ নয়নপথের বহিভূত হইলে পর কিল্লাদার ঈষৎ হাস্য করিয়া বলিলেন,—শিবজী এ বিষয়ে অসাধারণ পণ্ডিত, উপযুক্ত কায্যে যথার্থই উপযুক্ত লোক পাঠাইয়াছেন । তৃতীয় পরিচ্ছেদ ঃ সরযবালা সজান ! ভাল করি পেখন না ভেল। মেঘমালা সঙ্গে তড়িতলতা জন হৃদয়ে শেল দেই গেল ॥ আধ অাঁচল খসি অধিবদন হাসি আধই নয়ন তরঙ্গ । আধ উরজ হোঁর আধ অাচর ভরি, তব ধরি দগধে অনঙ্গ ৷ একে তন গোরা কনক কটোরা অতন কাঁচল উপাম । হরি হরি কহ মন জন বুঝি ঐছন ফসি পসারল কাম ॥ দশন মকুতাপাতি অধর মিলায়ত মদন মদে কহতহি ভাষা। বিদ্যাপতি কহ, অতবে সে দুঃখ রহ, হেরি হেরি না পরাল অাশা ৷ --বিদ্যাপতি । রঘুনাথ কিল্লাদারের নিকট বিদায় পাইয়া ভবানীদেবীর মন্দিরাভিমুখে যাইতে লাগিলেন। এই দগে জয়ের অলপদিন পরই শিবজী ভবানীর একটী মাত্তি প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন, ও অম্বরদেশীয় অতি উচ্চকুলোস্তব এক ব্রাহ্মণকে আহবান করিয়া দেবসেবায় নিয়োজিত করিয়াছিলেন। যুদ্ধকালে এই দেবীর পজা না দিয়া কোনও কাযে লিপ্ত হইতেন না। রঘুনাথ যৌবনোচিত উল্লাসের সহিত আপন কৃষ্ণকেশগুলি নাচাইতে নাচাইতে একটী সদ্ধগীত মদস্বেরে গাইতে গাইতে মন্দিরাভিমুখে আসিতেছিলেন। যখন মন্দিরের নিকটে আসিলেন তখন প্রায় সন্ধ্যা হইয়াছে। পশ্চিমদিকের আকাশের স্তিমিত আলোকে শ্বেত মন্দির সন্দের শোভা পাইতেছে, মন্দিরের পাশ্ববত্তী একটী ক্ষুদ্র উদ্যান প্রায় অন্ধকারে অাবত হইয়াছে। মন্দিরের পরোহিত তখন বাটীতে নাই, সতরাং রঘুনাথ উদ্যানে একটী প্রস্তরের উপর বসিয়া ক্ষণেক বিশ্রাম করিতে লাগিলেন। সন্ধ্যার সময়ে সেই উদ্যানে একজন বালিকা ফল তুলিতে আসিলেন। রঘুনাথ দেখিয়া ঈষৎ বিস্মিত হইলেন, কেননা বালিকা এ দেশের নহে, পরিচ্ছদ দেখিয়া বুঝিলেন বালিকা রাজপতে। বহুদিন পরে একজন স্বদেশীয়া রমণীকে দেখিয়া রঘুনাথের হৃদয় নত্য করিয়া উঠিল। ইচ্ছা হইল রাজপতে বালিকার নিকটে যাইয়া তাহার পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু রঘুনাথ সে ইচ্ছা দমন করিলেন, বাক্ষতলে সেই প্রস্তরের উপর বসিয়া ক্ষণেক সেই বালিকার দিকে নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। যত দেখিতে লাগিলেন, রঘুনাথের হৃদয় আরও সেই দিকে আকৃষ্ট হইতে লাগিল। বালিকা অনুমান ত্রয়োদশ বর্ষীয়া। তাঁহার রেশম-বিনিন্দিত সমাডিজ"ত অতিকৃষ্ণ কেশপাশ গণ্ডস্থলে ও পাঠদেশে লন্বিত রহিয়াছে, এবং উত্তজবল মুখমণ্ডল ও ভ্রমর-বিনিন্দিত চক্ষদ্বীয় কিঞ্চিৎ অবত করিয়াছে। প্রযে়াগল যেন তুলি দ্বারা লিখিত, কি সন্দের বক্রভাবে ললাটের শোভা বন্ধন করিতেছে। ওঠেদ্বয় সক্ষম ও রক্তবর্ণ, হস্ত ও বাহন সগোল, এবং সবের্ণের বলয় ও কঙ্কণ দ্বারা সশোভিত। কন্যার ললাটে আকাশের রক্তিমাছটা পতিত হইয়া সেই তপ্ত কাঞ্চন বণকে সমধিক উত্তজবল করিতেছে। কন্ঠ ও ঈষদন্নেত বক্ষঃস্থলের উপর একটী কাঠমালা দোদুল্যমান রহিয়াছে। রঘুনাথ অনিমেষলোচনে সেই সায়ংকালের স্তিমিত আলোকে সেই অপব্বদন্টা রাজপতেকন্যার দিকে চাহিয়াছিলেন: তাঁহার হৃদয় পাবে অনন্যভূত আনন্দস্রোতে সিক্ত হইতেছিল। কন্যা ফল তুলিয়া গঁহে যাইবার উপক্রম করিতেছেন, এমন সময় দেখিলেন অনতিদারে একজন দীঘকায় রাজপত যবেক তাঁহার দিকে অনিমেষলোচনে দেখিতেছেন। ঈষৎ লক্ষজায়

  • )&○