পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अङ्ाब्राष्प्ने छौबन-टुक्काद्ध কবে আসিতে পারিব, কখনও আসিতে পারিব কি না, জানি না। কিন্তু যতদিন জীবিত থাকিব, ততদিন আপনার দেবনিন্দিত মত্তি মহমত্তের জন্যও বিস্মত হইব না। সরয উত্তর দিতে পারিলেন না, রঘুনাথ দেখিলেন সেই আয়ত নয়ন দুইটী ছল ছল করিতেছে, তাঁহার আপনার নয়নও শুল্ক ছিল না। পঞ্চম পরিচ্ছেদ ঃ সায়েস্তাখাঁ কেন চিন্তাকুল আজি নবাবের মন ? —নবীনচন্দ্র সেন । যদিও কয়েক বৎসর অবধি শিবজীর ক্ষমতা, রাজ্য এবং দগে"সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাইতেছিল, তথাপি ১৬৬২ খঃ অব্দের পর্বে দিল্লীর সম্রাট তাঁহাকে বশীভুত করিবার অভিপ্রায়ে বিশেষ কোন যত্ন করেন নাই। সেই বৎসর সায়েস্তাখাঁ আমীর-উল-উমরা খেতাব প্রাপ্ত হইয়া দক্ষিণদেশের শাসনকর্তৃপদে নিযুক্ত হইয়া শিবজীকে একেবারে জয় করিবার আদেশ প্রাপ্ত হয়েন। সায়েস্তাখাঁ সেই বৎসরই পনো, চাকনদাগ ও অন্য কয়েক স্থান অধিকার করেন। পর "বৎসর অথাৎ এই আখ্যায়িকা বিবত সময়ে সায়েস্তাখাঁ শিবজীকে একেবারে ধবংস করিবার সঙ্কলপ করেন। দিল্লীর সম্রাটের আদেশানুসারে মাড়ওয়ারের রাজা প্রসিদ্ধনামা যশোবন্তসিংহও এই বৎসরে (১৬৬৩ খৃঃ) বহল সৈন্য লইয়া সায়েস্তাখাঁর সহিত যোগ দিলেন, সতরাং শিবজীর বিপদের সীমা ছিল না। মোগল ও রাজপত সৈন্য পনা নগরের নিকটে শিবির সন্নিবেশিত করিয়াছিল ও সায়েস্তাখাঁ স্বয়ং দাদাজী কানাইদেবের গহে অথাৎ যে গহে শিবজী বাল্যকালে মাতার সহিত বাস করিতেন, সেই গহেই অবস্থিতি করিতেছিলেন। সায়েস্তাখাঁ শিবজীর চাতুরী বিশেষরক্ষপে জানিতেন, সুতরাং তিনি আদেশ করিলেন যে, অনুমতিপত্র বিনা কোন মহারাষ্ট্ৰীয় পনানগরে প্রবেশ করিতে পারিবে না। শিবজী নিকটবত্তী সিংহগড় নামক এক দগে সসৈন্যে অবস্থিতি করিতেছিলেন। মহারাষ্ট্ৰীয়েরা সে সময়ে যাদ্ধব্যবসায়ে অধিক পরিপক্ক হয় নাই, দিল্লীর শিক্ষিত সেনার সহিত সম্মুখযুদ্ধ করা কোনমতেই সম্ভব নহে, সতরাং শিবজী কৌশল ভিন্ন স্বাধীনতা রক্ষা ও হিন্দুরাজ্য বিস্তারের অন্য উপায় দেখিলেন না। চৈত্র মাসের শেষভাগে একদিন সায়ংকালে পরাক্রান্ত মোগল সেনাপতি সায়েস্তাখাঁ আপন অমাত্য ও মন্ত্রিগণকে আহবান করিয়া সভায় বসিয়াছেন। কিরাপে শিবজীকে পরাজয় করিবেন তাহারই পরামশ হইতেছিল। দাদাজী কানাইদেবের বাটীর মধ্যে সভাগহে এই সভা হইয়াছিল। চারিদিকে উক্তজবল দীপাবলী জলিতেছে । জানালার ভিতর দিয়া সায়ংকালের শীতল বায় উদ্যানের পক্ষেপগন্ধ বহিয়া আনিয়া সকলকে পলকিত করিতেছে। আকাশ অন্ধকার, কেবল দলই একটী নক্ষত্র দেখা যাইতেছে। আনওরী নামে সায়েস্তাখাঁর একজন চাটকার বলিল,—আমিরের সেনার সম্মুখে মহারাষ্ট্ৰীয় সেনা যেন মহাবাত্যার সম্মুখে শতক পত্রের ন্যায় আকাশে উড়িয়া যাইবে, অথবা ভীত হইয়া পৃথিবীর ভিতরে প্রবেশ করিবে। চাঁদখাঁ নামক একজন প্রাচীন সেনা কয়েক বৎসর অবধি মহারাষ্ট্ৰীয়দিগের বল-বিক্রম দেখিয়াছিলেন; তিনি ধীরে ধীরে উত্তর করিলেন-আমি বোধ করি তাহাদের ঐ দুইটী ক্ষমতাই আছে। * সায়েস্তাখাঁ। কেন ? চাঁদখাঁ। গত বৎসর কতিপয় পাবতীয় মহারাষ্ট্ৰীয় যখন চাকন দাগের ভিতর প্রবেশ করিয়াছিল, আমাদের সমস্ত সৈন্য দুই মাস অবধি চেন্টা করিয়া কিরাপে তাহাদিগকে বহিস্কৃত কবিয়া দগে জয় করিয়াছে, তাহা জাহাঁপনার স্মরণ আছে। একটী দগে হস্তগত করিতে অনেক মোগলের প্রাণনাশ হইয়াছে। আবার এ বৎসর সব্বাস্থানে আমাদের সৈন্য থাকাতেও নিতাইজী আসমান দিয়া আহমেদনগর ও আরাঙ্গাবাদ পৰ্য্যন্ত উড়িয়া যাইয়া দেশ ছারখার করিয়া আসিয়াছে ! সায়েস্তাখাঁ। চাঁদখাঁর বয়স অধিক হইয়াছে, তিনি এক্ষণে পৰ্বত-ইন্দরকে ভয় করেন ? পবে তাঁহার এরপে ভয় ছিল না। # ఫి& ఫి.