পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रहमश्रण ब्रम्ननावजी চাঁদখাঁর মুখমণ্ডল আরক্ত হইল, কিন্তু তিনি নিরক্তের রহিলেন। o r আনওরী। জাহীপনা ঠিক আজ্ঞা করিয়াছেন, মহারাষ্ট্ৰীয়েরা ইন্দ্রবিশেষ, তাহার যে পব্বত-ইন্দরের ন্যায় গৰ্ত্তে প্রবেশ করিয়া থাকিতে পারে, আমি অস্বীকার করি না। চাঁদখাঁ। পব্বত-ইন্দর পনার ভিতর গত্ত করিয়া বাহির না হইলে রক্ষা ! - সায়েস্তাখাঁ। এখানে দিল্লীর সহস্ৰ সহক্স নখায়ধে বিড়াল আছে, ইন্দরে সহসা কিছ করিতে পারবে না। $ সভাসদ সকলেই "কেরামৎ” “কেরামৎ" বলিয়া সেনাপতির এই বাক্যের অনুমোদন করিলেন। মহারাষ্ট্ৰীয়দিগের বিষয়ে এইরুপ অনেক রহস্য হইলে পর কি প্রণালীতে যুদ্ধ হইবে তাহাই স্থির হইতে লাগিল। চাকন দাগ হস্তগত হওয়া অবধি সায়েস্তাখাঁ দগে হস্তগত করা একেবারে দুঃসাধ্য বিবেচনা করিয়াছিলেন। তিনি বলিলেন–এই প্রদেশ দগপরিপণ", যদি একে একে সমস্ত দাগ হস্তগত করিতে হয়, তবে কত দিনে ষে দিল্লীশ্বরের কার্য্যসিদ্ধ হইবে, কখনও সিদ্ধ হইবে কি না, তাহার স্থিরতা নাই। চাঁদখাঁ। জাহাঁপনা! দগাহ মহারাষ্ট্ৰীয়দিগের বল, উহারা সম্মুখ রণ করিবে না, অথবা রণে পরাস্ত হইলেও উহাদিগের ক্ষতি নাই। কেননা দেশ পৰ্বতময়, উহাদিগের সেনা এক স্থান পাইব না। কিন্তু দগগুলি একে একে হস্তগত করিতে পারিলে মহারাষ্ট্ৰীয়দিগকে অবশ্যই দিল্লীর অধীনতা স্বীকার করিতে হইবে। সায়েস্তাখাঁ। কেন ? মহারাষ্ট্ৰীয়েরা যুদ্ধে পরাস্ত হইয়া পলায়ন করিলে কি আমরা পশ্চাদ্ধাবন করিতে পারিব না ? আমাদের কি অশ্বারোহী সেনা নাই, পশ্চাদ্ধাবন করিয়া সমস্ত মহারাষ্ট্ৰীয় সেনা ধবংস করিতে পারবে না ? চাঁদখাঁ। যুদ্ধ হইলে অবশ্যই মোগলের জয়, ধরিতে পারিলে আমরা মহারাষ্ট্ৰীয় সেনা বিনাশ করিব তাহার সংশয় নাই, কিন্তু এই পৰ্বতপ্রদেশে মহারাষ্ট্ৰীয় অশ্বারোহীকে পশ্চাদ্ধাবন করিয়া ধরিতে পারে এমন অশ্বারোহী হিন্দুস্থানে নাই। আমাদের অশ্বগুলি বহৎ, অশ্বারোহী বম্বমাবত ও বহু-অস্ত্র-সমন্বিত, সমভূমিতে, সন্মুখক্ষেত্রে তাহাদের তেজ দন্দমনীয়, তাহাদের গতি অপ্রতিহত, কিন্তু এই পৰ্বতপ্রদেশে তাহাদিগের যাতায়াতের ব্যাঘাত জন্মে। ক্ষুদ্র মহারাষ্ট্ৰীয় অশ্ব ও অশ্বারোহিগণ যেন ছাগের ন্যায় তুঙ্গশাঙ্গে লম্বফ দিয়া উঠে ও হরিণের ন্যায় উপত্যকা ও সরাখের মধ্য দিয়া পলায়ন করে। জাহাপনা, আমার পরামর্শ গ্রহণ করন। সিংহগড়ে শিবজী আছেন, সহসা সেই স্থান অবরোধ করন, এক মাস কি দই মাস কালের মধ্যে দগে জয় করিব, শিবজী বন্দী হইবেন, দিল্লীশ্বরের জয় হইবে। নচেৎ এ স্থানে মহারাষ্ট্ৰীয়দিগের জন্য অপেক্ষা করিলে কি হইবে ? তাহাদিগের পশ্চাদ্ধাবনের চেষ্টা করিলেই বা কি হইবে ? . দেখন নিতাইজী অনায়াসে আমাদের নিকট দিয়া যাইয়া আহম্মদনগর ও আরাঙ্গাবাদ ছারখার করিয়া আসিল, রাস্তমজমান তাহার পশ্চাদ্ধাবন করিয়া কি করিল ? সায়েস্তাখাঁ সক্রোধে বলিলেন–রস্তেমজমান বিদ্রোহাচরণ করিয়াছে, ইচ্ছা করিয়া নিতাইজদীকে পলাইতে দিয়াছে, আমি তাহার সমচিত দণ্ড দিব। চাঁদখাঁ, তুমিও সম্মখে যুদ্ধের বিরুদ্ধে পরামর্শ দিতেছ, দিল্লীশ্বরের সেনাগণের মধ্যে কি কেহই সাহসী নাই ? প্রাচীন যোদ্ধা চাঁদখাঁর মুখমণ্ডল আবার আরক্তবর্ণ হইয়া উঠিল। পশ্চাতে মুখ ফিরাইয়। একবিন্দ আশ্রজেল মলছিয়া ফেলিলেন, পরে সেনাপতির দিকে চাহিয়া ধীরে ধীরে কহিলেন – পরামর্শ দিতে পারি এরপে সাধ্য নাই, সেনাপতি যুদ্ধের প্রণালী স্থির করন, ষেরাপ হরকম হইবে, তামিল করিতে এ দাস পরামখে হইবে না। এই সময়ে একজন ভূত্য আসিয়া সমাচার দিল যে, সিংহগড়ের দতে মহাদেওজী ন্যায়শাস্ত্রী নামক ব্রাহ্মণ আসিয়াছেন, নীচে অপেক্ষা করিতেছেন। সায়েস্তাখাঁ তাঁহার প্রতীক্ষা করিতেছিলেন. তাঁহাকে সভাগ্যহে আনিবার আজ্ঞা দিলেন। সভাস্থ সকলে এই দতকে দেখিবার জন্য উৎসক হইলেন। ক্ষণেক পর মহাদেওজনী ন্যায়শাস্ত্রী সভাগহে প্রবেশ করিলেন। ন্যায়শাস্ত্রীর বয়স এখনওচত্বারিংশ বৎসর হয় নাই, অবয়ব মহারাষ্ট্ৰীয়দিগের ন্যায় ঈষৎ খর্ব ও কৃষ্ণবর্ণ। ব্রাহ্মণের মুখমণ্ডল সন্দের, বক্ষঃস্থল বিশাল, বাহযোিগল দীঘ নয়ন গভীর বৃদ্ধিব্যঞ্জক, ললাটে দীঘ* ఫి & 0