পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटभश्च ब्रध्नावलंौ . লাগিল। একজন, দুইজন, দশ জন, হত হইল। রহমৎখাঁ আহত ও ক্ষীণ, * তখনও সিংহবীয্যের সহিত যুদ্ধ করিতেছেন। মহারাষ্ট্ৰীয়গণ তাঁহাকে চারিদিকে বেস্টন করিয়াছেন, খড়া চারিদিকে উত্তোলিত হইয়াছে, তাঁহার জীবনের আশা নাই, এইরুপ সময় উচ্চৈঃশীরে শিবজীর আদেশ শ্রত হইল,—কিল্লাদারকে বন্দী কর, বীরের প্রাণ সংহার করিও না। ক্ষীণ । আহত আফগানের হস্ত হইতে শিবজীর সেনাগণ খঙ্গ কাড়িয়া লইল, তাঁহার হস্ত বন্ধন করিয়া তাহাকে বন্দী করিয়া রাখিল । o: মহারাষ্ট্ৰীয়েরা প্রাসাদের অগ্নি নিব্বাণ করিতেছে, এমন সময় শিবজী দেখিলেন, দাগের অপর দিকে কৃষ্ণবণ মেঘের ন্যায় প্রায় পাঁচশত আফগানসৈন্য সজিত হইয়া পন্বতে উঠিতেছে। ঙ্গিবন্ধী দলগ-প্রাচীর আক্রমণ করিবার পবে যে একশত সেনাকে অপর পাশ্বে পাঠাইয়া দিয়াছিলেন, তাহারা সেই দিকে গোল করাতে দাগের অধিকাংশ সেনা সেই দিকেই গিয়াছিল। মহারাষ্ট্ৰীয়গণ ক্ষণেক বক্ষের অন্তরাল হইতে যুদ্ধ করিয়া ক্রমে ক্রমে পলায়ন করিতে , তাহাতে মসলমানেরা উৎসাহিত হইয়া পব্বতের সেই একশত মহারাণীয়ের পশ্চাদ্ধাবন করিয়াছিল, অপর দিকে শিবজী আক্রমণ করিয়া যে দলগ হস্তগত করিয়াছিলেন তাহা তাহারা কিছুই জানিতে পারে নাই। পরে যখন প্রাসাদের আলোকে ক্ষেত্র, গ্রাম, পৰ্বত, ও উপত্যকা উদদীপ্ত হইয়া উঠিল, তখন সেই অধিকাংশ মুসলমানগণ আপনাদিগের ভ্রম জানিতে পারিয়া পনরায় দরগারোহণ করিয়া শত্র বিনাশ করিতে কৃতসঙ্কল্প হইল। শিবজী অলপসংখ্যক সেনাকে পরাস্ত করিয়া দগ'জয় করিয়াছিলেন, এক্ষণে দেখিলেন, পাঁচশত যোদ্ধা দ্রুতবেগে সেই পৰ্বত-দগে" আরোহণ করিতেছে। দেখিয়া তাঁহার মুখ গম্ভীর হইল। সতীক্ষা নয়নে দেখিলেন, দাগের মধ্যে কিল্লাদারের প্রাসাদই সব্বাপেক্ষা দগম স্থান। চারিদিকে প্রস্তরময় প্রাচীর, অগ্নিতে সে প্রাচীরের কিছুমাত্র অনিস্ট হয় নাই। প্রাসাদের দ্বার ও গবাক্ষ জনলিয়া গিয়াছে, কোথাও বা ঘর পড়িয়া প্রস্তর স্তপোকার হইয়াছে। তীক্ষ নয়ন শিবজী মহেত্তে'র মধ্যে দেখিলেন, অধিক সংখ্যক সৈন্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবার স্থল ইহা অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর আর হইতে পারে না। মহেত্তোমধ্যে মনে সমস্ত ধারণা করিলেন। তন্নজী ও দুইশত সেনাকে সেই প্রাসাদে সন্নিবেশিত করিলেন, প্রাচীরের পাশ্বে তীরন্দাজ রাখিলেন, দ্বার ও গবাক্ষের পাশ্বে তীরন্দাজ রাখিলেন, ছাদের উপর বশর্ণধারী যোদ্ধগণকে সন্নিবেশিত করিলেন। কোথাও প্রস্তর পরিস্কার করিলেন, কোথাও অধিক প্রস্তর একত্র করিলেন, মহেত্তোমধ্যে সমস্ত প্রস্তুত। তখন হাস্য করিয়া তন্নজীকে কহিলেন-তন্নজী, শত্ররা যদি এই প্রাসাদ আক্রমণ করে, তুমি ইহা রক্ষা করিতে পারিবে। কিন্তু শত্রকে এই স্থানে আসিতে দিবার পর্বেই বোধহয় পরাস্ত করা যাইতে পারে, তাহারা এখনও পর্বত আরোহণ করিতেছে, এই সময়ে আক্রমণ করা উচিত। তন্নজী, দুইশত সৈন্য সহিত এই স্থানে অবস্থিতি কর, আমি একবার উদ্যোগ করিয়া দেখি । তন্নজী। তন্নজী এস্থানে অবস্থিতি করিবে না, একজন মহারাষ্ট্ৰীয়ও এস্থানে অবস্থিতি করিবে না! ক্ষত্রিয়রাজ ! আপনি এই প্রাসাদ রক্ষা করন, সমস্ত সশঙ্খলা করন। আগন্তুক শত্র:দিগকে তাড়াইয়া দিতে আপনার ভূত্যেরা কি সক্ষম নহে ? শিবজী ঈষৎ হাস্য করিয়া বলিলেন,—তন্নজী! তোমার কথাই ঠিক! আমি সম্মখে শত্র দেখিয়া যুদ্ধ-লব্ধ হইয়াছিলাম, কিন্তু তোমার পরামশাই উৎকৃষ্ট, এই স্থানেই আমার থাকা কত্তব্য। আমার হাবিলদারদিগের মধ্যে কে দুইশত মাত্র সেনা লইয়া ঐ আফগানদিগকে অন্ধকারে সহসা আক্রমণ করিয়া পরাস্ত করিতে পারিবে ? পাঁচ, সাত, দশ জন হাবিলদার একেবারে দন্ডায়মান হইলেন, সকলে গোল করিয়া উঠিল। রঘুনাথ তাহদের এক পাশ্বে দণ্ডায়মান হইলেন, কিন্তু কথা কহিলেন না, নিঃশব্দে মত্তিকার দিকে চাহিয়া রহিলেন। শিবজী ধীরে ধীরে সকলের দিকে চাহিয়া, পরে রঘুনাথকে দেখিয়া বলিলেন-হাবিলদার! তুমি ইহাদের মধ্যে সৰ্ব্বকনিষ্ঠু, কিন্তু ঐ বাহতুে তুমি অসরবীৰ্য ধারণ কর, অদ্য তোমার, বিক্রম দেখিয়া পরিতুষ্ট হইয়াছি। রঘুনাথ! তুমিই অদ্য দগর্বিজয় আরম্ভ করিয়াছ, তুমিই শেষ কর । సిపి ఫి