পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटभन्न ब्लकनाबलौ অনেকক্ষণ পরে লক্ষয়ী অধোবদনে ধীরে ধীরে কহিলেন,-আমার আর একটী কথা আছে, কিন্তু কহিতে ভর হইতেছে। • . রঘুনাথ। লক্ষিয়! আমার নিকট তোমার কি কথা বলিতে ভয় হয় ? আমি তোমার সহোদর, সহোদরের নিকট কি ভয় ? লক্ষী। চন্দ্ররাও নামে একজন জমলাদার বোধ হয় তোমার অপকার করিয়াছেন। রঘুনাথের হাস্য দরে হইল, মাখ রক্তবর্ণ হইল। কিন্তু সে উদ্বেগ দমন করিয়া রঘুনাথ কহিলেন,–চন্দ্ররাও রাজার নিকটে যে কথা কহিয়াছিলেন তাহা অষথাথ নহে। তিনি আমার অন্য কোন অপকার করিয়াছেন কি না তাহা আমি জানি না। লক্ষী। তিনি যাহাই করিয়া থাকেন, ভাই, অঙ্গীকার কর তাঁহার অনিষ্ট করিবে না। রঘুনাথ নিরক্তের হইয়া চিন্তা করিতে লাগিলেন। লক্ষমী পুনরায় বলিলেন,—প্রাতার নিকট পবে কখনও আমি কোন ভিক্ষা করি নাই; একটী কথা বলিলাম, ভাই আমাকে যদি ভালবাস এ কথাটি রাখিও । 腳 সে অনুরোধে রঘুনাথের হৃদয় গলিয়া গেল। তিনি ভগিনীর হাত দুইটী ধরিয়া বলিলেন, —লক্ষিম, আমার মনে সন্দেহ হয় চন্দ্ররাওই আমার সব্বনাশ করিয়াছেন, তোমাকে আদেয় কিছুই নাই। এই ঈশানী-মন্দিরে প্রতিজ্ঞা করিতেছি চন্দ্ররাওয়ের কোন অনিষ্ট করিব না। আমি তাহার দোষ মাতজনা করিলাম, জগদীশ্বর তাহাকে মাজ’না করন। লক্ষয়ী হৃদয়ের সহিত বলিলেন–জগদীশ্বর তাঁহাকে মাজ’না করন। পবেদিকে প্রভাতের আলোকচ্ছটা দেখা যাইল। লক্ষী তখন অনেক আশ্রবেষণ করিয়া সস্নেহে ভ্রাতার নিকট বিদায় লইলেন, বলিলেন,-আমার সঙ্গে বাটীর অন্য লোক মন্দিরে আসিয়াছে, এখনও সকলে নিদ্রিত আছে, এইক্ষণে আমি না যাইলে জানিতে পারবে। এখন চলিলাম, পরমেশ্বর তোমার মনোরথ পণ্যে করন। পরমেশ্বর তোমাকে সখে রাখনে—এই বলিয়া সস্নেহে লক্ষীর নিকট বিদায় লইয়া রঘুনাথও মন্দির হইতে নিম্প্রক্ষান্ত হইলেন। লক্ষয়ীর নিকট বিদায় লইলাম, পাঠক ! চল, আমরা হতভাগিনী সরযর নিকট বিদায় লইয়া আসি। বিংশ পরিচ্ছেদ ঃ সীতাপতি গোস্বামী যাও যুদ্ধে, তোমা অদ্য করি অভিষেক, যাও যশোবিমণ্ডিত হইয়া আবার এইরুপে আসি পুনঃ দাঁড়াও সাক্ষাতে। —হেমচন্দু বলেদ্যাপাধ্যায় । রন্দ্রমন্ডল দাগ আক্রমণদিনে রঘুনাথের যাইতে কি জন্য বিলম্ব হইতেছিল পাঠক মহাশয় অবশ্যই উপলব্ধি করিয়াছেন। সেদিন যুদ্ধে কে রক্ষা পাইবে কেহ জানিত না, যন্ধে গমন করিবার পর্বে রঘুনাথ প্রাণ ভরিয়া একবার সরয়াকে দেখিতে আসিয়াছিলেন, সাশ্রনয়নে সরয়া রঘুনাথকে বিদায় দিয়াছিলেন। একদিন, দইদিন অতিবাহিত হইল, রঘুনাথের কোন সংবাদ পাওয়া গেল না। আশা প্রথমে কানে কানে বলিতে লাগিল—রঘুনাথ যুদ্ধে বিজয়ী হইয়াছেন, রঘুনাথ রাজ-সম্মানিত হইয়াছেন, বিজয়ী রঘুনাথ শীঘ্র উল্লাসিত হৃদয়ে আবার আসিতেছেন, পরম কুতহেলের সহিত পিতার নিকট যুদ্ধকথা কহিবেন। কিন্তু রঘুনাথ আর আসিলেন না, সেদিনকার যন্ধেকথা বর্ণনা করিলেন না। সহসা বজ্রের ন্যায় সংবাদ আসিল, রঘুনাথ বিদ্রোহী, বিদ্রোহাচরণ জন্য অবমানিত হইয়া দরীকৃত হইয়াছেন। প্রথম মহত্তে সরয চকিতের ন্যায় রহিলেন,কথার অর্থ তাঁহার বোধগম্য হইল না। ক্রমে ললাট রক্তবর্ণ হইয়া উঠিল, রক্তোচ্ছাসে মুখমণ্ডল রঞ্জিত হইল, শরীর কাঁপিতে লাগিল, নয়ন হইতে অগ্নিকণা বাঁহগত হইতে লাগিল। দাসীকে বলিলেন--কি &OS