পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্ৰ জীৰল-প্রজ্ঞাত BBBDS BBBBBS BBB BBB BBB BBB BB BBBB BB BBBB BB BBBB করিয়াছিলেন, তখন ইহা রাজার রাজধানীস্বরুপ নিৰ্ম্মমাণ করেন, না জায়গীরদারের আবাসস্থান বলিয়া নিন্মাণ করেন ? আবাজী স্বর্ণদেব ক্ষমস্বরে উত্তর করিলেন,-ক্ষত্রিয়রাজ ! ভবানীর আদেশে একদিন স্বাধীনতা আকাঙ্ক্ষা করিয়াছিলেন, ভবানীর আদেশে সে চেস্টা হইতে নিরস্ত হইয়াছেন, তাহাতে আক্ষেপ অবিধেয়। ঈশানী স্বয়ং হিন্দসেনাপতির সহিত যুদ্ধ নিষেধ করিয়াছেন। অন্নজী দত্তও কহিলেন,—যাহা অনিবায" তাহা হইয়াছে, অধনা আপনার দিল্লীগমনের কত্তব্যাকত্তব্য বিবেচনা করন। শিবজী। অন্নজী ! আপনার কথা সত্য, কিন্তু যে আশা, যে চেষ্টা হৃদয়ে বহনকালাবধি স্থান পাইয়াছে, তাহা সহজে উৎপাটিত হয় না। ঐ যে উন্নত পৰ্বতশ্রেণী চন্দ্রালোকে দটি হইতেছে, বাল্যকালে ঐ পর্বতশৃঙ্গে আরোহণ করিতে করিতে বা উপত্যকায় ভ্রমণ করিতে করিতে হৃদয়ে কত স্বপ্নের আবিভাব হইত। পুনরায় মহারাষ্ট্ৰদেশ স্বাধীন হইবে, ভারতবৰ্ষ" স্বাধীন হইবে, পনরায় হিন্দরোজা হিমালয় হইতে সাগরকল পৰ্য্যস্ত সমগ্রদেশ শাসন করবেন। ঈশানী ! যদি এ আশা অলীক স্বপ্নমাত্র, তবে এরপে স্বপ্নে কেন বালকের হৃদয় চঞ্চল করিয়াছিলে ? এই কথা শুনিয়া সভাস্থ সকলে নীরব, সভায় শব্দমাত্র নাই। সেই নিন্তব্ধতার মধ্যে ঘরের একপ্রান্তে ঈষৎ অন্ধকার স্থান হইতে একটী গম্ভীর সবর শ্রত হইল,—ঈশানী প্রবঞ্চনা করেন না ! মনষ্যের যদি অধ্যবসায় ও বীরত্ব থাকে, ঈশানী সহায়তাদানে কুষ্ঠিত হইবেন না! চকিত হইয়া শিবজী চাহিয়া দেখিলেন, নবীন গোস্বামী সীতাপতি । উৎসাহে শিবজীর নয়ন জলিতে লাগিল, বলিলেন,-গোঁসাইজি ! তুমি আমার হৃদরে বাল্য উৎসাহের পনরুদ্রেক করিতেছ, বাল্যকথা পনরায় সমরণ করাইতেছ! তাত দাদাজী কানাইদেব মৃত্যুশষ্যায় শায়িত হইয়া আমাকে এরপে বলিয়াছিলেন,—বৎস! তুমি যে চেস্টা করিতেছ, তদপেক্ষা মহত্তর চেটা আর নাই। এই উন্নত পথ অনুসরণ কর, দেশের স্বাধীমতা সাধন কর, ব্রাহ্মণ, গোবৎসাদি ও কৃষকগণকে রক্ষা কর, দেবালয় কলুষিতকারীকে শাস্তি প্রদান কর, ঈশানী ষে উন্নত পথ তোমাকে দেখাইয়া দিয়াছেন, সেই পথ অনুধাবন কর। বিংশতি বৎসর পরে অদ্য দাদাজীর গম্ভীর সবর আমার কর্ণকুহরে শদিত হইতেছে, দাদাজী কি প্রবণ্টনাবাক্য উচ্চারণ করিয়াছিলেন ? পুনরায় সেই গোস্বামী সেইরপে গম্ভীরস্বরে বলিলেন,—কানাইদেব প্রবঞ্চনাবাক্য উচ্চারণ করেন নাই, উন্নত পথ অনুসরণ করিলে অবশ্যই উন্নত ফললাভ হইবে। পথিমধ্যে যদি আমরা ভগ্নোৎসাহ হইয়া নিরস্ত হই, সে কি দাদাজী কানাইদেবের প্রবঞ্চনা, না আমাদের ভীরতা ? “ভীরতা” শব্দ উচ্চারণ মাত্র সভাতে গোলযোগ উপস্থিত হইল, বীরদিগের কোষে অসি ঝন-ঝনা শব্দ করিল। গোস্বামী পনরায় গম্ভীরস্বরে বলিলেন,—রাজন ! গোস্বামীর বাচালতা ক্ষমা করন। যদি অন্যায় কথা উচ্চারণ করিয়া থাকি ক্ষমা করন। কিন্তু মদীয় উপদেশ সত্য কি অলীক ক্ষরিয়রাজ, আপন বীরহাদয়কে জিজ্ঞাসা করন। যিনি জায়গীরদারের পদবী হইতে রাজপদবী গ্রহণ করিয়াছেন, যিনি অসিস্তুন্তে স্বাধীনতার পথ পরিস্কার করিয়াছেন, যিনি পৰ্বতে, উপত্যকায়, গ্রামে, অটবীতে বীরত্বের চিহ্ন অঙ্কিত করিয়াছেন, তিনি কি সে বীরত্ব বিস্মরণ হইবেন, সে সবাধীনতায় জলাঞ্জলি দিবেন ? বালসায্যের ন্যায় যে হিন্দরোজ্যের জ্যোতিঃ চারিদিকে অন্ধকার বিদীর্ণ করিয়া বিস্তত হইতেছে, সে সয্যে কি অকালে অন্ত যাইবে ? রাজন ! হিন্দ গৌরব-লক্ষয়ী আপনাকে বরণ করিয়াছেন, আপনি স্বেচ্ছাপবেক তাঁহাকে ত্যাগ করিকেন ? আমি ধৰ্ম্মম ব্যবসায়ী মাত্র, আমার পরামর্শ দিবার অধিকার নাই, স্বয়ং বিবেচনা করন। * অনেকক্ষণ পরে শিবজী গোস্বামীর দিকে চাহিয়া বলিলেন-গোস্বামিন ! আপনার সহিত অলপদিনই আমার পরিচয় হইয়াছে, আপনি দেব কি মনুষ্য জানি না, কিন্তু দৈববাণী হইতেও আপনার কথা হৃদয়ে গভীরতর অঙ্কিত হইতেছে! একটী কথা জিজ্ঞাসা করি, হিন্দু সেনাপতির ミOs ఏ8