পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रहाब्रान्छे छद्रैबम-टाखाक যোদ্ধাকে দেখিতেছে। পথে অসংখ্য শকট, শিবিক, হস্তী ও অশ্ব, রাজা, মনসবদার, সেখ, আমীর ও ওমরাহগণ সব্বদা গমনাগমন করিতেছে। অশ্বারোহিগণ তাঁরবেগে যেন নগর কপিাইরা যাইতেছে; সন্দের অলঙ্কার ও রক্তবশ বস্ত্রে মন্ডিত হইয়া শণ্ডে নাড়িতে নাড়িতে গজেন্দ্রগমনে গজেন্দ্রগণ চলিয়া যাইতেছে; শিবিকাবাহকগণ হাহাকার শব্দে যেন আরোহীর পদমৰ্য্যাদা প্রচার করিয়া চলিয়া যাইতেছে! শিবজী এরপে নগর কখনও দেখেন নাই, কোথায় পনা বা রায়গড় ! - যাইতে যাইতে রামসিংহ দুরে তিনটি শ্বেত গম্বুজ দেখাইয়া বলিলেন,—ঐ দেখনে জন্মো BBBBBS BB DDB BBBB BB BBB BBB BB BBB DDBB DBBBB DDDS ছিলেন, শনিয়াছি ওরপে মসজীদ জগতে আর নাই । শিবজী বিস্ময়োৎফুল্ল-লোচনে দেখিলেন, রক্তবর্ণ প্রস্তরে নিশ্চিমত মসজীদের প্রাচীর বিস্তীণ স্থান ব্যাপিয়া শোভা পাইতেছে, তাহার উপর সন্দের শ্বেতপ্রস্তর-বিনিমিত তিনটি গম্বুজ ও দই দিকে দই মিনার যেন গগন ভেদ করিয়া উঠিয়াছে ! এই অপরাপ মসজীদের সম্মুখেই রাজপ্রাসাদ ও দাগের বিস্তীণ রক্তবর্ণ প্রস্তর-বিনিমিত প্রাচীর দৃষ্ট হইল। দাগের পশ্চাতে যমনা নদী, সন্মখে বিস্তীণ রাজপথ শব্দপণ ও লোকারণ্য। সেই স্থানের ন্যায় সমারোহপণে আর একটী স্থানও ভারতবর্ষে ছিল না, জগতে । ছিল কিনা সন্দেহ। দাগের প্রাচীরের উপর শত শত নিশান বায়বেগে উড়িতেছে, যেন জগতে মোগল সম্রাটের ক্ষমতা ও গৌরব প্রকাশ করিতেছে। দগদ্ধারে একজন প্রধান মনসবদারের প্রশস্ত শিবির, মনসবদার দগে"দ্বার রক্ষা করিতেছেন। দাগের বাহিরে সেনা রেখায় রেখায় দণ্ডায়মান রহিয়াছে, বন্দকের কিরীচশ্রেণী সয্যোলোকে ঝকমক করিতেছে, প্রত্যেক কিরীচ হইতে রক্তবর্ণের নিশান বায়নমাগে উড়িতেছে। দাগ সম্মুখে অসংখ্য লোক অসংখ্য প্রকার দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করিতে আসিয়াছে, দগ-প্রাচীর হইতে মসজীদ-প্রাচীর পয্যন্ত সমস্ত পথ শব্দপণ ও লোকপণ ! অশ্বারোহী, গজারোহী ও শিবিকারোহী, ভারতবর্ষের প্রধান প্রধান পদাভিষিক্ত পরষগণ, বহুলোকে সমন্বিত হইয়া বহু সমারোহে সব্বদাই দগদ্ধারের ভিতর যাইতেছেন ও বাহিরে আসিতেছেন। তাহাদিগের পরিচ্ছদ- য় নয়ন ঝলসিত হইতেছে, লোকের কলরবে কণ বিদীণ হইতেছে। সকল শব্দকে নিমগ্ন করিয়া মধ্যে মধ্যে দগের মধ্য হইতে কামানের শব্দ নগর কম্পিত করিতেছে, ও রাজাধিরাজ আলমগীর অথাৎ জগতের অধিপতির ক্ষমতাবাত্তা জগৎ সংসারে প্রচার করিতেছে। বিসময়োৎফুল্ললোচনে অনেকক্ষণ এই সমস্ত ব্যাপার দেখিয়া অবশেষে শিবজী রামসিংহের সহিত দাগাস্বার অতিক্রম করিয়া দগে" প্রবেশ করিলেনুঞ্জ । প্রবেশ কঞ্জিয়া শিবজী যাহা দেখলেন তাহাতে আরও বিস্মিত হইলেন। চতুন্দিকে বিস্তীণ “কারখানায়” অসংখ্য শিল্পকুরগণ রাজ-ব্যবহায্য নানাবিধ দ্রব্য প্রস্তুত করিতেছে;— অপবে সবণ ও রৌপ্যখচিত বস্ম, মলমল, মসলিন বা ছিট; বহমতুল্য গালিচা, চন্দ্ৰাতপ, তাব বা পদা; সন্দের পরিধেয় উষ্ণৗষ, শাল বা গাত্রাবরণ; অপরপে সবণ মণিমাণিক্যের বেগম-পরিধেয় অলঙ্কার; সন্দের চিত্র; সন্দের কারকোৰ্য্য, সন্দের শ্বেত-প্রস্তরের গহানকেরণ দ্রব্য; রাশি রাশি নীল, পীত, রক্তবর্ণ বা হরিদ্বণ প্রস্তরের নানারপে খেলনা দ্রব্য;—কত বর্ণনা করিব। ভারতবর্ষে - অপব্ব শিল্পকার ছিল, সম্রাট-আদেশে তাহারা মাসিক বেতন পাইয়া প্রতিদিন দগে কায্য * আসিত। সমাট রাজকাৰ্য্যাথ" বা নিজ প্রয়োজনের জন্য যে কোন বস্তু আবশ্যক বোধ করিতেন, বিলাসপ্রিয়া বেগমগণ যতরীপ অপব্ব দ্রব্য আদেশ করতেন, প্রাসাদবাসীদিগের যত প্রকার সামঞ্জী প্রয়োজন হইত, তৎসমস্তই এই স্থানে প্রস্তুত হইত। শিবজী এ সমস্ত দেখিবার সময় পাইলেন না। অসংখ্য লোকের মধ্য দিয়া “দেওয়ান আম” নামক উন্নত প্রশস্ত রক্তবণ প্রস্তর-বিনিশ্চিম"ত প্রাসাদের নিকট আসিলেন । সম্রাট সচরাচর এই স্থানে সভার অধিবেশন করিতেন, কিন্তু অদ্য যেন শিবজীকে প্রাসাদের সমস্ত গৌরব দেখাইবার জন্যই সন্দের শ্বেতপ্রস্তর-বিনিমিত নানারপ অলঙ্কারে অলঙ্কৃত এবং জগতে অতুল্য “দেওয়ান খাস” নামক প্রাসাদে সভা অধিবেশন করিয়াছিলেন। শিবজী সেই স্থানে ষাইয়া দেখিলেন, প্রাসাদের ভিতর রত্ন-মণিক্য-বিনমিত সুয্যেরশ্মি-প্রতিঘাতী ময়র সিংহাসনের উপর সমাট আরংজীব উপবেশন করিয়া আছেন, সম্রাটের চারিদিকে রৌপ্য-বিনিমিত রেল, রেলের বাহিরে ఫి'S&