পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবষের অগ্রগণ্য রাজা, মৎসবদার, ওমরাহ ও সেনাপতিগণ নিঃশব্দে দণ্ডায়মান রহিয়াছেন রামসিংহ শিবজীর পরিচয় দান করিয়া রাজ-সদনে উপস্থিত হইলেন। 叔” শিবজী আদ্য দিল্লীনগরীর অসাধারণ শোভা দেখিয়াই আরংজীবের উদ্দেশ্য অনুমান করিয়াছিলেন, এক্ষণে রাজসদনে আসিয়া সেই বিষয় আরও পল্ট বুঝিতে পারলেন । যিনি বিংশতি বৎসর যুদ্ধ করিয়া আপনার ও সবজাতির স্বাধীনতা রক্ষা করিয়াছিলেন, যিনি সম্প্রতি সমাটের অধীনতা স্বীকার করিয়া যুদ্ধে যথেস্ট সহায়তা করিয়াছেন, যিনি মহারাষ্ট্ৰ দেশ হইতে সমাটকে দশন করিতে দিল্লী পয্যন্ত আসিয়াছেন, সমাট তাঁহাকে কিরাপে আহবান করিলেন ? শিবজী অদ্য একজন সামান্য কর্মচারীর ন্যায় নমভাবে রাজসদনে দণ্ডায়মান । শিবজীর ধমনীতে উষ্ণ শোণিত বহিতে লাগিল, কিন্তু এক্ষণে তিনি নিরপোয়! সামান্য রাজকর্মচারীর ম্যায় সম্রাটকে “তসলীম” করিয়া রীতিমত “নজর" দান করিলেন। আরংজীবের দীর উদ্দেশ্য সাধন হইল,—জগৎসংসার জানিল, শিবজী জানিল, শিবজী ও আরংজীব সমকক্ষ নহেন, দাসের প্রভুর সহিত, ক্ষীণের বলিঠের সহিত যুদ্ধ করা মুখতা ! এই উদ্দেশ্য সাধনাথ’ আরংজীব "নজর” গ্রহণ করিয়া কোন বিশেষ সমাদর না করিয়া শিবজীকে “পাঁচ হাজারী” অর্থাৎ পশ্চ সহস্ৰ সেনার সেনাপতিদিগের মধ্যে স্থান দিলেন। * শিবজীর নয়ন তখন অগ্নিবৎ প্রজবলিত হইল, শরীর কম্পিত হইতে লাগিল। তিনি ওঠের উপর দত্ত স্থাপন করিয়া অপস্টস্বরে বলিলেন,—শিবজী পাঁচ হাজারী ? সম্রাট যখন মহারাস্ট্রে যাইবেন, দেখিবেন, শিবজীর অধীনে কত জন পাঁচ হাজারী আছে। দেখিবেন, তাহারা দলবল হস্তে আসি ধারণ করে না ! আবশ্যকীয় কাৰ্য্য সম্পাদন হইলে সভা ভঙ্গ হইল। সম্রাট গাল্লোখান করিয়া পাশ্বাস্থ উচ্চ শ্বেত-প্রস্তর-বিনিমিত বেগম মহলে যাইলেন। তখন নদীর স্রোতের ন্যায় দাগ হইতে অসংখ্য লোকস্রোত নিগতি হইতে লাগিল। যে যাহার আবাস স্থানে যাইল. সাগরের ন্যায় বিস্তীর্ণ দিল্লীনগরে অচিরে লোকস্রোত লীন হইয়া গেল । শিবজীর আবাসের জন্য একটী বাটী নিন্দির্কট হইয়াছিল। রোষে, অভিমানে, সন্ধ্যার সময় শিবজী সেই বাটীতে আসিলেন, একাকী বসিয়া চিন্তা করিতে লাগিলেন । ক্ষণেক পর রাজসদন হইতে সংবাদ আসিল যে অদ্য সম্রাটের সম্মুখে শিবজী রন্ট হইয়া যে কথা উচ্চারণ করিয়াছিলেন, সম্রাট তাহা শুনিয়াছেন। সম্রাট শিবজীকে দণ্ড দিতে ইচ্ছা করেন না, কিন্তু ভবিষ্যতে শিবজী রাজসাক্ষাৎ পাইবেন না, রাজসভায় স্থান পাইবেন না। শিবজী বুঝিলেন, ভবিষ্যৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হইতেছে। ব্যাধে যেরপে সিংহকে ধরিবার জন্য জাল পাতে, কুর দন্টবদ্ধি আরংজীব সেইরাপ ধীরে ধীরে শিবজীকে বন্দী করিবার জন্য মন্ত্রণাজাল পাতিতেছেন । শিবজী মনে মনে ভাবিলেন,—এ জাল বিদীণ করিয়া কি পনরায় স্বাধীনতা লাভ করিতে পারিব ? হা সীতাপতি গোস্বামিন! চিরযন্ধের পরামশ তুমিই দিয়াছিলে, তোমার গরীয়সী কথা এখনও আমার কণে শন্দিত হইতেছে । আরংজীব ? সাবধান ! শিবজী এ পয্যন্ত তোমার নিকট সত্য পালন করিয়াছে, তাহার সহিত চতুরতা করিও না, কেননা শিবজীও সে বিদ্যায় শিশু নহেন। যদি কর ভবানী সাক্ষী থাকুন, মহারাষ্ট্র দেশে যে সমরানল প্রজবলিত করিব, তাহাতে এই সন্দের দিল্লীনগর, এই বিপুল মুসলমান সাম্রাজ্য একেবারে দন্ধ হইয়া যাইবে ! नश्वबिश्न अब्रिटन्छ्म ३ निभ्ग"ौ८थ उप्राशडूब्रू ’وہ پی ۔ কে তুমি— বিভূতি-ভূষিত অঙ্গ ? —মধসদন দত্ত কয়েকদিনের মধ্যে শিবজী আরংজীবের উদ্দেশ্য পণ্ট কঝিতে পারলেন। শিবাজী আর স্বদেশে না যাইতে পারেন, চিরকাল দিল্লীতে বন্দী হইয়া থাকেন, মহারাষ্ট্ৰীয়েরা আর কখনও স্বাধীন না হয়, এই আরংজীবের উদ্দেশ্য! শিবজী সমাটের এই কপটাচরণে যৎপরোনাস্তি R్పతి שני:אנשישית: איפנילביו: