পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अझाब्राष्ख्ने छौवन-द्धस्नाज्र সে নগর এ পৰ্য্যস্ত হস্তগত করিতে পারেন নাই, বিশেষতঃ গলখদের সুলতান বিজয়পরের সাহায্যাথা নেকনামখাঁ নামক সেনাপতিকে বহনসংখ্যক সৈন্য সমেত প্রেরণ করিয়াছেন। আরংজীব। সমস্ত অবগত হইয়াছি। রামসিংহ। চতুদিকে শত্রবেষ্টিত হইয়া পিতা সম্রাটের আদেশে এখনও যুদ্ধ করিতেছেন, কিন্তু এ যুদ্ধে জয় অসম্ভব, প্রভুর নিকট আর অলপ সংখ্যক সৈন্যের জন্য প্রার্থনা করিয়াছেন। আরংজীব। আপনার পিতা বীরাগ্রগণ্য ! তিনি নিজের সৈন্যে বিজয়পরে হস্তগত করিতে পারিবেন না ? রামসিংহ। মনষ্যের যাহা সাধ্য, পিতা তাহা করিবেন। শিবজী পাবে পরান্ত হয়েন নাই, পিতা তাঁহাকে পরাস্ত করিয়াছেন; বিজয়পর পাবে আক্রান্ত হয় নাই, পিতা সেই নগর আক্রমণ করিয়াছেন ; এখন আপনার নিকট অলপমাত্র সৈন্য-সহায়তা প্রাথনা করিতেছেন। তাহা হইলেই সমস্ত কায্য শেষ হয়, দক্ষিণ দেশে মোগল-সাম্রাজ্য বিস্তৃত ও দঢ়ীভূত হয়। এরপে অবস্থায় অন্য কোন সম্রাট সেই সহায়তা প্রেরণ করিয়া দাক্ষিণাত্যদেশ-বিজয়কাৰ্য্য সাধন করিতেন। আরংজীব আপনাকে বহরদরদশী ও তীক্ষাবৃদ্ধি মনে করিতেন, তিনি সে সহায়তা প্রেরণ করিলেন না। বলিলেন,—রামসিংহ ! আপনার পিতা আমাদের সহৃেদপ্রবর, তাঁহার বিপদের কথা শুনিয়া যৎপরোনাস্তি শোকাকুল হইলাম। তাঁহাকে পত্র লিখিবেন যে তিনি নিজের অসাধারণ বাহুবলে জয়সাধন করিবেন, সম্রাট দিবানিশি এইরুপ আকাঙ্ক্ষা করেন কিন্তু এখন দিল্লীতে সেনাসংখ্যা অতি অলপ, আমি সহায়তা প্রেরণ করিতে অক্ষম। রামসিংহ কাতরস্বরে বলিলেন,—জাহাপনা ! পিতা দিল্লীশ্বরের পুরাতন দাস, আপনার কালে, আপনার পিতার কালে অসংখ্যক যুদ্ধে যঝিয়াছেন, অনেক কাৰ্য্যসাধন করিয়াছেন, দিল্লীশ্বরের কায্যসাধন ভিন্ন তাঁহার জীবনের অন্য উদ্দেশ্য নাই। এই ঘোর বিপদে আপনি কিঞ্চিৎ সাহায্য দান না করিলে তিনি বোধ হয় সসৈন্যে নিধন প্রাপ্ত হইবেন। বালক জানিত না যে তাহার কাতরস্বরে ও আশ্রজেলে আরংজীবের গভীর উদ্দেশ্য, গঢ়মন্ত্রণা বিচলিত হয় না! সে উদ্দেশ্য, সে মন্ত্রণা কি ? রাজা জয়সিংহ অতিশয় ক্ষমতাশালী প্রতাপান্বিত সেনাপতি তাঁহার অসংখ্য সৈন্য, বিস্তীণ যশ, অনন্ত প্রতাপ ! আজীবন তিনি নিম্পকলঙ্কে দিল্লীশ্বরের কাৰ্য্য করিয়াছেন বটে, কিন্তু এত ক্ষমতা কোনও সেনাপতির বিধেয় নহে, সম্রাট জয়সিংহকে এতদরে বিশ্বাস করিতে পারেন না। এ যুদ্ধে যদি জয়সিংহ সার্থকতা লাভ করিতে না পারিয়া অবমানিত হয়েন, তবে সে প্রতাপ ও যশের কিঞ্চিৎ হ্রাস হইবে। যদি সসৈন্যে বিজয়পুরসম্মুখে নষ্ট হয়েন, দিল্লীশ্বরের হৃদয়ের একটী কণ্টকোদ্ধার হইবে। উৰ্ণনাভের জালের ন্যায় ཧྥུ་བྷ་ཝ་སྦྲུམ་ উদ্দেশ্যগুলি বহুবিস্তীর্ণ ও অব্যথা, অদ্য জয়সিংহ-কীট তাহাতে পড়িয়াছেন, উদ্ধার নাই। জয়সিংহ বহুকালাবধি দিল্লীশ্বরের কায্যে জীবন পণ করিয়াছেন বটে, সেজন্য কি সক্ষম মন্ত্রণাজাল অদ্য ব্যথা হইবে ? জয়সিংহের উদারচিত্ত পত্র সম্মুখে দন্ডায়মান হইয়া রোদন করিতেছেন বটে, বালকের রোদনের জন্য কি দরদশী সমাট উদ্দেশ্য ত্যাগ করবেন ? দয়া মায়া প্রভৃতি স্কুমার মনোবৃত্তিসমুহে আরংজীব বিশ্বাস করিতেন না, নিজ হৃদয়েও স্থান দিতেন না। আত্মপথ পরিস্কারাথ অদ্য একটী পতঙ্গ সরাইয়া ফেলিলেন, কল্য একজন সহোদর ভ্রাতাকে হনন করিলেন, উভয় কাৰ্য্য একই রপে ধীর নিরদ্বেগ হৃদয়ে করিতেন। একদিন পিতা, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পপত্র, আত্মীয়বগ সেই উন্নতিপথে পড়িয়াছিলেন, ধীরে ধীরে তাঁহাদিগকে সরাইয়া দিয়াছিলেন। পিতাকে মায়াবশতঃ জীবিত রাখেন নাই, জ্যেষ্ঠভ্রাতা দারাকে ক্রোধবশতঃ হত্যা করেন নাই, সে সমস্ত বালকোচিত মনোবৃত্তি তাঁহার ছিল না। পিতা জীবিত থাকিলে ভবিষ্যতে বিপদের সম্ভাবনা নাই, আপন উদ্দেশ্যসাধনে কোনও প্রতিবন্ধক হইবে না, তিনি জীবিত থাকুন। জ্যেষ্ঠভ্রাতা জীবিত থাকিলে উদ্দেশ্য সাধনে প্রতিবন্ধক হইতে পারে! জল্লাদ! তাঁহাকে সরাইয়া সম্রাট আলমগীরের পথ পরিচকার করিয়া দাও! মন্ত্রণাসাধনের জন্য অদf আবশ্যক যে জয়সিংহ সসৈন্যে হত হইবেন। তিনি ভাল কি iন্দ, বিশ্বাসী কি বিদ্রোহী, অনসেন্ধানে আবশ্যক নাই, তিনি সসৈন্যে মরিবেন! এই পরিচ্ছেদ ર ૨૧