পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटन्नश्च ब्रकनाबलौ পরে কোটারির চৌহানকুলেশ্বরকে সম্বোধন করিয়া মহারাণা কহিলেন,—পিতা যখন হত্যাকারক রণবীরের করকবল হইতে গোপনে আনীত হইয়া এই কমলমীরে গোপনে বাস করিতেছিলেন, যখন পিতাকে সকলে সন্দেহ করিয়াছিলেন, চোহানকুলেশ্বরই তাঁহার সহিত আহার করিয়া সন্দেহ ভঞ্জন করেন! চোহানকুল সে বামিধাম এখনও বিস্মত হয়েন নাই। চোহান। চোহানকুল স্বামিধম্ম কখনও বিস্মত হয় না। প্রতাপ। বিজলীপতি ! আপনার পিতাই পিতার সেই দুরবস্থায় তাঁহাকে কন্যাদান করিয়াছিলেন। মাতুল ! আপনি প্রতাপের প্রতি যত্ন ভুলিবেন না, এই আসন্ন যুদ্ধে প্রতাপের গৌরব রক্ষা করিবেন। উল্লাসে বিজলীপতি কহিলেন,—সে গৌরব রক্ষাথ প্রমরকুল সানন্দে জীবনদান করিবে। পরে দৈলওয়ারার অধীশ্বরের দিকে চাহিয়া মহারাণা কহিলেন,—ঝালাকুল মেওয়ারের স্তম্ভস্বরপ, আসন্ন বিপদে তাঁহারাই আমাদিগের প্রহরিস্বরপে। দৈলওয়ারাপতি উত্তর করিলেন,--ঝালা স্বামিধৰ্ম্ম জানে, যুদ্ধকালে মহারাণার পাশ্বত্যাগ করে না । এইরুপে সকল যোদ্ধার সহিত ক্ষণেক কথোপকথন হইলে পর মহারাণা কহিলেন,— “বীরগণ ! আপনাদিগকে আহবান করিবার কারণ আপনাদিগের নিকটে অজ্ঞাত নাই। সমগ্র ভারতক্ষেত্রের সৈন্যবল মেঘরাশির ন্যায় একত্রিত হইতেছে; বর্ষাকালের প্রারম্ভেই মেওয়ারভূমির উপর আসিয়া পড়িবে। শত্রগণ আমাদিগকেও সষেপ্ত দেখিবে না। তাহারা মেওয়ারের উদ্বারা ক্ষেত্র জঙ্গলময় দেখিবে; মেওয়ারের পর্বতবেটিত প্রদেশে তাহাদিগের প্রবেশ নাই। “বাপারাওয়ের বংশ কি বিদেশীয়দিগের নিকট শির নত করিবে ? সমরসিংহ ও সংগ্রামসিংহের সন্তানগণ কি তুকীর দাস হইবে ? তাহা অপেক্ষা জগৎ হইতে শিশোদীয়কুল একেবারে বিলুপ্ত হউক, সন্দের মেওয়ার দেশের পর্বত ও উপত্যকা সাগরজলে মগ্ন হউক। - “প্রতাপসিংহ মাতৃমুখ উত্তজবল করিবে, প্রতাপসিংহ তুকাঁদিগের সহিত যুঝিবে, পাবপরষদিগের বাহুবল এ বাহতে আছে কিনা, দেখিবে। যোদ্ধাগণ! আমরা কন্দরে ও পর্বতগুহায় বাস করিব, বাপারাওয়ের কুল স্বাধীন রাখিব, সমরসিংহ ও সংগ্রামসিংহের সন্ততিগণ দাসত্ব জানে না—কখনও জানিবে না। "উৎসবের দিন আদ্য শেষ হইল, আমাদিগের কায্যের দিবস উদয় হইতেছে। ষোদ্ধাগণ । সে কায্যে ব্ৰতী হও, দঢ়হস্তে অসি ধারণ কর, এখনও মানসিংহ ও আকবরশাহ দেখিবেন, মেওয়ারের রাজপতগৌরব বিলুপ্ত হয় নাই।” शष्छे श्रृंब्रिट्झम : आनर्मान९ङ् যেনাস্যভুদিতেন চন্দ্র গমিতকান্তিং রবোঁ তত্ততে। যজ্যতে প্রতিকত্তমেব ন পনস্তস্যৈব পাদগ্ৰহঃ ॥ -কাব্যপ্রকাশ । পবোত্ত ঘটনার পর দলই তিন মাস অতিবাহিত হইল। এই কয়েক মাস প্রতাপসিংহ নিশ্চেন্ট ছিলেন না। তিনি যে পন্বতবেটিত প্রদেশখন্ড রক্ষা করিবার মানস করিয়াছিলেন, তাহার মধ্যে প্রত্যেক দরগা, প্রত্যেক উপত্যকা, প্রত্যেক পৰ্বতকদের বারবার দশন করিলেন। দগে খাদ্য সঞ্চয় করিয়া দ্বার রুদ্ধ করিলেন, সৈন্যগণকে ও সমস্ত মেওয়ারবাসীদিগকে উৎসাহিত করিলেন। দাগেশ্বরগণ সসৈন্যে রাণার সহিত যোগ দিলেন। ভূমিয়াগণ সম্মুখ রণ জানে না, কিন্তু নিজ নিজ ভূমিরক্ষাথ প্রাণ দিতে প্রস্তুত হইল । মেওয়ারের অসভ্য জাতিগণও মহারাণার উৎসাহে উৎসাহিত হইল; দক্ষিণে ভীলগণ, পর্বে মীরগণ, পশ্চিমে মীনাগণ ধন্যবাণহস্তে আসিয়া রাজপত যোদ্ধাদিগের সহিত যোগ দিল । সমস্ত প্রদেশ রণরঙ্গে উন্মত্ত হইল। সব্বদাই মহারাণা অল্পসংখ্যক সৈন্য লইয়া পৰ্বতপ্রদেশু হইতে নিগতি হইতেন। দেখিতেন, তাঁহার আদেশ অনুসারে মেওয়ারের সমভূমি ও উদ্যানস্থল এক্ষণে জনশন্য ও অরণ্যময়। লোকালয়ে হিংস্ৰক জীব বাস করিতেছে, শস্যক্ষেত্র অরণ্য হইয়াছে, বনাস ও রবী ミ& 。