পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्ञच्च ब्रकनाबली দিল্লী হইতে নিগত হইয়া অবধি মানসিংহ সমস্ত কাষ সম্পাদন করিতেন, সলীম মানসিংহের উপরেই নিভার করিতেন। সলীম কহিলেন–রাজন! শত্রদিগের রণসজা আপনি দেখিয়াছেন। কবে যন্ধে শ্ৰেয়ঃ বিবেচনা করেন ? মানসিংহ। এ দাস কল্যই যাদ্ধদান উচিত বিবেচনা করে। বর্ষাকালের বিলম্ব নাই, যত শীঘ্ন দিল্লীশ্বরের কার্য্য সমাধা হয়, ততই ভাল। সলীম। আমারও সেই মত। দিল্লীশ্বরের সেনার সম্মখে এ পর্যন্ত মেওয়ারীগণ দণ্ডায়মান হইতে পারে নাই, কল্যও পারিবে না। মানসিংহ। তাহার সন্দেহ নাই। তথাপি আজ্ঞা দিলে ইহাও নিবেদন যে কল্য প্রকৃত যুদ্ধ হইবে। এতদিন আমরা যে শ্রম সহ্য করিয়াছি, কল্যকার কায্যের সহিত তুলনা করিলে সে কেবল বাল্যক্ৰীড়া মাত্র। সলীম। প্রকৃত যুদ্ধই তৈমুরলঙ্গ-বংশীয়দিগের রঙ্গস্থল, কিন্তু কতক্ষণ সে যুদ্ধ স্থায়ী ? মগ ও ব্যাঘ্ৰে কতক্ষণ যুদ্ধ সম্ভব ? পিতার সেনার সম্মুখে ভীর প্রতাপ দরে পলাইবে। মানসিংহ। আপনার পিতার সেনার সম্মুখে দাঁড়াইতে পারে এরপে সেনা ভারতক্ষেত্রে নাই, তথাপি প্রতাপসিংহ সহসা পালাইবে না, এদাস তাহাকে জানে— সলীম ! মানসিংহ ! আপনি আরও কি বলিতেছিলেন, সহসা থামিলেন কেন ? এই প্রতাপের সাহসের কথা আমিও শুনিয়াছি। তাহা ভিন্ন আর কি অবগত আছেন ? মানসিংহ। প্রতাপসিংহের সহিত পাবে একবার এ দাসের সাক্ষাৎ হইয়াছিল, সেই জন্যই বিশেষ করিয়া তাহাকে জানি। সলীম । কি জানেন ? মানসিংহ। প্রতাপ ঘোর বিদ্রোহী, দিল্লীশ্বরের বিরাদ্ধাচারী, কল্য ভীষণ যুদ্ধ হইবে, কেবল এই কথা দাস নিবেদন করিতে আসিয়াছিল। সলীম। সে কথা ত আমিও অবগত আছি, আপনার কি আর কিছর বক্তব্য নাই? মানসিংহ! দিল্লী ত্যাগ করিয়া অবধি আপনি আমার দক্ষিণ হস্তের স্বরুপ হইয়া রহিয়াছেন, আপনার উপর সকল কায্যে নিভীর করিয়াছি, আপনার নিকট সকল কথা ব্যক্ত করিয়াছি; আপনি কি আমার নিকট হইতে কোন পরামশ গোপন করিতে ইচ্ছা করেন ? মানসিংহ। প্রভুর নিকট কোনও পরামশ এদাস গোপন করে নাই; কেবল প্রতাপের নিকট আমার একটী ঋণ আছে, সেই কথা সমরণ হওয়ায় আমার সহসা বাকরোধ হইয়াছিল। সলীম। প্রতাপও হিন্দু, আপনিও হিন্দ ঋণ ও সৌহৃদ্য থাকা সম্ভব। আপনি যদি সহদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে অনিচ্ছুক হয়েন, দরে থাকিবেন, সলীম একাকী যুদ্ধদান করিবে, দেখিবে প্রতাপ বাহতে কত বলধারণ করে। মানসিংহের নয়ন অগ্নিবং প্রজবলিত হইল, তিনি ধীরে ধীরে কহিলেন-প্রতাপের নিকট যে ঋণ আছে তাহা তাহার হৃদয়ের শোণিতে, পরিশোধ হইবে। আপনার নিকট গোপন করিবার আমার কিছুই নাই, পবের অবমাননার কথাও গোপন করিব না। আপনার পিতার নিকট কহিয়াছি, আপনাকেও কহিব, শ্রবণ করন। “যখন শোলাপরে হইতে আমি হিন্দুস্থানে প্রত্যাবত্তন করিতেছিলাম, আমি মহারাণা প্রতাপসিংহের সাক্ষাৎ অভিলাষে মেওয়ারে আসিয়াছিলাম। মেওয়ারের রাণা সৰ্য্যেবংশীয় এবং রাজপতেকুলের মধ্যে অগ্রগণ্য, সতরাং রাজস্থানের সকল রাজার প্রজনীয়। প্রতাপসিংহ সম্প্রতি রাণা হইয়াছেন এইজন্য আমি তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছিলাম । “চিতোর ধনংসের পর উদয়সিংহ উদয়পরে রাজধানী করিয়াছিলেন, কিন্তু প্রতাপ পিতার প্রাসাদ ত্যাগ করিয়া কমলমীরের পবিতদগে থাকেন। আমার আগমনবাত্তা শুনিয়া আমাকে আহবান করিবার জন্য তিনি কমলমণীর হইতে উদয়সাগর পয্যন্ত আসিয়াছিলেন। “উদয়সাগরের কালে মহাসমারোহে ভোজনাদি প্রস্তুত হইল। আমি ভোজনে বসিলাম, কিন্তু রাণা দেখা দিলেন না! প্রতাপের পত্র অমরসিংহ বলিলেন ষ্ণুে তাঁহার পিতার শিরোবেদনা, হইয়াছে, তিনি সেই হেতু আসিতে না পারিয়া আতিথেয় করিবার জন্য সন্তানকে প্রেরণ করিয়াছেন, সে জন্য আমি যেন দোষ গ্রহণ না করিয়া ভোজন আরম্ভ করি। さも切