পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्राछन,ड छौबन-नझाः বিনাশ করিয়া আপনারা বিনষ্ট হইল। মোগলরেখা অতিক্রম করিতে পারিল না, এবার প্রভুর উদ্ধার করিতে পারিল না। দরে হইতে দৈলওয়ারার অধিপতি এই ব্যাপার দেখিলেন। মহেত্তের জন্য ইস্টদেবতা সমরণ করিলেন, পরে আপনার ঝালাবংশীয় যোদ্ধা লইয়া সম্মুখে ধাবমান হইলেন। মেওয়ারের কেতন সবেণসযর্ঘ্য একজন সৈনিকের হস্ত হইতে আপনি লইলেন, এবং মহাকোলাহলে সেই কেতন লইয়া ঝালাকুলের সহিত অগ্রসর হইলেন। সে তেজ মোগলগণ প্রতিরোধ করিতে পারিল না, বীর দৈলওয়ারাপতি শত্ররেখা বিদীর্ণ করিলেন । সঙ্গে সঙ্গে বালীকুল, যথায় প্রতাপ উন্মত্ত রণকুঞ্জরের ন্যায় যুদ্ধ করিতেছিলেন, তথায় উল্লাসরবে উপস্থিত হইল। সবলে প্রভুকে রক্ষা করিলেন, প্রতাপকে সেই শক্ররেখা হইতে উদ্ধার করিয়া আনিলেন, ও সেই উদ্যমে সম্মখেরণে আপনার প্রাণদান করিলেন। পতনশীল দেহের দিকে চাহিয়া মহানুভব প্রতাপ বলিলেন,–দৈলওয়ারা ! অদ্য আপনার জীবন দিয়া আমার জীবন রক্ষা করিয়াছ। দৈলওয়ারা ক্ষীণস্বরে উত্তর করিলেন,—ঝালা সবামিধাম জানে ; বিপদকালে মহারাণার পাশ্বত্যাগ করেন না । প্রতাপসিংহ স্মরণ করিলেন, ফালগন মাসের শেষদিন রজনীতে দৈলওয়ারাপতি এই কথাগুলি বলিয়াছিলেন। দৈলওয়ারাপতির জীবনশন্যদেহ ভূতলে পড়িল । দ্বাবিংশ সহস্র রাজপত যোদ্ধার মধ্যে চতুদশ সহস্র সেদিন ভূতলশায়ী হইল, অবশিষ্ট আট সহস্র মাত্র যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করিল। প্রতাপসিংহ অগত্যা হল দীঘাটার যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করিলেন : মোগলগণ জয়লাভ করিল, কিন্তু সে যুদ্ধকথা সহসা বিস্মত হইল না। বহল বৎসর পরে দিল্লীতে, দাক্ষিণাত্যে বা বঙ্গদেশে প্রাচীন মোগলযোদ্ধগণ যবেক সেনাদিগের নিকট হল দীঘাটা ও প্রতাপসিংহের বিসময়কর গল্প বলিয়া রজনী অতিবাহিত করিত। অল্টম পরিচ্ছেদ ঃ ভ্রাতৃদ্বয় দিনকরকুলচন্দ্র চন্দ্রকেতো সরভসমেহি পরিবেজব। তুহিনশকলশীতলৈস্তবাঙ্গৈঃ শমমপেষাতু মমাপচিত্তদাহঃ ॥ L —উত্তরচরিতম। যুদ্ধক্ষেত্র হইতে প্রতাপ পলায়ন করিলেন, কিন্তু তখনও তাঁহার বিপদ-শাস্তি হয় নাই; ইজন মোগল, একজন খোরাসানী, অপরজন মলেতানী, তাঁহার পশ্চাদ্ধাবন করিতেছিলেন। প্রতাপের তেজস্বী অশ্ব চৈতক লম্ফ দিয়া একটী পর্বতনদী পার হইয়া গেল, মোগলগণের সেই নদী পার হইতে বিলম্বব হইল। কিন্তু চৈতকও আহত, প্রতাপও আহত। পশ্চাদ্ধাবক সন্নিকটে আসিতেছে, তাহাদিগের অশ্বের পদশব্দ সেই পন্বতরাশিতে শদিত হইতেছে, প্রতাপ শুনিতে পাইলেন। এবার রক্ষা নাই জানিলেন, কিন্তু বীরের ন্যায় মরিবেন প্রতিজ্ঞা করিলেন। সহসা পশ্চাৎ হইতে সবর শুনিলেন,—“হো নীলা ঘোড়ারা আসওয়ার!” পশ্চাতে চাহিয়া দেখিলেন, কেবল একজন অশ্বারোহী। সেই অশ্বারোহী তাঁহার বিষম শত্র ও সহোদর ভ্রাতা শক্ত ! রোষে পুতাপসিংহ কহিলেন—সংগ্রামসিংহের পৌত্র হইয়া মোগলদের দাস হইয়াছ, ইহাতেও যথেট কলঙ্ক হয় নাই; এক্ষণে ভ্রাতাকে বধ করিতে পশ্চাদ্ধাবন করিয়াছ ? কুলকলঙ্ক! প্রতাপসিংহ অদ্য সংগ্রামসিংহের বংশ নিম্পকলঙ্ক করিবে । শক্ত প্রতাপের কথায় ভীত হইলেন না, রটে হইলেন না, ধীরে ধীরে প্রতাপের নিকট আসিয়া বলিলেন-ভ্রাতঃ, একদিন তোমার প্রাণনাশে ইচ্ছক হইয়াছিলাম, কিন্তু অদ্য সে ইচ্ছা তিরোহিত হইয়াছে। অদ্য তোমার বীরত্ব দেখিয়া মোহিত হইয়াছি, পাব দোষ ক্ষমা কর, ভ্রাতাকে আলিঙ্গন দান কর। প্রতাপসিংহ দেখিলেন শক্তের নয়নে জল। বহুদিনের বৈরভাব দরে গেল, ভ্রাতৃস্নেহে উভয়ের হৃদয় উথলিল, উভয়ে উভয়কে সস্নেহে আলিঙ্গন করিলেন। প্রতাপের মহত্ত্ব ও প্রতাপের বীরত্ব দেখিয়া অদ্য শক্তের বৈরভাব তিরোহিত হইয়াছে, বহর বৎসরের ভ্রাতৃবিরোধ তিরোহিত হইয়াছে। ভ্রাতার নিকট ভ্রাতা ক্ষমা যাদ্ধা করিতেছে, প্রতাপ 을