পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्राह्मणदछ छौवन-णक्रा ক্লেশ সহ্য করিয়াছিলেন। বালক সংগ্রামসিংহের কথা স্মরণ করিয়া ললাটের লিখন জানিবার উদ্যম হইতে নিরস্ত হও । তিলকসিংহের পত্রের জন্য চারণী আর কি করিতে পারে নিবেদন কর । তেজসিংহ । অন্যায় সমরে যাহার মাতা হত হইয়াছেন, তস্করে যাহার দাগ কাড়িয়া লইয়াছে, ভীলদিগের দয়ায় যাহার জীবন রক্ষা হইয়াছে, ভীলদিগের ভিক্ষায় যে প্রতিপালিত, তাহার জীবনে আর কি অসহ্য ক্লেশ হইতে পারে? দেবি ! নিষেধ করিবেন না, প্রতিহিংসা ভিন্ন এ দাসের অন্য আশা নাই, অন্য সুখ নাই, ভবিষ্যৎ জানিলে কোন আশা, কোন সুখ বিলুপ্ত হইবে? দেবি আপনার নিকট কিছই অবিদিত নাই, তথাপি যদি অনুমতি করেন, একবার এ জীবনের কাহিনী নিবেদন করি। সমস্ত শুনিয়া আজ্ঞা করন, ভবিষ্যৎ জানিলে আমার পক্ষে অধিক ক্লেশ কি হইতে পারে ? চারণী। জীবনের ভীষণ গণ্ডগোল হইতে চারণী অপসত হইয়াছে, সে গণ্ডগোলের কথা শুনিলে এক্ষণে স্বপ্নের ন্যায় বোধ হয়! তথাপি তিলকসিংহের পত্র যাহা বলিতে চাহে চারণী তাহা শুনিবে। তেজসিংহ। দেবীর অনুমতি দ্বারা চিরবাধিত হইলাম ; শ্রবণ করন। তেজসিংহ পাবকথা বলিতে আরম্ভ করিলেন। পবেকথা স্মরণে তেজসিংহের হৃদয় আলোড়িত হইল, রোষে বিষাদে ঘনঘন শ্বাস বাঁহগত হইতে লাগিল। তেজসিংহ কল্পিত সত্বরে কাহিনী আরম্ভ করিলেন, সেই সবর সেই পৰ্বতগুহায় প্রতিধৰনিত হইতে লাগিল। দশম পরিচ্ছেদ : দেবীর আদেশ ধনংসেত হৃদয়ং সদ্য পরিভূতস্য মেপরৈ। যদ্যমশ প্রতিকার ভুজাল-বং ন লম্ভয়েৎ ॥ —কিরাতাজনীয়ম। “দেবি ! আমি চিরকাল এরুপ ছিলাম না, তেজসিংহের চিরদিন এরপে যায় নাই! দিবসযামিনী জিঘাংসা-চিন্তা ছিল না, যশের চিন্তা, বিজয়ের আকাঙ্ক্ষা ছিল। ভীলদিগের ভিক্ষাভোজী ছিলাম না, রাজপতদিগের মধ্যে রাজপত ছিলাম ! “রাঠোরকুলে তিলকসিংহের নাম কে না শুনিয়াছে ? সৰ্য্যেমহলের গৌরব কে না শুনিয়াছে ? রাঠোরকুলেশ্বর জয়মল্ল স্বয়ং তিলকসিংহকে দক্ষিণহস্তে স্থান দিতেন, স্বয়ং সয"মহলে আসিয়া তিলকসিংহের বীরত্বের সাধুবাদ করিয়াছিলেন। দেবি ! আমি তখন অনাথ পব্বতবাসী ছিলাম না, আমি তখন তিলকসিংহের পত্র, সয্যেমহলের যবেরাজ ছিলাম ! “চন্দাওয়ৎকুলের দন্জেয়সিংহের পাব পরষেদিগের সহিত রাঠোর তিলকসিংহের পবেপরষদিগের চিরকাল বিরোধ। বংশানক্রেমে "বৈরি” চলিয়া আসিতেছে। বংশানুক্রমে তুমলে সংগ্রাম হইয়া আসিতেছে। যতদিন চন্দ্র-সৰ্য্যে থাকিবে, ততদিন সে বিরোধ, সে জীবিত থাকিবে। এই নিৰ্বাসিতের শরীরে বংশানগত রোষ দিবারাত্রি জনলিতেছে, দজয়সিংহের হৃদয়-শোণিতে সে অগ্নি নিৰ্বাণ হইবে। “রাঠোরদিগের নিবাসস্থল মাড়োয়ার। সেই স্থান হইতে তিলকসিংহের পবেীপরাষগণ অসিহস্তে আসিয়া চন্দাওয়ংদিগের নিকট হইতে সয"মহল কাড়িয়া লইয়াছে, বংশানক্রেমে তথায় বাস করিতেছে, তাহা দেবীর অবিদিত নাই। পুনরায় অসিহস্তে রাঠোরকুল সেই দগে লইবে, চন্দাওয়ৎদিগকে দরে তাড়াইয়া দিবে। “পিতা যতদিন জীবিত ছিলেন, ততদিন দন্জেয়সিংহের সহিত বার বার মহাযুদ্ধ হইয়াছিল। সিংহের আবাসে শগোল কবে স্থান পাইয়াছে ? যতবার সে পামর সয"মহল আক্রমণ করিয়াছিল, ততবার পিতা তাহাকে দরে তাড়াইয়া দিয়াছিলেন। “অদ্য আট বৎসর হইল তিলকসিংহ রাঠোরপতি জয়মল্লের সহিত চিতোর রক্ষাথ গিয়া, ছিলেন। চিতোর রক্ষা হইল না, কিন্তু দেবি ! জয়মল্ল ও তিলকসিংহের বীরত্ব স্বয়ং আকবরশাহের নিকট অবিদিত নাই। কিরাপে সালমেৱাপতির মৃত্যুর পর তাঁহারা চিতোর-দ্বার রক্ষা 6