পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्यश्च ब्रध्ननाबलौ করিয়াছিলেন, কিরাপে স্বয়ং দিল্লীশ্বরের সহিত সম্মুখযুদ্ধে প্রাণদান করিয়াছেন, চারণগণ সে গীত এখনও দেশে দেশে গাহিতেছে। সে গীত শনিয়া সয"মহলে আমার বিধবা মাতার হৃদয় কম্পিত হইল, এ বালকের হৃদয় কল্পিত হইল। উল্লাসে মাতা কহিলেন,—হৃদয়েশ্বর সশরীরে সবগ ধামে গিয়াছেন, দাসীগণ চিতা প্রস্তুত কর, তিনি দাসীর জন্য অপেক্ষা করিতেছেন, কেনন। জীবনে এ দাসী তাঁহার বড় সোহাগিনী ছিল।” সহসা তেজসিংহের সবর রুদ্ধ হইল; নয়ন হইতে একবিন্দ জল সেই বিশাল বক্ষঃস্থলে পতিত হইল। পনরায় বলিতে লাগিলেন— “দেবি। ক্ষমা করন, তেজসিংহ ক্ৰন্দন অনেক দিন ভুলিয়া গিয়াছে, অদ্য স্নেহময়ী মাতার কথা স্মরণ করিয়া সম্বরণ করিতে পারিল না। যখন চিতারোহণে স্থিরসঙ্কল্প হইলেন, তখন বাটীর সকলে আসিয়া নিষেধ করিল। আমাকে কে প্রতিপালন করিবে, সকলে এইরুপ যক্তি দেখাইতে লাগিল। মাতা তাহা শুনিলেন না, তিনি স্বামীর অনমতা হইবার জন্য স্থিরসঙ্কলপা হইয়াছিলেন। “শেষে আমি আসিয়া বলিলাম,—মাতা, এখনও আমার হস্ত দবেল, যাইলে সয"মহল কে রক্ষা করিবে ? দলেজয়সিংহের সহিত কে যন্ধেদান করিবে ? এবার স্থির সঙ্কল্প ভুলিলেন, বলিলেন,—দাসীগণ! আমার চিতারোহণে বিলম্ব আছে। শনিয়াছি চিতোর রক্ষার্থ পত্তের মাতা ও বনিতা নাকি স্বহস্তে যুদ্ধ করিয়াছিল। আর একজন রাজপত রমণী স্বহস্তে যঝিবে, স্যামহল রক্ষা করিবে । “পিতার অস্ত্রাগার অন্বেষণ করিলেন, তাঁহার ব্যবহৃত একটী ছুরিকা পাইলেন, সেই অবধি ছরিকা মাতার কাঠমণি হইয়াছিল। “দজয়সিংহ মাতার এ পণ শুনিল, নারী-রক্ষিত দগে আক্রমণ করিতে ভীর ভীত হইল। శా శా కాf , కాశా నా శాణా శాP శా జా | “তথাপি যোদ্ধাগণ বিনা যুদ্ধে দগে ত্যাগ করে নাই। তোরণে, সিংহদ্বারে, গাহের ভিতর, সেই অন্ধকার রজনীতে তুমুল সংগ্রাম হইয়াছিল। তস্করেরা বুঝিল, রাঠোরেরা মৃত্যুকে ডরে না, শত শত্র হত্যা করিয়া উল্লাসে প্রাণদান করে। “হ্রদের উপর যে গবাক্ষ আছে, মাতা তথায় দণ্ডায়মান ছিলেন, বামহস্তে আমাকে ধরিয়াছিলেন, দক্ষিণহস্তে সেই ছরিকা ! “ক্রমে আমাদিগের যোদ্ধাগণ হত হইল : ক্রমে যুদ্ধতরঙ্গ ও যুদ্ধনাদ সেদিকে আসিতে লাগিল; শেষে সেই গাহের কবাট ভগ্ন হইল। চন্দাওয়ৎগণ সেই গহে মহাকোলাহলে প্রবেশ করিল; সব্বাগ্রে রক্তাপ্লত দতেজয়সিংহ। “সেই রধিরাক্ত কলেবর দেখিয়া মাতা কম্পিত হইলেন না, সেই প্রচণ্ড যুদ্ধনাদ শুনিয়া মাতা নয়ন মাদিত করেন নাই! সবগীয় স্বামীর নাম লইয়া মাতা তীক্ষ ছুরিকা উত্তোলন করিলেন, জলস্তনয়নে সেই নরাধমের দিকে চাহিলেন। নারীর তীব্রদটির সম্মুখে ভীরর গতি সহসা রোধ হইল, তস্কর সেই ছুরিকার অগ্রে স্তন্ধ হইয়াছিল। মাতা সেই ছরিকাহস্তে দতেজয়সিংহের দিকে বেগে ধাবমান হইলেন। সেই মহেত্তে এই জগৎ হইতে সেই রাজপতেকলঙ্ক অন্তহিত হইত, কিন্তু তাহার একজন সৈনিক আপন প্রাণ দিয়া প্রভুর প্রাণ বাঁচাইল, মাতার ছুরিকা সৈনিকের হৃদয়ের শোণিত পান করিল। তৎক্ষণাৎ দশজন সৈনিক অসহায় বিধবাকে হত্যা করিল!” 卧、 তেজসিংহ ক্ষণেক স্তন্ধ হইলেন। তাঁহার নয়ন হইতে অগ্নি বাঁহগত হইতেছিল। ক্ষণেক পর আত্মসম্বরণ করিয়া কহিতে লাগিলেন—“আমি তখন দশ বর্ষের বালকমাত্র, কিন্তু মাতার হস্ত হইতে সেই ছরিকা লইয়া দশজয়সিংহকে আক্রমণ করিবার চেণ্টা করিলাম। বালকের সম্মখে ভীর সরিয়া গেল, আর তাহাকে দেখিতে পাইলাম না। তখন পদাঘাতে গবাক্ষ ভাঙ্গিয়া লম্বফ দিয়া হ্রদে পড়িলাম। সেই ভীরকে আর একদিন দেখিতে পাইব, মাতার হত্যার পরিশোধ লইব, বংশের কলঙ্ক অপনয়ন করিব, কেবল এই আশায় সেই অবধি আট বৎসর জঙ্গলে ও গহবরে জীবন ধারণ করিয়াছি। “দেবি । তাহার পর বিজনবনে ও পব্বতকন্দরে বাস করিয়াছি, রাঠোর হইয়া ভীলদিগের