পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्राछ*,ज छौबन-नक्का তেজসিংহ। দেবীসিংহ। পিতার রাঠোরদিগের মধ্যে তোমার ন্যায় প্রাচীন কেহই নাই; অথচ হলদীঘাটার যুদ্ধে রাঠোরদিগের মধ্যে তোমা অপেক্ষা বীর কেহ ছিল না। তথাপি *:::::"...so, कि দেবীসিংহ। প্রভুর আদেশ ধায", প্রভু কি বিজয়ে সন্দেহ করেন? শুনিয়াছি চন্দাওয়ৎ দত্তেজয়সিংহের এক সহস্র সেনা আছে; পঞ্চশত রাঠোর কি এক সহস্ৰ চন্দাওয়ৎদিগের সহিত যুদ্ধদানে অসমথ ? তেজসিংহ। রাঠোরের বীরত্বে আমি সন্দেহ করি না, বিশেষ পিতার অন্যান্য বন্ধও আমার সহায়তা করিতে প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন। পাহাড়জী ভূমিয়ার প্রায় এক সহস্র ভূমিয়া আছে, ভীমচাঁদের প্রায় দ্বিশত ধনুৰ্দ্ধর ভাল যোদ্ধা আছে, চন্দ্রপরে প্রায় দ্বিশত বশী প্রজা আছে, তাঁহারা সকলেই তিলকসিংহের পরের জন্য জীবনদানে প্রস্তুত। দেবীসিংহ। তবে যুদ্ধের বিলম্বব কি ? তেজসিংহ। সমযর্গমহল আক্রমণ করিলে বিজয়লাভ করিতে পারি, কিন্তু পিতার যোদ্ধগণ ! তোমাদিগের অধিকাংশকে হারাইব । দেবীসিংহ। প্রভুর জন্য জীবনদান ভিন্ন রাঠোরের আর কি গৌরব আছে ? রাঠোর কি মৃত্যু ডরে ? তেজসিংহ । রাঠোর মৃত্যু ডরে না—পিতা চিতোর রক্ষাথে প্রাণ দিয়াছিলেন। কিন্তু সযষ্ঠমহলে তোমরা প্রাণদান করিলে পুনরায় হল দীঘাটায় কে যুঝিবে ? বীরগণ! মাতার হত্যা ও কুলের অবমাননার কথা তেজসিংহ বিস্মত হয় নাই, ধমনীতে যতদিন শোণিত থাকিবে ততদিন বিস্মত হইবে না। কিন্তু বিদেশীয় যুদ্ধ বক্তমানে “বৈরি” নিষিদ্ধ। রাজপতগণ । রাজপতধৰ্ম্মম পালন কর । প্রাচীন রাঠোর যোদ্ধাগণ সকলে নতশির হইল। অনেকক্ষণ পর দেবীসিংহ গম্ভীর স্বরে কহিলেন,— ংহের পত্র যাহা স্থির করিয়াছেন, তাহাই রাঠোর মাত্রের শিরোধাৰ্য্য, বিদেশীয় শত্ৰ বত্তমানে রাঠোর চন্দাওয়তের ভ্রাতা, চন্দাওয়ৎ রাঠোরের ভ্রাতা, লেচ্ছ ভিন্ন রাজপতের আর শত্র নাই। কিন্তু এ যুদ্ধের পরিণাম পয্যন্ত যদি দেবীসিংহ জীবিত থাকে, চন্দাওয়ৎ দজয়সিংহ, সাবধান! সকল রাঠোর গজিয়া উঠিল—চন্দাওয়ৎ দতজয়সিংহ, সাবধান! এইরুপ উৎসাহবাক্য চারিদিকে শ্রত হইতেছে, ইহার মধ্যে দেবীসিংহের চতুদশবষীর পত্র চন্দনসিংহ ধীরে ধীরে তেজসিংহের সম্মুখে অগ্রসর হইল। বালকের সন্দের ললাটে গচ্ছে গুচ্ছ কৃষ্ণকেশ নত্য করিতেছে, কৃষ্ণনয়নে বাল্যের চপলতা বিরাজ করিতেছে। বালকের মুখমণ্ডল কোমল, ওঁঠ দটী রক্তবর্ণ, কিন্তু অবয়ব দীঘ শরীর এই বয়সেই বলিষ্ঠ ও দঢ়বদ্ধ। বালক ধীরে ধীরে তেজসিংহের সম্মুখে আসিয়া নতশির হইল। বালককে দেখিয়া তেজসিংহের পবে কথা একবার সমরণ হইল। একবিন্দর আশ্রমোচন করিয়া কহিলেন;–চন্দন! বাল্যকালে সৰ্য্যেমহলে তুমি আমার ক্রীড়ার সঙ্গী ছিলে, তোমার কি মনে পড়ে ? আমার দেখাদেখি ছয় বৎসর কালের সময় তুমি তাঁর ও বশী নিক্ষেপ করিবার চেন্টা করিতে, তাহা কি মনে পড়ে ? পিতা একদিন তোমার ললাট দেখিয়া কহিয়াছিলেন,— চন্দন দেবীসিংহের ন্যায় বীর হইবে, তাহা কি মনে পড়ে ? সকৃতজ্ঞস্বরে চন্দন কহিলেন-প্রভুই আমার বাল্যগর ছিলেন, প্রভুই আমার জ্যেষ্ঠ সহোদরের ন্যায় ছিলেন, তাহা কি বিস্মত হইতে পারি? প্রভুই আমাকে প্রথম রণশিক্ষা দিয়াছেন, এক্ষণে এই তুকীদিগের সহিত যুদ্ধকালে যদি প্রভু আমাকে যুদ্ধযাত্রায় অনুমতি দান করেন, তবেই কৃতার্থ হই। তেজসিংহ। চন্দন! তোমার বয়স অলপ, এক্ষণে দাগে রণশিক্ষা কর, যথাসময়ে তোমার পিতা তোমাকে যুদ্ধে লইয়া যাইবেন। ल्लि সহিত চন্দনসিংহ। চতুর্দশবষীয় রাঠোর কি তুকীদিগের যঝিতে সক্ষম নহে ? হাস্য করিয়া তেজসিংহ,কহিলেন,—সিংহের ঔরসে সিংহশাবকই জন্মগ্রহণ করে: দেবীসিংহের পত্র কেন না যুদ্ধের জন্য ব্যস্ত হইবে ? চন্দনসিংহ! অচিরেই ভীষণ যন্ধে হইবে, সম্ভবতঃ আমাদিগের সকলেরই যুদ্ধের সাধ মিটিবে। তোমার পিতা সব্বদা মহারাণার সহিত ミb&