পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩২৩

ब्रह्भश्चम ब्रध्नाबल" থাকিবেন, তুমি এস্থানে না থাকিলে ভীমগড় কে রক্ষা করিবে ? বালক এই অলপ বয়সেই তুমি বীর; এই অলপ বয়সেই তোমাকে আমি ভীমগড় দগেরক্ষায় নিযুক্ত করিলাম; তোমার হস্তে রাঠোর-অসির অবমাননা হইবে না। m ধীরে ধীরে চন্দনসিংহ কোষ হইতে আসি বাহির করিল, সেই সপশ করিয়া ধীরে ধীরে আকাশের দিকে চাহিয়া অল্পবয়স্ক বীর কহিল,—তাহাই হউক। চন্দনসিংহ প্রভু-আদেশে ভীমগড় আদ্য হইতে রক্ষা করবে। ভগবান সহায় হউন, যতক্ষণ চন্দনসিংহ জীবিত থাকিবে, যতক্ষণ দুগে একজন রাঠোর জীবিত থাকিবে, ততক্ষণ এদগে তুকীর প্রবেশ নাই। বালকের এই পণ শনিয়া রাঠোরমণ্ডলী সাধুবাদ করিতে লাগিল, প্রাচীন দেবীসিংহের নয়ন হইতে আনন্দাশ্র বহিতে লাগিল। কিন্তু রাঠোরগণ জানে না, প্রাচীন দেবীসিংহ জানে না, কিরাপে ভয়ানক শোণিতস্রোত ও অগ্নিরাশির মধ্যে এই বিষম পণ রক্ষা হইবে। পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ ঃ চন্দাওয়ং দগে" আথাজিনাষাঢ়ধরঃ প্ৰগলভবাক জলন্নিব রক্ষাময়েন তেজসা । বিবেশ কশিচজটিলস্তপোবনং শরীরবন্ধঃ প্রথমাশমো যথা ৷ —কুমারসম্ভবম । পাঠক! চল আমরা ভীমগড় ত্যাগ করিয়া একবার সৰ্য্যেমহলে গমন করি, তথায় সয" মহলেশ্বর দতজয়সিংহের সহিত সাক্ষাৎ করি । হলদীঘাটার যুদ্ধান্তে দতজয়সিংহ সৰ্য্যেমহলে প্রত্যাগমন করিয়াছেন। প্রাতঃকালে সময"মহল-পব্বতচড়া হইতে চন্দাওয়ৎ পতাকা উড্ডীন হইতেছে ও চন্দাওয়ৎ-রণবাদ্য চারিদিকে শদিত হইয়াছে। “দরীশালায়” অর্থাৎ সভাগহে দতজয়সিংহ উপবেশন করিয়াছেন, উভয় পাশ্বে তাঁহার সহযোদ্ধগণ ঢাল ও খড়গ্ৰহস্তে উপবেশন করিয়াছেন। চতুদিকে দগাবাসিগণ দগেশ্বরকে দেখিতে আসিয়াছে; নাগরিকগণ পরসপরে হল দীঘাটার ও তুকীদিগের বিষয় কথোপকথন করিতেছে; পরনারীগণ "সাহেলায়া” অথাৎ মঙ্গলগীত গাইয়া যুদ্ধপ্রত্যাবৃত্ত চন্দাওয়ৎ বীরদিগকে আহবান করিতেছে। সভাগৃহের ভিতর দলেজয়সিংহের উভয় পাশ্বে তাঁহার যোদ্ধাগণ বসিয়াছিলেন; কয়েক মাস পবে এই সভাস্থলে যে সমস্ত বীর উপবেশন করিয়াছেন, হায়! তাঁহাদিগের মধ্যে অনেকে অদ্য আর এ জগতে নাই। তাঁহাদিগের বীরত্ব ও অকালমৃত্যু স্মরণ করিয়া সকলেই শত ধন্যবাদ করিতে লাগিলেন ; বীরগণ সেইরাপ সম্মুখযুদ্ধে সবদেশের জন্য প্রাণ দিতে পারেন, এই আকাঙ্ক্ষায় যাদ্ধান্তক বহন করিতেছিলেন; কাহারও ললাট, কাহারও দীঘ বাহন, কাহারও বিশাল বক্ষঃস্থল, খড়গ বা বশ বা গুলির অনপনেয় অঙ্কে অঙ্কিত হইয়াছে। সভাগাহের একপ্রান্তে দলজয়সিংহের “গোলা” অথাৎ দাসগণ দন্ডায়মান হইয়াছিল। ইহারা যুদ্ধকালে প্রভুর পাশ্ব কখনও পরিত্যাগ করে না। হলদিীঘাটার যুদ্ধে দহজয়ের সহিত প্রায় একশত “গোলা” গমন করিয়াছিল, তাহার মধ্যে পঞ্চাশৎ জনও ফিরিয়া আইসে নাই ! গোলাগণ চিরদাস ; তাহাদিগের “গোলী” ভিন্ন অন্য কাহারও সহিত বিবাহ নিষিদ্ধ, তাহাদিগের পত্রকন্যাও দাসদাসী। গোলাদিগের জীবনমরণ প্রভুর হস্তে, তাহারাও প্রভুভক্তি ভিন্ন অন্য ধৰ্ম্ম জানিত না। গহপ্রান্তে দতেজয়ের ত্রিংশৎ কি চত্বারিংশৎ “গোলা” বিনীতভাবে দণ্ডায়মান রহিয়াছে, তাহাদিগের দক্ষিণ পদে রৌপ্যনিমিতে বলয় শোভা পাইতেছে। দলেজীয়সিংহ যুদ্ধের কথা কহিতেছিলেন। বর্ষার শেষে যবেরাজ সলীম ও তুকীগণ কি পুনরায় আসিবেন ? রাজা মানসিংহ কি স্বদেশবাসীদিগের শোণিতপাতে এখনও তুষ্ট হয়েন নাই ? যদি না হইয়া থাকেন, মেওয়ারের শিশোদীয়গণ আরও "শোণিতদানে সম্মত আছেন, তুকীগণ পনরায় আসিলে শিশোদীয়গণও পুনরায় রণরঙ্গে তাহাদিগকে আহবান করিবেন। abf 。