পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्राज-एङ जौवन-नक्षा সভায় উপস্থিত হইলেন, স্বয়ং মহারাজ্ঞী পাপকুমারীকে সাদরে আলিঙ্গন করিয়া তাঁহার গলদেশে আপনার মক্তোহার দোলাইয়া দিলেন। সে সখের রজনী কে বর্ণনা করিতে পারে? সে তুষিত হৃদরের প্রথম সখের উচ্ছৰাস কে বণিতে পারে? তেজসিংহ সেই পাপবিনিন্দিত দেহ নিজ হৃদয়ে ধারণ করিয়া, সেই সক্ষম ওঠ ঘন ঘন চুম্বন করিয়া কহিলেন;–পাপ! পম্পে । একদিন তোমাকে অন্যায় সন্দেহ করিয়া ক্লেশ দিয়াছিলাম, তেজসিংহের সে দোষ তুমি ক্ষমা করিয়াছ ? পাপকুমারী সজলনয়নে কহিলেন-দেব! তোমার দোষ যেদিন গ্রহণ করিব, সে দিন যেন পাপ জীবিত না থাকে। সে যাতনা আমার নিজের দোষের উপযুক্ত শান্তি, তোমার দত্ত প্রিয় অঙ্গরীয় আমি কিরপে হারাইলাম ? তেজসিংহ সেই পাপবিনিন্দিত ওঠে পনরায় চুম্বন করিয়া ঈষৎ হাসিয়া কহিলেন,— পাপ, ক্ষোভ করিও না, তোমার দোষ নাই, সে অঙ্গরীয় তুমি হারাও নাই। পাপ। আমি হারাই নাই, তবে কে হারাইল ? আহা ! এবার যদি পাই, চিরকাল এই হৃদয়ে ধারণ করি, অামার জীবনে আর ক্ষোভ থাকে না। তেজসিংহ। ঈশানী তোমার মনোবাঞ্ছা পণ করিয়াছেন। এই বলিয়া ধীরে ধীরে আপন হৃদয় হইতে সেই অঙ্গরীয়টী বাহির করিয়া পাপকে দিলেন। পম্পে চকিত হইলেন, বাপোৎফুল্ললোচনে বারবার সেই অঙ্গরীয়টী চুম্বন করিয়া হৃদয়ে ধারণ করিলেন। পরে বাপোৎফল্ললোচনে স্বামীর দিকে চাহিলেন, কথা কহিতে পারিলেন না। তেজসিংহ পুনরায় সেই সিক্ত ওষ্ঠ চুম্ববন করিয়া আপনার হস্তদ্বারা পাপের আশ্রমোচন করিয়া দিলেন। ধীরে ধীরে একখানি পত্র বাহির করিয়া পাপের হস্তে দিলেন, পাপকুমারী পড়িয়া দেখিলেন, সে ভীলকন্যার প্রেরিত। সেই পত্র এই— “তেজসিংহ! তোমার অঙ্গরীয় একদিন হারাইয়াছিলে, মনে পড়ে ? সেদিন তুমি বালিকাকে বলিয়াছিলে, সে যদি খুজিয়া পায়, অঙ্গরীয় তাহার। পাপকে ও মহারাজ্ঞীকে তুমি একদিন আমাদের বাড়ী পাঠাইয়া দিয়াছিলে, মনে পড়ে ? সেই দিন বালিকা পপের বক্ষঃস্থল হইতে সেই অঙ্গরীয়টা লইয়াছিল। পাপ তখন নিদ্রিত ছিল! "বালিকা মনে করিল, পাপের হাতে পাঁচটী অঙ্গলী, বালিকার হাতে পাঁচটী অঙ্গলী; পাপ যদি অঙ্গরীয় পরিতে পারে, বালিকা তাহার অধিকারিণী নহে কেন ? যে ভীল ও রাজপতিকে গড়িয়াছে, সে ত এক প্রকারই গড়িয়াছে; তবে পাপ যাহার অধিকারিণী, ভৗলবালা তাহার অধিকারিণী নহে কেন ? “কিন্তু আমি বালিকা, আমার বঝিতে ভুল হইয়াছে। তেজসিংহ বাগানের ফল ভালবাসেন, বনফল ভালবাসেন না। সে দিন রাত্রে বাগানের ফলগুলি লইয়া বুঝি তুমি পাপকে অঙ্গরীয় দিয়াছিলে ? আমার বনের ফলে, এই জন্য বুঝি আমাকে কিছয় দাও নাই ? আমি বালিকা, সকল কথা বুঝিতে পারি না। "আজ সন্ধ্যার সময় পক্ষেপকে দেখিতে গিয়াছিলাম, মনে করিয়াছিলাম, তার কাছে দটী বাগানের ফলে চাহিয়া লইব । সে বলিল,—তুমি তাহাকে অঙ্গরীয়টী দিয়াছিলে, তাহার সঙ্গে একটী রত্ন দিয়ছিলে। আমি অঙ্গরীয়টা পাইয়াছিকৈ রত্নটা ত পাই নাই। “পল্প বলিল,—অঙ্গরীয় অপেক্ষা রত্নটী উজ্জবল। তবে আমার এই অঙ্গরীয় রাখিয়া কি হইবে ? এই পত্র যাহার দ্বারা পাঠাইতেছি, তাহার দ্বারা অঙ্গরীয়টীও পাঠাইতেছি, পপের দ্রব্য পম্পেকে ফিরাইয়া দিও। “পড়পকে রত্নটী ফিরাইয়া দিব বলিয়াছিলাম, কিন্তু সেটা অনেক খ:জিয়াও পাই নাই, ཧྥུ་ལ་ཧྥུ །ཝ་ཡཱ་ཀཱ་ལཱ་ཙེ ག་ཛི། যদি তুমি পাপের নিকট হইতে সেটা কাড়িয়া লইয়া থাক, পম্পকে ফিরাইয়া壘 G I” একবার, দুইবার, তিনবার, পাপ এই চিঠি পাঠ করিলেন। শেষে ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন,— নিবোধ বালিকা, অঙ্গরীয়টী সন্দের দেখিয়াছিল, সেইজন্য চুরি করিয়াছিল। বালিকা পিতৃগৃহে বাস করতে লাগিল, কিন্তু গহের কার্য্য করিতে শিখিল না। সব্বদা পব্বতি ও উপত্যকায় বেড়াইত, আর একাকী সেই হ্রদতটে বসিয়া গান করিত। পালের অন্যান্য ভীল-নারীগণ তাহাকে গালি দিত, তাহার স্বভাব দেখিয়া কেহ তাহাকে বিবাহ করিল না। ○ミ○