পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংলার গঙ্গনা ও তিরুকার ও কুটবের ঘণা কোন বিষয়-বুদ্ধিসম্পন্ন লোকে হেলায় না বহন করেন ? উমাতারার টাকার সখ হইল, অন্য সখে তত হইয়াছিল কি না, জানি না, যদি এই উপন্যাসের মধ্যে ধনপরের জমিদার পত্রের সহিত কখনও দেখা হয়, তবে সে কথার বিচার করিব। তবে শুনিয়াছি, বয়সের সহিত সেই জমিদারপত্রের রূপলালসা বাড়িতে লাগিল এবং নানা দিকে প্রবাহিত হইল। কিন্তু বড়মানুষের কথায় আমাদের এখন কাজ নাই, আমরা গরিব গহন্থের ইতিহাস লিখিতেছি। উমার শ্বশুরবাড়ীতে অন্য কন্টেরও অভাব ছিল না। গরিবের মেয়ে বলিয়া কখন কথন কথা সহিতে হুইত, ননদদিগের লাঞ্ছনা, সময়ে সময়ে দাসীদ্বিগেরও গঞ্জনা ! কিন্তু গা-ময় গহনা পরিলে বোধ হয় অনেক কস্ট সয়, মক্তাহার ও জড়োয়া দেখিলে বোধ হয় হৃদয়জাত অনেক দুঃখের হ্রাস হয়। এ শাসে আমরা বড় বিজ্ঞ নহি, সবণ রৌপ্যের গণ পরীক্ষা করিয়া দেখা হয় নাই, জড়োয়া চক্ষতে বড় দেখি নাই, সতরাং তাহার মল্যেও জানি না। হীরকের জ্যোতিতে মনের মালিন্য ও অন্ধকার কতদর দরে হয়, বিজ্ঞবর পণ্ডিত ও পণ্ডিতাগণ নিদ্ধারণ করন। আমরা কেবল এই পৰ্য্যন্ত বলিতে পারি ষে হেমচন্দ্র অনেকক্ষণ অবধি উমাতারার সহিত বাক্যালাপ করিতে করিতে এবং অনেকবার উমাতারার সেই সবর্ণমণ্ডিত মুখের দিকে চাহিতে চাহিতে একটা সন্দিগ্ধমনা হইলেন। তাঁহার বোধ হইল যেন, সেই হীরকমণ্ডিত সন্দর ললাটে এই বয়সেই এক একবার চিস্তার ছায়া দন্ট হইতেছে, যেন সেই হাস্যবিসফারিত নয়নের প্রান্তে সময়ে সময়ে চিন্তার ছায়া দুষ্ট হইতেছে। এটী কি প্রকৃতই চিত্তার ছায়া, না সেই সামাদানের আলোক এক একবার বায়তে স্তিমিত হইতেছে, তাহার ছায়া ? না ভবিষ্যৎ জীবন যৌবনের ললাটে আপন ছায়া অঙ্কিত করিতেছে ? बष्ठ अब्रिट्णझ्न : बिश्म्न कट्ष्अ"ब्र कथा আহারাদি সমাপ্ত হইলে হেমচন্দ্র বাহির বাটীতে আসিলেন, দেখিলেন, তারিণীবাব তখন একাকী বসিয়া আছেন। প্রদীপের স্তিমিত আলোকে একখানি কাগজ পড়িতেছেন, সেখানি দৈনিক বা সাপ্তাহিক বা মাসিক পত্র নহে, সে একটী পুরাতন তমসকে। তারিণীবাবর কপালে বয়সের দুই একটী রেখা অঙ্কিত হইয়াছে, শরীর স্থল, বর্ণ শ্যাম, চক্ষ দটী ছোট ছোট কিন্তু উজ্জবল, মস্তকে টাক পড়িতেছে, সম্মুখের কয়েক গাছি চুল পাকিয়াছে। তারিণীবাবর আকারে বা আচরণে কিছ মাত্র বাহাড়ম্বর বা অথের দপ ছিল না, যাঁহারা বিষয় সন্টি করেন, তাঁহাদের সেগুলি বড় থাকে না, যাঁহারা ভোগ করেন বা উড়াইয়া দেন, তাঁহাদেরই সেগুলি ঘটিয়া থাকে। হেমচন্দ্রকে দেখিয়া তারিণীবাবু কাগজখানি রাখিলেন, ধীরে ধীরে চশমাটী খালিয়া রাখলেন, পরে নম ও ধীর বচনে বলিলেন, “এস বাবা, বসো।” হেমচন্দ্র উপবেশন করিলেন। মিস্টালাপ ও অন্যান্য কথার পর হেমচন্দ্র বিষয়ের কথা উত্থাপন করিলেন, তারিণীবাবু কিছ মাত্র বিচলিত না হইয়া তাহা শুনিলেন এবং ধীরে ধীরে উত্তর দিতে লাগিলেন। হেম। অনেক দিন পরে আপনি বাড়ী এসেছেন, আপনাকে দেখে ও কথাবাত্তা শনে বড় সখী হলেম, যদি অনুমতি করেন তবে একটা বিষয় কমের কথা বলতে ইচ্ছে করি। তারিণী। হাঁ, তা বল না, তার আবার অনুমতি কি বাবা, যা বলতে হয় বল, আমি শনেছি। হেম। আমার শ্বশুর মহাশয় যে সামান্য একটা জমি চাষ করাতেন, তারই কথা বলছি। তারিণী। বল । হেম। সে জমিটকু আমার শ্বশর মহাশয় আজীবন দখল করতেন ও চাষ করাতেন, তাঁর পাবে তাঁর পিতা আজীবন চাষ করাতেন, তা অবশ্যই আপনি জানেন। তারিণী। জানি বৈ কি। হরিদাসের পিতার প্রবে তাঁর পিতা সেই জমি চাষ করাতেন, তিনি আমারও পিতামহ, হরিদাসেরও পিতামহ। তখন আমরা বালক ছিলেম, কিন্তু সে কথা বেশ মনে আছে। পিতামহের কাল হলে আমার পিতাই সমস্ত জমি চাষ করাতেন, হরিদাসের 986