পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*८अभ ब्रकृञाबलौ। পিতা জ্যেষ্ঠ ছিলেন, কিন্তু তাঁর বিষয়-বুদ্ধি বড় ছিল না, এই জন্য আমার পিতাই সমস্ত সম্পত্তি এজমালিতে তত্ত্বাবধান করতেন। পরে আমার জ্যেঠা, হরিদাসের পিতা, পথক হয়ে গেলে তাঁর জীবন যাপনের জন্য আমার পিতা তাঁকে কত্রক বিঘা জমি চাষ করতে দিয়াছিলেন মাত্র। হরিদাসও আজীবন সেই জমিটুকু চাষ করে এসেছে মাত্র, কিন্তু আমাদিগের সম্পত্তি এজমালি । এ সকল কথা বোধ হয় তুমি জান না, কেমন করেই বা জানবে, তুমি সে দিনের ছেলে আর ছেলেবেলা ত গ্রামে বড় থাকতে না, বদ্ধমানে ও লেখাপড়া করতে। হেমচন্দ্র এই কথা শুনিয়া বিস্মিত হইলেন, সম্পত্তি এ তাহা এই নতন শুনিলেন । তারিণীবাবর এই নতন সন্দের তকটী শুনিয়া তাঁহার একট হাসি পাইল, কিন্তু অদ্য তিনি তক খণ্ডন করিতে আইসেন নাই, আপোস করিতে আসিয়াছেন; হাসি সবরণ করিয়া ধীরে ধীরে বলিলেন, “পবের কথা আপনি আমাপেক্ষা অনেক । জানেন তাহার সন্দেহ নাই। আমি এই মাত্র বলছিলেম যে শ্বশুর মহাশয় যে জমি আজীবন কাল পথক রাপে চাষ করে এসেছেন, তা হতে তাঁর অনাথা কন্যা কিছর প্রত্যাশা করতে পারে কি ? তারিণী। আহা! বাছা বিন্দ এই বয়সেই পিতামাতা হারা হয়ে অনাথা হয়েছে তাহা ভাবলে বকে ফেটে যায় ! আহা! আজ যদি হরিদাস থাকত, এমন সোণার চাঁদ মেয়েকে নিয়ে, এমন সচ্চরিত্র সোণার জামাইকে নিয়ে ঘর করতে পারত, তাহলে কি এত গণ্ডগোল হত, এত খরচ করে আমাকে তার কষিত জমিটুকু রক্ষা করতে হত ? তবে ভগবানের ইচ্ছা। হরিদাস গেছে, আমাকে একলাই সমস্ত ভার বহন করতে হল; এজমালি জমির যে অংশটুকু সে চাষ করতো, তা পনরায় অন্যান্য জমির সঙ্গে আমাকেই তত্ত্বাবধান করতে হচ্ছে। তাতে আমার লাভ বিশেষ নেই, সেই জমিটকুর রক্ষার জন্য তার মাল্য অপেক্ষা অধিক ব্যয় করতে হয়েছে। কিন্তু কি করি, পৈতৃক সম্পত্তি পরের হাতে যায়, জমিদার অন্যকে দেয়, তা ত আর চক্ষে দেখা যায় না । হেম। তবে শ্বশুর মহাশয়ের জমি হতে কি তাঁর কন্যা কিছুই প্রত্যাশা করতে পারবে না ? তারিণী। প্রত্যাশা আবার কি বল; আমরা বড়োসড়ো লোক, তোমরা কলেজের ছেলে, তোমাদের সব কথা একটা ভেঙ্গে না বললে কি বুঝে উঠতে পারি? বিন্দ আমাদের ঘরের ছেলে, আমার উমা যে, বিন্দও সে, যত দিন আমার ঘরে এক কুনকে চাল আছে, তত দিন বিন্দ ও উমা তার সমান ভাগ করে খাবে। তাতে আবার জমির অংশই কি, প্রত্যাশাই কি ? হেমচন্দ্র দেখিলেন, তারিণীবাবরে সহিত পেরে উঠা ভার, তারিণীবাবরে সন্দের তক' তিনি পশ করিতে পারিতেছেন না। অনেকক্ষণ ভিন্ন ভিন্ন প্রকারে ব্যথা চেষ্টা অনেকক্ষণ কথাবাত্তা করিয়া অবশেষে কহিলেন, “মহাশয় যদি অনুমতি দেন, যদি রাগ না করেন, তবে আর একটী কথা বলি।” তারিণী। বল বাবা, এতে রাগের কথা কি আছে ? তুমি আমার ছেলের মত, তোমার কথায় আবার রাগ ? * হেম। আপনি বোধ হয় জানেন যে শ্বশুর মহাশয় যে জমি আজীবনকাল পাথকরাপে চাষ করে আসছিলেন, তা যে এজমালি সম্পত্তি তা আমরা স্বীকার করি না। তারিণী। তোমরা স্বীকার করবে কেন ? তোমরা কলেজের ছেলে, ইংরেজী লেখাপড়া শিখেছ, তোমরা কি আর এজমালি স্বীকার করবে ? এখন কলেজের ছেলেরা ভায়ে ভায়ে একত্র থাকতে পারে না, শুনেছি মায়ে পোয়ে এজমালিতে থাকতে পারে না, তোমাদের কথা কি বল ? আমরা বড়োসড়ো লোক, আমরা সে সব বুঝি না, আমরা এজমালিতে থাকতে ভালবাসি, বাপ পিতামহ যা করে গেছেন তাই করতে ভালবাসি। আহা, থাকতো আমার হরিদাস, সে জানতে এ জমি মল্লিকবংশের এজমালি সম্পত্তি কি না, তোমরা সে দিনকার ছেলে, তোমরা কি জানবে বল ? হেম। তা যাই হউক, আমরা এজমালি বলে স্বীকার করি না তা আপনি জানেন। আর এজমালিই হক আর নাই হক, সে সম্পত্তির একট অংশ বোধ হয় আমরা প্রত্যাশা করতে পারি। আমার শ্বশুর মহাশয় যে জমিটকু চাষ করতেন, এক্ষণে আমার সন্ত্রীর পক্ষে আমি যদি সেই চকু পাথকরাপে চাষ করতে চাই, তাতে কি আপনি সম্মত আছেন ? r কিছুমাত্র ক্রুদ্ধ না হইয়া একট: হাসিয়া বলিলেন, “ছি বাবা, তুমি স্বভাবত や8 b