পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्भव ब्रकनाबलौ তারিণী। তার মধ্যে বীজ খরচ, জন খরচ, জমিদারের খাজনা, পথকর, বাজে খরচ, ইত্যাদি দিয়ে সালিয়ানা কত থাকে তা কি হিসেব করা হয়েছে ? ■ হেম। অপেই থাকে বটে। * # Wኔ - তারিণী। সে জমিটুকু রক্ষার জন্য আমাকে কত খরচ করতে হয়েছে তা কি জানা আছে ? হেম। আজ্ঞে না, তা জানিনি। i * * * * * তারিণী। তবে আর অলপমাল্য হল কি অধিক হল, তা কিরূপে বুঝলে ? দেখ বাপ, এ বিষয়ে আর তক অনাবশ্যক, আমি এক কথার মানুষ, এর উদ্ধৰ দিতে পারব না। যদি ৩০১ টাকা চাও, তাও দিতে পারবে না। আমি যা বললেম, তাতে যদি মত না হয় অন্য পথ অবলম্ববন কর । - হেমচন্দ্র ক্ষণেক চিন্তা করিলেন। ಶ್ಗ মনে করিয়া তাঁহার মনে ক্ষোভ হইল; কিন্তু বিন্দর সৎপরামশ তাঁহার মনে পড়িল, তিনি ধীরে ধীরে বলিলেন, o “মহাশয় যা দিলেন তাই অনুগ্রহ, আমি তাতেই সম্মত হলেম।” তারিণীবাবর স্বাভাবিক প্রসন্ন মনখখানি সম্প্রতি কিছর রক্ষে হইয়া আসিতেছিল, তাঁহার কথা হইতেই আমরা তাহা কিছু কিছয় বকিয়াছি; কিন্তু এক্ষণে সে মাখকাস্তি সহসা পবোপেক্ষা প্রসন্নতা লাভ করিল। হষোৎফুল্ল লোচনে বলিলেন, “তা বাবা, তুমি যে সম্মত হবে তা ত জানাই আছে, তোমার মত বৃদ্ধিমান ছেলে কি আজকাল আর দেখা যায় ? কত দেখে শুনে তোমার সঙ্গে আমার বিন্দর বিবাহ দিয়াছি, আমি কি না জেনে শুনেই কাজ করেছি ? আর তুমি কলেজে লেখাপড়া শিখেছ, কালেজের ছেলে ভাল হবে না ত কি আমাদের পাড়াগে’য়ে ভূতেরা ভাল হবে। আজ তোমাকে দেখে ষে কত আহমাদিত হলেম তা আর তোমার সাক্ষাতে কি বলব ? আর দটা পান খাও না। ওরে হরে! বাড়ীর ভিতর থেকে দটো পান এনে দে ত। হেম । আজ্ঞে না, আপনার ঘামের সময় হয়েছে, আর বসব না। তারিণী। কোথায় ঘুমের সময় ? আমি দুই প্রহর রাত্রির পাবে ঘামাতে যাই না। আবার কাল রাত্ৰিতে খুব ঘন্ম হয়েছিল, আজ একেবারেই ঘমে পাচ্ছে না। হেমচন্দ্র একটা হাসিলেন, কিছল বলিলেন না। তারিণী। আর তুমি এত দিনের পর এলে, তোমাকে ফেলে ঘমে ! দুটো কথাই কই । আর দেখ বাপ, এই টাকাটা নিয়ে একটা দলিল লিখে দিলেই ভাল হয়। তোমরা কলেজের ছেলে, তোমাদের কথাই দলিল, তবে কি জান, একটা প্রথা আছে, সেটা অবলম্ববন করলেই ভাল হয়। হেম। অবশ্য; যখন কোন কাজ করা যায়, নিয়ম অনুসারে করাই ভাল । তারিণী। তাত বটেই, তোমরা ইংরেজী শিখেছ, তোমাদের কি আর এ সব কথা বলতে হয়। আর তোমরা যখন দলিল দিচ্ছ, বিন্দ যখন সই করবে, আর তুমি যখন তাতে সাক্ষী হবে, তখন রেজিস্টারী করা বাহুল্য মাত্র। তবে একটা রীতি আছে। হেম। অবশ্য আমি সাক্ষী হব, দলিলও রেজিস্টারি হবে; এরপ কাজ সমাধা করতে যা যা আবশ্যক, তা সমস্তই হবে। তারিণী। তা বৈ কি, তা কি তোমার মত ছেলেকে আর বুঝাতে হয় ? অার একটা কি জান, দলিলের স্ট্যাম্প খরচা আছে, রেজিস্টারী আপিসে যেতে গাড়ীভাড়া আছে, সেনাক্ত করার খরচা আছে, রেজিস্টারী ফি আছে, এ কাজটা যে ৮ । ১০ টাকার কমে সম্পন্ন হয় বোধ হয় না। তা বিন্দ আমার ঘরের ছেলে, সে টাকা আর বিন্দর কাছে নিতেম না, তবে কি জান, এই ৩০০, টাকা দিতেই আমার বড় কষ্ট হবে, আর যে একটী পয়সা দিতে পারি আমার বোধ হয় না। হেমচন্দ্র একটা হাসিলেন, মনে মনে ভাবিলেন, “তারিণীবাব যাত্রায় এক রাত্রিতে একশত টাকা খরচ করেন, আমার দশ টাকা হইলে মাসের খরচা চলিয়া যায়!” প্রকাশ্যে বলিলেন, “আজ্ঞা আচ্ছা, তাও দিতে আমি সম্মত হলেম।” তারিণী। তা হবে বৈ কি, তোমার মত সবোধ ছেলেকে কি আর এ সব কথা বলতে হয় ? আরও অনেকক্ষণ কথা হইল। বিষয়ী তারিণীবাব একটা একটা করিয়া সমস্ত নিয়মগুলি আপনার সাপক্ষে স্থির করিয়া লইলেন, বিষয়বৃদ্ধি-হীন হেমচন্দ্র তাহাতে আপত্তি করিলেন না। Ꮼ8Ꮜ