পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटयश्च ब्रफ़नावली সঙ্গে হেমের অন্তঃকরণে চিন্তা আবিভূত হইতে লাগিল। তাঁহার উদ্দেশ্য কি সফল হইবে ? ভবিষ্যতে কি আছে ? শান্ত নিস্তব্ধ তালপুকুর ত্যাগ করিয়া তিনি অদ্য এই মহানগরীতে আসিলেন, এই সদাচঞ্চল মনুষ্যসমুদ্রের কোনও নিভৃত কদরে কি তাঁহার দাঁড়াইবার স্থান আছে ? ७कामक्ष निब्रटऋम : कर्गजकाज्राब्र बज्रवाञान्न বিন্দর। ও সন্ধা, একবার এদিকে এস ত বোন। সন্ধা। কি দিদি, আমাকে ডাকছ ? বিন্দু। হ্যাঁ বোন, ঐ কাপড় কখানা কেচে রেখেছি, ছাতের উপর শাখতে দাও ত । আমি কুয়ো থেকে দকলসী জল তুলে শীঘ্ৰ নেয়ে নি; রোদ উঠেছে, এখনি গয়লানী দধে আনবে, উন্ন ধরাতে হবে। কলকেতায় কুয়োর জলে নাইতে সুখ হয় না, এর চেয়ে আমাদের পাড়াগে’য়ে পুকুর ভাল, বেশ নেবে স্নান করা যায়! আর কুয়োর জলে কেমন একটা গন্ধ। সন্ধা হাসিয়া বলিল, “তোমার বুঝি কলকেতার সবই খারাপ লাগে ? কেন, কলকেতার কলের জল কেমন সন্দের। ঝি খাবার জন্যে এক কলসী করে আনে, সে যেন কাকের চক্ষ, আর কেমন মিলিট ।” বিন্দর। নে বোন, তোর কলকেতার সংখ্যাতি আর শুনতে পারি না। সন্ধা । কেন দিদি, তুমি মন্দ কি দেখলে বল। কত বড় সহর, কত বাজার, দোকান, ঘর, গাড়ী, ঘোড়া, লোকজন, এমন কি আমাদের তালপুকুরে আছে ? এমন দোতালা বাড়ী কি আমাদের তালপুকুরে আছে ? বিন্দর। তা না থাকুক বোন, আমাদের তালপুকুরের সোণার বাড়ী, চারিদিকে নড়বার জায়গা আছে, একটা বাতাস আসে, একটু রোদ আসে, দুটো নাউ গাছ আছে, দুটো আম গাছ আছে, এখানে কি আছে বল ত ? গাড়ীঘোড়া যাদের আছে, তাদের আছে, আর দোতালা পাকা বাড়ী নিয়ে ধয়ে খাব ? ঘরে বাতাস আসে না, ছোট অন্ধকার উঠনে রোদ আসে না, পাড়ায় লোকের বাড়ী দেখা করতে যাবার যো নেই, পালকী না হলে বাড়ীর বাইরে যাবার যো নেই, ও মা, এ কি গো ; যেন পিজিরের ভিতর পাখী রেখেছে ! সন্ধা। কেন দিদি, সেদিন আমরা গাড়ী করে কত বেড়িয়ে এলেম, চিড়িয়াখানায় বাঘ-সিংহ দেখে এলেম, গাড়ী করে বেরলেই কত কি দেখতে পাই। বিন্দ । না বাবা, আমার গাড়ী করে বেড়াতে ভাল লাগে না। আমাদের তালপুকুর সোণার তালপুকুর, সকালবেলা পুকুরের ঘাটে আসতেম, সেই ভাল। আর সব লোককে চিনতেম, সবার বাড়ী যেতেম, সবাই কত আমাদের ভালবাসত। এখানে কে কাকে চেনে বল ? সন্ধা। তা দিদি, একদিনেই কি চিনবে, থাকতে থাকতে সকলকে চিনবে। ঐ সেদিন দেবীপ্রসন্নবাবদের বাড়ী থেকে ঝি এসেছিল, আমাদের যেতে বলেছে। আর চন্দ্রনাথবাব আমাদের কাল কত খাবার পাঠিয়ে দিয়েছিলেন । বিন্দু। তা আলাপ হবে বৈ কি বোন: যতদিন থাকবে, লোকের সঙ্গে চেনাশনা হবে । তবে কি জান সন্ধা, তাঁরা হলেন বড়লোক, আমরা গরিব মানুষ, তাঁদের সঙ্গে কি ততটা মেশা যায়, তা নয় : তাঁরা আমাদের সঙ্গে দুটো কথা কন, এই তাঁদের অনুগ্রহ। তা কলকেতায় যখন এসেছি, তখন দুজন চারজনের সঙ্গে কি চেনাশনা হবে না, তা হবে বৈ কি। সন্ধা। আর শরৎবাব রোজ সন্ধ্যার সময় ত আমাদের বাড়ী আসেন, কত গলপ করেন. কত লোকের কত কথা কন, কত বইয়ের কথা বলেন, দিদি সে গল্প শনতে আমার বড় ভাল লাগে । বিন্দ । আহা, শরতের মত কি ছেলে আজকাল আর দেখা যায় ? তার একজামিনের জন্য সমস্ত দিন পড়াশনা করতে হয়, তব প্রত্যহ আমরা কেমন আছি জিজ্ঞেসা করতে আসেন, পাছে কলকেতায় এসে আমাদের মন কেমন করে, তাই রোজ সন্ধ্যার সময় এখানে আসেন। যত দিন তাঁর বাড়ীতে ছিলেম, তত দিন ত তাঁর পড়াশনা ঘরে গিয়েছিল্ল, কিসে আমরা ভাল থাকি, সেই চেস্টায় ফিরতেন। তাঁর টাকার জাঁক নেই, লেখাপড়ার জাঁক নেই, আর শরীরে কত মায়াদয়া। তাঁর মত ছেলে কি আর আছে ? や)○8