পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्ञश्व ब्रफ़नाबलौ বামীর মা। তা বই কি, এ সংসারে কি কিছর অভাব আছে । দধ দৈয়ের ছড়াছড়ি, আমরা খেয়ে উঠতে পারিনি, দাসীচাকর খেয়ে উঠতে পারে না। তোমার যখন যা দরকার হবে বাছা, গিন্নীর কাছে এসে বলো, গিন্নীর দয়ার শরীর। শ্যামীর মা। হ্যাঁ, তা ভগবানের ইচ্ছেয় যেমন ঐশ্বৰ্য্য, তেমনি দয়াধৰ্ম্ম । গিন্নীর হিল্লেতে পাড়ার পাঁচজন খেয়ে বত্তাচ্ছে। গহিণী। তোমার স্বামীর একটী চাকরীটাকরী হল ? বাবর কাছে এসেছিল না ? বিন্দন। হ্যাঁ, এসেছিলেন, তা এখনও কিছু হয়নি, বাব বলেছেন একটা কিছু করে দেবেন। তা আপনারা মনোযোগ করলে চাকরী পেতে কতক্ষণ ? গহিণী। হ্যাঁ, তা সাহেব মহলে বাবর ভারি মান, তাঁর কথা কি সাহেবেরা কাটতে পারে ? ঐ সে দিন বড়িজ্যেদের বাড়ীর ছোঁড়াটাকে একটা সরকারী করে দিয়েছেন, বামনের ছেলেটা হেটে হোটে মরত, খেতে পেত না, তাই বল্লেম, ছেলেটার কিছ একটা করে দাও। বাব তখনই সাহেবদের বলে একটা চাকরী করে দিলেন। আর ঐ মিত্তিরদের বাড়ীর ছোকরাটা সেইখানে থাকে, বাজারটাজার করে; তার মা তিন মাস ধরে আমার দোরে হাঁটাহাটি করলে ; তার বেী একদিন আমার কাছে কে’দে পড়ল যে সংসারে চালডাল নেই, খেতে পায় না। তা কি করি, তারও একটা চাকরী করে দিলেম। তবে কি জান বাছা, এখন সব ঐ রকম হয়েছে, পয়সা ত কারও নেই, সবাই কাঙ্গাল, সবাই খাবার জন্যে লালায়িত, সবাই আমাকে এসে ধরে, আমি ব্যারাম শরীর নিয়ে আর পেরে উঠিনি। যেন সব কালীঘাটের কাঙ্গাল, হাড় জালিয়ে তুলেছে। তা বলো তোমার স্বামীকে বাবরে কাছে আসতে, দেখা যাবে কি হয়। দেড় ঘণ্টার পর গহিণীর তৈলমাজ’ন কায্য সমাপ্ত হইল, তিনি স্নানের জন্য উঠিলেন। বিন্দর সব্বদাই ধীরস্বভাব ; সংসারের অনেক ক্লেশ সহ্য করিতে শিখিয়াছিলেন, কিন্তু বড় মানুষের দ্বারে আসিয়া দাঁড়াইতে এখনও শিখেন নাই, এই প্রথম শিক্ষাটা তাঁহার একটা তিক্ত বোধ হইল। ধীরে ধীরে গহিণীর নিকট বিদায় লইয়া ভগিনী ও সন্তান দটীকে লইয়া প্রস্থান করিলেন। চতুন্দশ পরিচ্ছেদ ঃ নবীনবাব কলিকাতায় আসিবার পর কয়েক সপ্তাহ সন্ধা বড় আহসাদে ছিল। যাহা দেখিত সমস্তই নতন, যেখানে যাইত নতেন নতন দশ্য দেখিত, বাড়ীতে যে কাজ করিতে হইত তাহাও অনেকটা নতন প্রণালীতে, সতরাং সাধার সকলই বড় ভাল লাগিত। কলিকাতার প্রচন্ড গ্রীষ্মকাল পল্লীগ্রামের গ্রীমকালের অপেক্ষা অধিক কষ্টদায়ক, বিন্দদের ক্ষুদ্র বাটীতে বড় বাতাস আসিত না, কোঠা ঘরগুলি অতিশয় উত্তপ্ত হইত। সে কটেও সন্ধা কট বোধ করিত না, কিন্তু তাহার শরীর একট অবসন্ন ও ক্ষীণ হইল, প্রফুল্ল চক্ষ দটী একট লান হইল, বালিকার সগোল বাহন দটী একট দন্বেল হইল। তথাপি বালিকা সমস্ত দিন গহকায্যে ব্যাপত থাকিত অথবা বালোচিত চাপল্যের সহিত খেলা করিয়া বেড়াইত, সতরাং হেম ও বিন্দ সাধার শরীরের পরিবত্তন বড় লক্ষ্য করিলেন না । বর্ষার প্রারম্ভে, কলিকাতার বর্ষার বায়তে সাধার জবর হইল। একদিন শরীর বড় দাবাল কুলে কিনে লস্ক তি পারিল না, শয়নঘরে এক মাদর বিছাইয়া ঢ়ল । i সন্ধ্যার সময় বিন্দ সে ঘরে আসিয়া দেখিলেন, বালিকা তখনও শইয়া রহিয়াছে। বলিলেন,— এ কি সধা, এ অবেলায় শয়ে কেন ? অবেলায় ঘমেলে অসংখ করবে, এস ছাতে যাই। সন্ধা। না দিদি, আমি আজ ছাতে যাব না। বিন্দ। কেন, আজ অসুখ করছে না কি ? তোমার মুখখানি একেবারে শখিয়ে গেছে যে। সন্ধা । দিদি, আমার গা কেমন করছে, আর একটা মাথা ধরেছে। বিন্দ সন্ধার গায়ে হাত দিয়া দেখিলেন, গা অতিশয় উত্তপ্ত, কপাল গরম হইয়াছে। বলিলেন,—সন্ধা তোমার জন্বরের মত হয়েছে যে। তা মেজেয় শয়ে কেন, উঠে বিছানায় শোও, আমি বিছানা করে দিচ্ছি। రిa3