পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बक्रर्गब८छफा T o -F শিখণ্ডিবাহন অনেকক্ষণ চিন্তা করিয়া কহিলেন,-আমার বোধ হয়, তিনি কোন ভয়ানক প্রাপ করিয়া থাকিবেন, মহাপাপে চিত্তের উন্মত্ততা জন্মে। নবীন। তিনি কোন পাপ করিবেন, আমার এমন বিশ্বাস হয় না। এই বলিয়া নবীন দাস ক্ষণেক স্থির হইয়া যেন পবেকথা স্মরণ করিতে লাগিল। পনরায় বলিল,—তাঁহার অন্তঃকরণে যে দয়া, তিনি পাপ করিতে পারেন না। আজ অনুমান দ্বাদশ বৎসর হইল, আমি একবার ইচ্ছাপরে গিয়াছিলাম, দেখিলাম দুই চারিজন প্রজা খাজনা দিতে পারে নাই বলিয়া ঘরে আবদ্ধ আছে। তখন আমাদের জমীদারপত্রের বয়স আট বৎসর হইবে। তিনি লুকাইয়া ঘরের দ্বার খলিয়া দিলেন এবং প্রজাগণের হস্তে দুইটী করিয়া মাদ্রা দিলেন। প্রজারা আনন্দে খাজনা দিয়া চলিয়া গেল। শিখন্ডি। তাহার পর ? নবীন। তাহার পর প্রজারা হঠাৎ কেন খাজনা দিল, মদাই বা কোথা হইতে পাইল, কেহ কিছ স্থির করিতে পারিল না। অবশেষে প্রজারা গহে ফিরিয়া গেলে পর বালক অতি ভয়ে ভয়ে পিতার নিকট আপন কৰ্ম্মম স্বীকার করিলেন । তাঁহার পিতা নগেন্দ্রনাথ তাঁহাকে ক্রোড়ে লইয়া মুখচুম্ববন করিলেন। আমি স্বারে দাঁড়াইয়াছিলাম; আমার চক্ষ জলে ভাসিয়া গেল। এই প্রকার কথোপকথন করিতে করিতে দুইজনই রন্দ্রপরে গ্রামে উপস্থিত হইলেন। নানাপ্রকার বৃহদাকার বক্ষে গ্রাম আচ্ছাদিত রহিয়াছে, মধ্যে মধ্যে সয্যেরশ্মি পত্রের ভিতর দিয়া শাকপত্ররাশি ও গ্রাম্য পথের উপর পতিত হইতেছে। ডালে ডালে নানাপ্রকার সন্দের পক্ষী উল্লাস প্রকাশ করিতেছে! মধ্যে মধ্যে গ্রাম্য সরোবরে পশম, শালকেফলে ফুটিয়া রহিয়াছে, স্থানে স্থানে বক্ষতলে দুই একটী কুটীর দেখা যাইতেছে, স্থানে স্থানে দুই একজন কৃষক গান করিতে করিতে মাঠে যাইতেছে, তাহাদের গহিণীগণ মন্ময়-কলস কেক্ষে লইয়া হেলিয়া দলিয়া জল আনিতে যাইতেছে। শিখণ্ডিবাহন জিজ্ঞাসা করিলেন,—মহাশ্বেতা নামে এক বিধবা এই গ্রামে বাস করেন, তাঁহার নিবাস কোথা ? নবীন দাস উত্তর করিল,-চলন, আমি দেখাইয়া দিতেছি। অনস্তর কিছু পথ লইয়া গিয়া নবীন মহাশ্বেতার ঘর দেখাইয়া দিল । শিখন্ডিবাহন মহাশ্বেতার ঘরে অতিথি হইলেন, নবীন দাস ব্রহ্মচারীর পদধলি গ্রহণ করিয়া বিদায় লইয়া আপন কুটীরে আগমন করিল। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ঃ ব্ৰতাবলম্পিবনী SHE stole along, she nothing spoke, The sighs she heaved were soft and low, And naught was green upon the oak, But moss and rarest mistletoe: She kneels beneath the huge oak tree, And in silence prayeth she. —Coleridge. রজনী প্রায় এক প্রহর হইয়াছে। আজি শক্লেপক্ষের চতুদশী; কিন্তু মেঘে আকাশ আচ্ছন্ন ; ক্ষেত্র, গ্রাম, অটবী অন্ধকারে আচ্ছন্ন রহিয়াছে। খদ্যোতমালা বাক্ষলতাদির নিবিড় অন্ধকার রঞ্জিত করিতেছে। ইচ্ছামতী নদী বিপ্লকায়া হইয়া তরঙ্গমালায় প্রবাহিত হইতেছে ও সেই তরঙ্গমালা নিশাবায়বেগে অধিকতর উচ্ছাসিত হইতেছে। নিবিড় নিকুঞ্জবনের ভিতর দিয়া প্ৰবন বন শব্দে বায় প্রধাবিত হইতেছে, বায়র শব্দ ও তরঙ্গের শব্দ ভিন্ন আর কিছই কর্ণগোচর হইতেছে না। সমগ্র জগৎ সপ্ত । এই প্রকার গভীর অন্ধকারে, এই শীতবায়তে একাকিনী কোন শত্রবসনা নদীজলে অবগাহন করিতেছেন ? ইনি ব্রতাবলম্বিনী । অন্ধকারে ইহার শত্র বসন ব্যতীত আর কিছুই రి