পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রমেশ রচনাৰলী দাঁড়ে বসাইয়া রাখিলে কি তাদের যত্ন পাওয়া যায়, না ভালবাসা পাওয়া যায় ? তা নয়, তা নয়! চারি দিকে চেয়ে দেখ ভায়া,—যে বাড়ীর গহিণী পায়ের উপর পা দিয়া বসিয়া থাকেন, তার কাজও কম, যত্নও কম, ভালবাসাও কম। আর যে বাড়ীর কত্তা খুব শক্ত, খুব কড়া, খব সবাথপর, কাজে একটা ক্রটি হইলে শাসন করে, বোঁকে খুব খাটিয়ে খাটিয়ে আপনার ষোল । আনা বাবগিরি বজায় রাখে,—দেখবে ভায়া, সেই বাড়ীর বৌয়েরই অধিক যত্ন, অধিক মায়া, সেই বাড়ীর কাজও ভাল হয়, সেই বাড়ীর রান্নাটাও ভাল হয়! পাকা আমের মত মেয়েমানুষের ভালবাসা গাছে ফলে না—ষে একটা শাসন করতে পারে, একটু কড়া হয়, একটা সবাথপর হয়, মেয়েমানুষের কেমন তার দিকেই জেয়াদা টান হয়,--মেয়েমানুষের মনের রীতি এই ! শরৎ হাসিতে হাসিতে বলিল,—দাদামহাশয়, এক দেশে এক রাজা ছিল, সে বলিত, মাংস যত পিষিবে, কটলেট তত নরম হইবে,—মেয়েমানুষকে যত প্রহার করিবে, তার মনটী তত নরম হইবে! দাদামহাশয়েরও সেই মত নাকি ? দাদা। ওহে ভায়া, কটলেট ত কখনও খাই নাই, কেমন করিয়া বলিব ? তোমরা কলেজের ছেলে, তোমরাই বলিতে পার! তবে ময়দাটা পিষিলে লচোঁটী বেশ নরম হয় না ? গরম গরম আলর দমের সঙ্গে মুখে দিলেই গলিয়া যায়! বলি নাতবোঁয়ের রান্নার বড় হাতযশ আছে না ? শরৎ। কিছু কিছ রাঁধতে জানে বৈ কি ?—তাহার দিদির কাছে শিখিয়াছে। দাদা। আহা, বেশ বেশ ! আরও শিখাইবে, বেশ করে দলবেলা কাজ করাইবে, তবে ত বেী তৈয়ের হইবে। বেশ একটা মিঠে কড়া মেজাজ রাখিলে বেী ভয়ে থাকিবে, বেশ হকৃেমহাকাম চালাইলে বোঁ যত্ন করিতে শিখিবে। দেখিতে পাও না ? যে বাড়ীর কত্তার রাত্রিতে ঘুম হয় ಗೆ “ “ಡ ಡ! আর যে বাড়ীর কত্তা পেটরোগা, সে বাড়ীর বৌ ভাল রান্না ! শরৎ । তা এ ত বড় মাসিকল দাদামহাশয়! বেীকে পা টিপিতে শিখাইবার জন্য ঘমে বন্ধ করিব ? না বোঁকে রান্না শিখাইবার জন্য পেটরোগা হইতে হইবে ? দাদা। না কথায় কথায় বলছি,—পেটরোগা যে হইতে হইবে তা নয়, তবে একটা পিটপিটে, একটা খিটখিটে, একটা গরম মেজাজ হইলে বোঁ থাকে ভাল, নৈলে মাথায় চড়িয়া বসে ! দেখিতে পাও না ? আমরা যে কুকুর বেড়াল পৃষি, তাদের কেবল দধে ভাত খাওয়াইয়া বিছানায় শয়াইয়া রাখিলে কামড়াইতে আইসে। আর মধ্যে মধ্যে লাথি ঝে’টা মারিলে কেমন পোষ মানে । শরৎ। দাদামহাশয়, মেয়েমানষেকে যাহারা কুকুর বেড়ালের মত দেখে, তাহারা সেইরপে পোষ মানায়। আর যাহারা মেয়েমানষেকে সম্মানের যোগ্য বলিয়া মনে করে, তাহারা অন্য অন্য রপে পোষ মানায়। দাদা। ঐ! কালেজের ছেলেদের বলিই ঐ ! ওরে সম্মান কিরে ? সমানে কি কাজ পাওয়া যায়, না সমানে পেট ভরে? কাজ আদায় করা চাই, তবে ত সংসার চলে ! বলি, ঐ ঘোষালের পো, যে ও পাড়ায় থাকে, তাহাকে তুমি জান ? শরৎ । জানি। দাদা। ঘোষালের পো কেমন পাকা ছেলে ! কেমন বোঁকে তৈয়ের করিয়াছে ! ঠিক যেন ময়না পাখী পড়িয়েছে, ঘোষালের পো যা হকুম দিবে, বৌমা ট: শব্দ না করেই তাই করবে: বোঁকে ত এমন তৈয়ের করেনি! মাঘ মাসের শীতে দেখিছি কাঁপতে কাঁপতে ৪টা রাত্রির সময় ঘাটে বসিয়া বাসন মাজিতেছে, আর চৈত্র মাসের ঠিক দই প্রহরের রোদে দেখিয়াছি এক কোলে ছেলে, এক কোলে কলসী করিয়া পাকুরঘাটে দশ বার উঠানামা করিতেছে! স্বামীর নাওয়া-খাওয়া হইলে, ছেলেরা দই প্রহরের বেলা ঘনমাইলে, তবে বৌমা স্নান করিতে পায়, মুখে একটা জল দিতে পায় ! একে বলে হিন্দ বাড়ীর বোঁ । ঘোষালের পো কেমন বৌ তৈয়ের করেছে ? মাথ ফটে বৌমা একটী কথা কহিতে পারে ? শরৎ। দাদামহাশয়, বোঁকে ঐ প্রকারে তৈরার করা কি ভাল ? তাহাতে কি মন্ত্রী সুখে থাকে, না স্বামী সুখে থাকে ? وير يه দাদা। মেয়েমানুষের আবার সখ কি ? পরেষের লাথি কে’টা খেলেই তার সখে। আর এমন করে বেটীকে তৈয়ার করিলে পরেষের কেমন সখটকু হয় বল দেখি ভায়া ? ঘোষালের 8á发 ம் ماسبيي -