পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

हट्ञानश्र •ब्रिट्झम : छप्लेथाङ्गी একদিন সন্ধ্যার সময় কামিনীকান্তবাব একাকী উদ্যানে পাইচালি করিতেছেন, এমন সময়ে :ே ཨ་ལྕ་ཤམ་ जर ! ੰ দেখিতে লাগিলেন। প্রভূতি কামিনীবাবা। আপনি কে ? রমাপ্রসাদ। আমি বিদ্যাথী ব্রাহ্মণ। কাশীধামে ও অন্যান্য স্থানে বহন বৎসরাবধি শাস্যাদি অধ্যয়ন করিয়াছি, অধনা এই পত্রটীকে লইয়া বঙ্গদেশে উপনীত হইয়াছি। নাম—রমাপ্রসাদ সরস্বতী । কামিনীবাব । এ গ্রামে কবে আসা হইল ? এখানে কি উদ্দেশ্য ? রমাপ্রসাদ। এ গ্রামে অদ্যই আসিয়াছি, সনাতনবাটীতে কিছুদিন থাকিয়া শিষ্যদিগকে শাস্ত্রাদি পাঠ করাইব, আপাততঃ এই উদ্দেশ্য। শুনিলাম এই বিস্তীর্ণ জমিদার-গহে অনেক অতিথি আশ্রয় লাভ করে, অতএব আপনার যদি অনুমতি হয়, আমিও একটা ভগ্ন ঘরে আশ্রয় লইয়া কিছুদিন বিশ্রাম করি। কামিনীবাবা। আপনার এ প্রস্তাবে আমি সম্মানিত হইলাম। শাস্ত্রব্যবসায়ীদিগকে আশ্রয়দান করা ও সমাদর করা আমাদের বংশের রীতি। রমাপ্রসাদ। আপনার সবগীয় পিতা শাস্ত্রজ্ঞদিগের বিশেষ সমাদর করিতেন। কামিনীবাব। আপনি আমার স্বগীয় পিতাকে জানিতেন ? রমাপ্রসাদ। তিনি অনেক অর্থ ব্যয় করিয়া সদাব্রত করতেন, কাশীধামেও সে ক্রিয়াবান জমিদারের নাম অনবগত ছিল না। কামিনীবাব। আপনার কথায় বড় আনন্দ লাভ করিলাম। আপনি যখন এ গ্রামে আসিয়াছেন, ভরসা করি কিছুদিন অবস্থান করিয়া এ গৃহ পবিত্র করিবেন। রমাপ্রসাদ। অবস্থান করিবার মানসেই আসিয়াছি। এক্ষণে আপনার অনুগ্রহ। কামিনীবাব। ইচ্ছামত ঘর বাছিয়া লউন, সপত্র অবস্থান করন, তাহাতে আমি অনগোহাঁত হইব। আমার একজন ভূত্য আপনার আবশ্যকীয় যোগাইবে। রমাপ্রসাদ ও তাঁহার পত্র দেবীপ্রসাদ সেই বিস্তীর্ণ অট্টালিকার নীচের একটী ভগ্ন ঘরে আশ্রয় লইলেন। সন্ধ্যার সময় কিঞ্চিৎ জলযোগ করিয়া ভূমিতে কবল বিছাইয়া শয়ন করিলেন । পরদিন প্রাতে জমিদার-বাড়ীর সকলে শুনিল, পশ্চিমদেশ হইতে একজন বড় সাধন আসিয়াছে। বাবগণ একে একে আসিয়া সাধর সহিত দ'-চারটী কথা কহিলেন, মেয়েরা খিড়কীর পুকুর থেকে আসিবার সময় কলস কাঁকে করিয়া ক্ষণেক দাঁড়াইয়া জটাধারীকে দেখিয়া গেল, ছেলেগলা উকিঝুকি মারিয়া পলাইয়া গেল। দই একদিন পর আর কেহ বড় দেখিতে আসিত না, মেয়েরা বলাবলি করিত,-“ও সাধনও নয়, সন্ন্যাসীও নয় লো, ও হাত দেখিতে জানে না। কেবল পশ্চিমে একটা পণ্ডিত, একটা টোল খলবে বুঝি, তাই এসেছে। দিন-রাতই পথি পড়ে, আর ছেলেটাকে পথি পড়ায়। আহা, ছেলেট যেন সোণার চাঁদ।” জমিদার-বংশের মধ্যে যোগমায়া নামে একজন বয়স্কা বিধবা ছিলেন, তিনি পণ্ডিত ঠাকুরকে জলটল আনিয়া দিতেন, একট সেবাশ্যশ্রষাও করিতেন। যোগমায়ার ছেলেবেলায় বড় ঘটায় এই জমিদার-ঘরে বিবাহ হইয়াছিল, কেননা তাঁহার শ্বশরে এই জমিদারির একজন প্রধান অংশীদার ছিলেন। কিন্তু শুনা যায়, তাঁহার বিবাহের পরই শ্বশুরের মৃত্যু হয়, হতভাগিনীর স্বামীও অচিরে মারা ষায়-অনাথা বিধবার যথাসব্বাস্তব অন্য অংশীদারগণ দখল করিয়া লইলেন। সেই অবধি বিধবা বিস্তীণ শ্বশরকুলে অন্যতমা দাসীর ন্যায় শোকে-দুঃখে বাস করিতেন। দলবেলা দপেট খাইতে পাইতেন, চুপ করিয়া পরের গঞ্জনা শুনিতেন, যে যখন বলিত, তখনই তাহার জল আনিয়া, বাসন মাজিয়া, ঘর ঝাঁট দিয়া দিতেন। বৈধব্য দশায় ত্রিংশং বৎসর এইরপে কাটাইয়াছেন—শরীরখানি শীর্ণ, কিন্তু সন্দের মখশ্ৰী এখনও অপনীত হয় নাই, চক্ষ দটী কোমল ও শান্ত, বাহলতা ক্ষীণ হইলেও এখনও লাবণ্যশন্য নহে, সমস্ত 86 &s