পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्ञथा ब्रक्रनाबल" কুতু মান লি না বাল-দিনে বল আন আন বড় করে। 尊 কমলা বলিলেন,-সরলা, তুমিও আমাকে এ কথা জিজ্ঞাসা করিলে? আশ্রমবাসীদিগের নিকট আমি কিছই বলি না, কিন্তু ভগিনি ! তোমার নিকট আমার লুকাইবার কিছুই নাই; আমি সত্য সত্য বলিতেছি, আমার জীবন কোন অপরপে মোহজালে জড়িত রহিয়াছে, তাহা আমি ভেদ করিতে পারি না,-আমার পন্বেকথা কিছুমাত্র সমরণ নাই। সরলা আশচয্য হইল, পুনরায় জিজ্ঞাসা করিল,—কিছই মনে নাই ? দিদি, তোমাদের বাড়ী কোথায় ? কমলা। পশিচমদেশে ; গ্রামের নাম সমরণ নাই ! সরলা। তোমার পিতার নাম কি ? কমলা। আমি শৈশব হইতে অনাথা। সরলা। তোমার স্বামীর কি নাম ছিল ? কমলা। নাম সমরণ নাই। কেবল সে দেবমুত্তি হৃদয়ে জাগরিত রহিয়াছে। সরলা। দিদি, তুমি অকালে বিধবা হইলে কিরাপে ? কমলা। একটা কি মহাবিপদে তাঁহাকে হারাই। তাহার পর আমার ভয়ঙ্কর পীড়া হয়, , তদবধি এই পবিত্ৰ মহেশ্বর-মন্দিরে আশ্রয় লইয়াছি । কমলা ক্ষণেক পর বলিতে লাগিলেন,-আমার কেবল এইমাত্র সমরণ আছে যে, কিছুদিন পীড়ায় সংজ্ঞাশন্য হইয়া ছিলাম, হৃদয়ে অতিশয় বেদনা বোধ করিয়াছিলাম, যাতনায় অস্থির হইয়াছিলাম। সেই পীড়ার সময় স্বামীর দেবমুত্তি দেখিতাম। বোধ হইত যেন অপরিসীম নীল আকাশের মধ্যে চন্দ্রকরোক্তজবল একটী ক্ষুদ্র শত্র মেঘখন্ডে সেই দেবমুত্তি বসিয়া রহিয়াছেন। এখনও আকাশের দিকে চাহিলে তাঁহাকেই দেখিতে পাই । কমলা আরও বলিতে লাগিলেন,—যখন আমি ঘোর পীড়া সহ্য করিতেছিলাম, তখন সকল লোকেই স্থির করিল যে, আমি আর বাঁচিব না। পিতা চন্দ্রশেখর সেই সময়ে তীথ-পয্যটন করিতে করিতে সেই স্থানে উপস্থিত হয়েন । পিতার দয়ার শরীর, তিনিই আমাকে যত্ন করিতে লাগিলেন। নিরাশ্রয় বিধবাকে পিতা আশ্রয় দান করিয়া আপন নৌকায় তুলিলেন। তখনও আমার ঘোরপীড়া, গ্রামের সকলেই স্থির করিল যে, নৌকাতেই আমার মৃত্যু হইবে। অনেক দিন জলপথে আসিতে লাগিলাম, নদীর বাস্ত্যজনক বায়তে আর পিতার যত্নে আমি পুনরায় আরোগ্যলাভ করিলাম। কিছুদিন পরে নৌকা আসিয়া এই মন্দিরের ঘাটে লাগিল, সেই অবধি আমি পিতার গহে রহিয়াছি। শুনিতে শুনিতে সরলার চক্ষতে জল আসিল। সরলা ধীরে ধীরে কমলার নিকটে আসিয়া তাহার হস্তধারণপবেক বলিল—দিদি, আমি আর নিজের জন্য দুঃখ করিব না, তোমার দুঃখকথা শুনিয়া আমি নিজের দুঃখ বিস্মত হইয়াছি। দুইজনে অনেকক্ষণ এইরুপ কথোপকথন করিতেছেন, ইতিমধ্যে পশ্চাৎ হইতে একজন লোক আসিয়া সরলার চক্ষ চাপিয়া ধরিয়া বলিল,—কে বল দেখি ? সরলা সে সবর চিনিত, কিন্তু হঠাৎ মনে পড়িল না, একে একে বনগ্রামবাসিনীদিগের নাম করিতে লাগিল । “নিস্তারিণী”–চক্ষ হইতে হস্ত উঠিল না, “মনোমোহিনী”—তথাপি হস্ত উঠিল না, “যোগেন্দ্রমোহিনী”—তব হইল না, “তারা”— তোর মাথা, আমাকে ইহার মধ্যেই ভুলেছিস, তব এখনও বিবাহ হয় নাই, না জানি বিবাহের জল গায়ে লাগিলে কি হইবে!—ইত্যাদি বলিতে বলিতে সরলার প্রিয় সই অমলা সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াইল। সরলার বিস্ময়ের সীমা থাকিল না—সই ?—এখানে —কবে আসিলে ? বাপপরিপণলোচনে সরলা অমলাকে আলিঙ্গন করিয়া তাহার বক্ষে আপন মখে লুকাইল। অর্মলাও যখন অনেকদিন পরে সেই প্রেমপত্তেলীটীকে হৃদয়ে স্থান দিল, তখন তাহার চক্ষও শাক ছিল না। 8ó