পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

활 ৰঙ্গাবজেত্বা ক্ষণেক পরে অমলা বলিল,—এই দই প্রহর রাত্রিতে, এই অন্ধকারে এখানে বসিয়া আছ ? আমি যে তোমার জন্য কত অন্বেষণ করিয়াছি, বলিতে পারি না। - সরলা। এখানে কমলার সহিত আসিয়াছি, কথায় কথায় রাত্রি অধিক হইয়াছে। সই তুমি আদ্য আসিলে ? অমলা। হাঁ, আমি আজই আসিয়াছি, তোমাকে দেখিবার জন্য কতদিন আসিব আসিব মনে করি, তা “বদ্ধস্বামী" কি আমাকে ছাড়ে ? আজ কত করিয়া তবে আসিলাম। রাত্রি দ্বিপ্রহরের সময় তিনজন আশ্রমে ফিরিয়া আসিল। अण्प्लेौमभ *ब्रिटश्छ्म ३ हेक्शन,८ब्रब्र छझौमाब्र BUT I have woes of other kind, Troubles and sorrows more severe, Give me to ease my tortured mind, Lend to my woes a patient ear. –Crabbe. চন্দ্রশেখর ও শিখণ্ডিবাহন ভিন্ন সে গ্রামে আর কেহই মহাশ্বেতার প্রকৃত পরিচয় জানিতেন না। তাঁহারাও এ কথা কাহারও নিকট প্রকাশ করিবেন না, বিশেষরপে প্রতিশ্রত ছিলেন। মন্দিরের শান্ত, দ্বেষবিদ্বেষশন্য নিবাসিগণের সহিত একত্র বাস করিতে করিতে মহাশ্বেতার অন্তঃকরণও কিঞ্চিৎ পরিমাণে শান্ত হইয়া আসিয়াছিল। কিন্তু সে বয়সে সবভাবের পরিবত্তন কখনই হয় না। মহাশ্বেতার বিজাতীয় মান ও জিঘাংসা অন্তরে সেইরপেই জাগরিত ছিল, স্থিরপ্রতিজ্ঞ হইয়া তিনি সেইরপেই প্রতিরাত্রি বৈরনিৰ্য্যাতনের জন্য শিবপজা করিতেন। চন্দ্রশেখরের কুটীরে অদ্য এক জন অতি সমদ্ধিশালী অতিথি আসিয়াছেন বলিয়া অনেকেই খাওয়া-দাওয়া সাঙ্গ হইলে তথায় যাইয়া সমবেত হইলেন। গহের মধ্যস্থানে চন্দ্রশেখর বসিয়া রহিয়াছেন। তাঁহার বয়ঃক্রম পঞ্চাশৎ বর্ষেরও অধিক হইয়াছে। কিন্তু দিন দিন মন্দিরের শান্ত দেবকাৰ্য্য নিববাহ করিয়াই হউক, বা মানসিক শাস্তি বশতঃই হউক, তাঁহার প্রশস্ত ললাটে একটীমাত্র বাদ্ধক্য চিহ্ন নাই। নয়ন দটী জ্যোতিঃপণ, সমস্ত শরীর তেজঃপণ", সেই শরীরের উপর যজ্ঞোপবীত লবিত হইয়া রহিয়াছে। তাঁহার দক্ষিণ পাশ্বে সেই সমদ্ধিশালী অতিথি বসিয়া আছেন, তাঁহারও বয়ঃক্রম চন্দ্রশেখরের সহিত সমান হইবে, কিন্তু সংসার-চিস্তায় ও পাথিবি দুঃখে তাঁহার শরীর শীর্ণ করিয়াছে। মস্তকের কেশ অধিকাংশ শক্লে হইয়াছে, ভ্ৰযুগলের কেশও দুই একটী শত্রবণ হইয়াছে। চক্ষতে জ্যোতিঃ নাই, বদনমণ্ডলে কান্তি নাই, বিশাল শরীরে এক্ষণে আর বল নাই। তাঁহাদিগের দুইজনকে দেখিলে সংসার ও সংসারচিন্তাৱ অকিঞ্চিৎকারিতা ও পণ্যবলের মহিমা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। এই সমদ্ধিশালী অতিথি পাঠক মহাশয়ের নিতান্ত অপরিচিত নহেন: ইনি ইচ্ছাপারের জমীদার নগেন্দ্রনাথ। সেই দুই জনের উভয়পাশ্বে ও পশ্চাতে অনেক মন্দিরবাসী উপবেশন করিয়া রহিয়াছেন। চন্দ্রশেখরের কিঞ্চিৎ পশ্চাতে, ঈষৎ অন্ধকারে, মহাশ্বেতা অবগঠেনবতী হইয়া বসিয়া রহিয়াছেন । তাঁহার পাশ্বে শিখণ্ডিবাহন বসিয়া রহিয়াছেন, মদ মদ কি কথা কহিতেছেন, এক এক বার নগেন্দ্রনাথের দিকে লক্ষ্য করিতেছেন। চন্দ্রশেখরের বামহস্তের নিকট কমলা বিনীতভাবে বসিয়া কি চিন্তা করিতেছেন। কুটীরের একপাশ্বে অমলা ও সরলা বসিয়া রহিয়াছে, আজ তাহাদিগের আনন্দ অপার, তাহাদিগের গলপ শেষ হইতেছে না, তাহাদিগের সমিস্ট ওঠে সহোসি শুকাইবার সময় পাইতেছে না। অপর একটী পাশ্বে নিস্তারিণী, মনোমোহিনী, যোগেন্দ্রমোহিনী ও তারাসন্দেরী প্রভৃতি অল্পবয়স্ক ব্রাহ্মণকন্যাগণ আমোদ ও রহস্য করিতেছে, আবার এক কবার নিস্তন্ধ হইয়া চন্দ্রশেখর ও নগেন্দ্রনাথের কথা শুনিতেছে। নগেন্দ্রনাথ দীঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া চন্দ্রশেখরকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন,—মহাত্মন! আমি আপনার বিস্তী মহেশ্বর-মন্দির দেখিয়া অতিশয় প্রীত হইলাম। যদি মোহময় সংসার ত্যাগ করিয়া আপনার মত এই ধৰ্ম্মপথ অবলম্বন করিতাম, তাহা হইলে এই বাদ্ধক্যে আমি 8속 《 {T} !. قد