পাতা:রশিনারা.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূনর্মিলনে । ১২৭ র্তাহার সাহায্যে মহা মহা বিপদ হইতে পরিত্রাণ পাইয়াছিলেন । সুতরাং এক্ষণে র্তাহার কাতরতা দর্শন করিয়৷ পূৰ্ব্বভাব পরিত্যাগ করিয়া কহিলেন, “ তুমি যেরূপ কুকর্মে প্রবৃত্ত হইয়াছিলে, তাহাতে তোমার মুখ যে আর দেখিব না, এমন প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলাম । তথাপি, আমি তোমার সকল অপরাধ ক্ষমা করিলাম । ” এই বলিয়া সেনানীর হস্তধারণ করিয়া চরণতল হইতে উঠাইলেন । পরে উভয়ে উপবিষ্ট হইলে শিবাজী কছিলেন,

  • তোমার প্রাণপ্রাপ্তির কথা বল, আমি শ্রবণ করি ।” সেনানী কছিলেন, “ মহারাজ ! এ হতভাগার কথা তার কি গুলিবেন ?--আপনার বিষম প্রহারে অামি অজ্ঞান হইয়। পড়িলাম, তাহার পর যে কি হইল, বলিতে পারি না । যখন আমার চৈতন্য সঞ্চার হইল, তখন দেখিলাম, যে, কতকগুলি গলিত শবের মধ্যে শয়ন করিয়া রহিয়াছি ; শরীরে দারুণ বেদনা, ক্ষুধা-তৃষ্ণায় অঙ্গ জলিতেছে। শব সমূহের গলিত মাৎসসম্ভ ত দুই একটি কীট আমার ক্ষতস্থানে লাগিয়াছে । তখন তার তথায় তিষ্ঠিতে পারিলাম না । স্থানাস্তরে গমন করিবার শক্তিও নাই ; আপনার অসি-প্রহারে আমার দক্ষিণ হস্তুের অস্থিচ্ছেদ হইয়া গিয়াছিল। তখন বিষম অকষ্ট-বন্ধনে পড়িলাম । কি করি, অামি তখন মৃত্যু নিশ্চয় জানিয়া সকল যন্ত্রণ, সকল দুঃখ ভবানীর চরণে সমর্পণ করিলাম। মৃত্যু হউক, তাহাতে কিছু মাত্র খেদ নাই ; কেননা, জন্মগ্রহণ করিলে এক দিন অবশ্যই মরিতে হইবে ; কিন্তু, সে জঘন্য স্থানে মরিতে প্রবৃত্তি হইল না। তখন অনেক কষ্টে বামহস্তের উপরে শরীরের